সে ছিল তখন উনিশ... আর আমি তখন ছত্রিশ.........
ভালোবাসা শুধু জাতকুল নয়। এখন বয়সও মানছেনা। মনের মিলে তাই ৭০ বছরের তারা মাতুব্বরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে ১৮ বছরের কলেজ ছাত্রী আসমাউল হুসনা।
দূর সর্ম্পকের বৃদ্ধ নানার হাত ধরে তরুণী নাতনীর ঘরছাড়া নিয়ে এলাকায় রীতিমত আলোচনার ঝড় তুলেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দুদুখাঁনপাড়া গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ফরিদপুর সদর উপজেলার চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের হঠাৎবাজার এলাকার আসলাম মিয়ার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আসমাউল হুসনা প্রেমে পড়েন গোয়ালন্দ উপজেলার দুদুখাঁনপাড়া গ্রামের (৩ ছেলে ও ৪ মেয়ের জনক) ৭০ বছরের বৃদ্ধ তাইজদ্দিন শেখ ওরফে তারা মাতুব্বরের। তরুণী নাতনীর প্রেমের প্রস্তাবটা যে নিছক ঠাট্টা না সত্যি, তা বুঝতে দেরি হয়নি বৃদ্ধ নানা তারা মাতুব্বরের। একপর্যায়ে লোকলজ্জা আর অপবাদের ধার না ধেরে মাতুব্বর সাহেব ঝাঁপিয়ে পড়েন প্রেম-যমুনায়।
এরপর থেকে অসম বয়সী এই প্রেমিক-প্রেমিকার সর্ম্পক ক্রমশ গভীর হতে থাকে। এক পর্যায়ে বিয়ে করে নতুন ঘরবাঁধার স্বপ্নে বিভোর হয়ে পড়েন উভয়ে।
অবশেষে গত অক্টোবর মাসে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে তারা দুজন রাজবাড়ীর আদালতে গিয়ে বিচারকের উপস্থিতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে কনেপক্ষের লোকজন বিয়েতে আপত্তি জানায়। এসময় আসমাকে বাবার বাড়িতে গৃহবন্দী করে রাখা হয়।
এসময় গৃহবন্দী আসমা স্বামীর ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে নিজ হাতে দুই পাতার একটি চিঠি লিখে। চিঠিটি প্রচারের জন্য গোপনে পাঠিয়ে দেয় তারা মাতুব্বরের কাছে।
পরে তারা মাতুব্বর তার নব পরিনীতা স্ত্রীর লেখা চিঠি ফটোকপি করে গ্রামের মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বিলি করেন এবং নতুন বৌকে ঘরে তুলে দেওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান।
এদিকে, গ্রামের লোকজন আসমার অনুরোধে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এলেও তারা আসমাকে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর ঘরে নিয়ে আসতে ব্যার্থ হয়। অবশেষে স্বামীর ঘর করতে ব্যকুল নববধূ আসমা সুযোগ বুঝে ২২ডিসেম্বর বাবার বাড়ি থেকে পালিয়ে স্বামীর বাড়িতে চলে আসে।
ভালোবাসার মূল্য দিতেই বয়সের এই অসঙ্গতি নিয়ে বিয়ে করার কারণ জানতে চাইলে আসমাউল হুসনা বাংলানিউজকে বলেন, ‘অন্য কোনও কারণে নয়, একমাত্র ভালোবাসার মূল্য দিতেই আমি আমার বৃদ্ধ প্রেমিককে বিয়ে করেছি। ’
তারা মাতুব্বর বলেন, ‘আমার স্ত্রী আসমা এইবার ফরিদপুরের একটা কলেজ থিকা আইএ পরীক্ষা দিবো।
তারে বৌ করতে পাইরা আমি অনেক খুশি হইছি। তয়, বিয়ার পরে বৌডারে ঘরে তুলতে বহুত ঝামেলা পোহাইতে হইছে। আপনেরা অহোন আমাগো লিগা দোয়া কইরেন। ’
চতুর্দিকে এলাড়ন তোলা এই বর-কনে’র কেউই ছবি তুলতে রাজি হননি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।