আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আওয়ামিলীগ বাংলাদেশের শত্রু

'৯০ তে হু.মু এরশাদের পতনের পর স্বতস্ফূর্ত নির্বাচনে আওয়ামিলীগ পরাজিত হয়ে বলে 'সূক্ষ কারচূপি' হয়েছে। '৯৬ নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা হাতে তসবি, মাথা তালেবানীদের মত ঢেকে সুন্দর একটা মুখোশ পড়েছিলেন। টিভি ভাষণে অতীতের ভুল ত্রুটিতে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে ক্ষমা চান এবং পরবর্তীতে ক্ষমতা লাভ করেন। ২০০১ এ আবার নির্বাচনে উনাদের পারফর্ম্যান্সের রেজাল্ট পেয়ে যান,পরাজিত হয়ে এবার বলেন স্থূল কারচুপি হয়েছে। দেশকে একটা অকার্যকর রাস্ট্র করার আপ্রাণ চেস্টা চালানো হয়।

পরবর্তিতে লগি বৈঠা দিয়ে মানুষ পিটিয়ে মারা হয় যা মানবতা বিরধী অপরাধ হয় না। ভারত থেকে বস্তায় বস্তায় টাকা এনে আন্তর্জাতিক চক্রান্তে উনারা এবার ক্ষমতায়। এর আগের থেকেই উনার ছেলে মিঃ জয় দেশ নিয়ে গবেষণা করেন যে দেশে 'বোরকা' বিক্রি বেড়ে গেছে পাঁচশগূণ, দেশ নাকি তালেবান হয়ে যাবে। উনি আবার হিন্দু প্রধানমান্ত্রীও দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। যাই হউক ক্ষমতায় বসেই পিলখানাতে বাংলাদেশের গর্ব আর্মিদের হত্যা করা হয়।

'৯৬ এর চেয়ে আরো ব্যাপকতমভাবে দেশের স্টক মার্কেট লুটপাট করা হয়। দাঁতাল শুয়র মন্ত্রী টাকার বস্তা সহ ধরা খেয়েও বলে 'বলি দেয়া পশুর গোশত বিসমিল্লাঃ বলে খাওয়া যায়। ভারতের দালালী করে নদীতে বাধ দিয়ে শ চাঁকার গাড়ির রাস্তা করে দেয়া হয়, আগে বলা হয় দেশ সিন্গাপোর হয়ে যাবে, পরে বলে 'টোল' চাওয়া অসভ্যতা। সব দেয়ার পরেও তিস্তার পানি মিললো না ঠিকই। সবার স্বপ্ন পদ্মা সেতু নিয়ে ঘুষের ভাগবাটোয়ারায় প্যাঁচ খায়া এখন আজাইরা দৈর ঝাপ।

লেটেস্ট যুদ্বাপরাধীর বিচারের অংক। দেশের সবাই ৭১ এর সব অপরাধের বিচার চায়। নানান পরিস্থিতিতে সব দলের স্বার্থের সাথে আপোষ করায় তা হয়ে উঠেনি। সর্বজনগৃহীত সুন্দর একটা বিচার করা যেত। কিন্তু বাকশাল যাদের রক্তে তাদের কাছে ভদ্র,সুন্দর বলে কোন কথা নেই ।

বিচারকে শুরু থেকেই বিতর্কিত করা শুরু করে স্কাইপী কেলেংকারীতে বিচারপতির পদত্যাগে গিয়ে থমকে যায়। আস্তে আস্তে রায় আসে,যিনি পলাতক উনাকে ফাঁসি, যার সব অপরাধ প্রমাণিত তাকে লাইফ সেনটেন্সেড আর তিন নম্বরে সাঈদীর ফাঁসীর আদেশ। আজ দেশের কি এক অরাজগত অবস্থা,হিংসা বিদ্বেষের মূর্তমান প্রতিটা দিন। কারা মারা যাচ্ছে?কোন পাকিস্তানি?কোন ভারতীয়?? নাকি বাংলাদেশীরা??আমরাই আমাদের হত্যা করছি, কিন্তু কেন??একদিকে সরকারী ব্যান্ক লোটপাট অন্য দিকে লাভজনক ব্যাবসা প্রতিস্ঠান গোলোর বিরুদ্বে ষড়যন্ত্র,কারন তারা ইসলামীক প্রতিস্ঠান আর ইসলামীক প্রতিস্ঠান মানেই রাজাকারের প্রতিস্ঠান, সো কোপা। কোন মানে হয়???এমতবস্থায় ভবিষ্যতের বাংলাদেশের কি হবে??? আসুন আমরা বর্তমান বাংলাদেশের শত্রু আওয়ামিলীগ ফ্যাসিস্ট সরকারকে বাধ্যকরি তত্বাবধায়কের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে এবং ভোটের মাধ্যমে জানিয়ে দেই বাংলাদেশের আসল শত্রু কারা?? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.