আমাদের এক ব্লগার বন্ধু বাড়ীওয়ালা মেয়েকে নিয়ে কবিতা উপন্যাস প্রবন্ধ সহ অনেক কিছুই সৃষ্টি করে ফেলেছেন। ভাড়াটিয়া থাকতে গেলে এই প্রজাতিটি কমবেশী সবার ভাগ্যেই জোটে। আমার জুটেছিল একবারই। তারপর ভাড়া নেবার সময় আগে পরিচিত হতাম তারপর খোজ খবর নিয়ে ভাড়া নিতাম। যদিও ১০বছরের (ঢাকা) তে মাত্র ৩+৬ = ৬ (অবিবাহিত/বিবাহিত) বার বাসা বদলাতে হয়েছে।
যা হউক সোজা চলে যাই বাড়ীওয়ালার মেয়ের দিকে।
কলিং বেলঃ প্রথম যেখানে জব করতাম সেই অফিস টাইম ছিল সকাল ৮-৩০ থেকে। ঘুম থেকে উঠতাম ৭টায়। পুরাতম একখান সিমেন্স মোবাইল আমাদের। মোবাইল এলাম দেয়া সম্ভব না কারণ তখন উনি চার্জে থাকে।
ভরসা এলাম ঘরি। রুমমেট মাহবুব ভাই ও কলিগ রুমটে হাফিজকে বললাম এলাম দিতে। মাহবুব ভাব মুচকি হেসে বলল- আরে মিয়া লাগবে না আমি আছি না, আর আমি না থকালেও অন্য কেও আছে। সকালেই টের পাবেন।
সকাল বেলা ঘুম ভাঙ্গল একটি মেয়রে উচ্চ কন্ঠস্বরে চিল্লা চিল্লিতে যা কিনা নিচতলা থেকে ভেসে আসছিল।
আ---মু, আমার নাস্তা কই, এই খানে পানি ফেলছে কে, জুতা ধোয়া হয় নাই কেন -- ইত্যাদি ইত্যাদি। অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে ঘুম থেকে উঠে দেখি মাহবুব ভাই বেরিয়ে গেছে। স্বাভাবিক নিলাম চিল্লাচিল্লিটি, ধরে নিলাম কোন সমস্যা হয়েছে হয়তো।
কিন্তু আমার ধারণা ভুল হল পরবর্তী দিন ঠিক একই সময়ে একই কন্যার কন্ঠস্বরে। ৭দিনের মধ্যে জানতে পারলাম ৫তলা বাড়ীর উত্তর সাইটের ৩তলা অবধি কারো কলিং বেল প্রয়োজন পড়ে না যারা ৭টায় ঘুম থেকে উঠতে চায় তাদের।
বাড়ীওয়ালা থাকেন নিচতলায় এবং সামনে উঠান রেখেছেন, আছে ঢেকি, সহ গ্রাম্য হেসেল ঘর ও মাটিও চুলাও। উঠান টি বাড়ীর সিড়ি সাইডে না দিয়ে উত্তর পার্শ্বে এবং উনার মত করে নিচ তলা গড়া।
আমাদের মত যারা উত্তর পার্শ্বে থাকেন তাদেরকে বাড়ীওয়ালা বিনে পয়সায় এলাম সার্ভিস দিয়ে থাকতেন। আর এই কলিং বেল এর সিরিয়াল নাম্বার হল- ৬।
ঝাড়ুওয়ালীঃ এখানে বাড়ীর বর্ণনা দেয়া প্রয়োজন।
বাড়ীওয়ালা ঢাকার স্থানীয় তাই বাড়ীর চারিদিকে অনেক জায়গা। যা ঝাড়ু দেযা এবং সার্বক্ষনিক পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব বাড়ীর মালিকের।
সকালে সাজগোজ করে অফিসে বেড়হতেই সুন্দরী একখান ঝাড়ুওয়ালী দেখি ঝাড়ু দিচ্ছে তার দিকে তাকাতে গিয়ে প্রায় মেইন গেটের সাথে বাড়ী খাচ্ছিলাম। বেচে গেলাম অল্পের জন্য, তা না হলে মাথা ফেঁটে যেত নিশ্চিত। রাতে ঘটনাটা কলিগের সাথে শেয়ার করাতে জানতে পারলাম উনি বাড়ীওয়ালার আরেক কন্যা।
যার দায়িত্ব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা তাই উনি ঝাড়ুদেন নিয়মিত। কাজের লোক একজন রেখেছেন পার্ট টাইম শুধু বিল্ডিংয়ের শিড়ি পরিষ্কার করার জন্য। বাকিটা উনাকেই করতে হয়, কন্যা দিগের সিরিয়াল থেকে উনার নম্বর ছিল- ৪।
পানি মন্ত্রী- মাস চারেক পর গেল বাথরুমের কল নষ্ট হয়ে। বাড়ীওয়ালাকে বলতে গেলে জানানো হল ----- যাবে, গিয়ে দেখে আসবে তারপর প্রয়োজন পরলে লাগিয়ে দেয়া হবে।
রাত ৮টার সময় আসল ঝাড়ুওয়ালী এবং পানিমন্ত্রী দেখতে। পরিদর্শন শেষে বলে গেল শুক্রবারে লাগিয়ে দেয়া হবে। যথারিতি উনি শুক্রবার সকাল ৯টার সময় মিস্ত্রি সহ লগিয়ে দিয়ে গেলেন। উনার সিরিয়াল নম্বর- ৫।
মেইনটেনার- আমাদের ইউনিটের মেইন গেটের দরজার কব্জা নষ্টহওয়াতে গেলাম জানাতে।
সাথে সাথে আসলেন বেশ সুন্দরী সারে ৪ফুট সাইজের একজন মহিলা সাথে একটি বাচ্চা আর পানি মন্ত্রী। এসে পরিদর্শন করে গেলেন আর মেরামতের দিন ঠিক করে গেলেন, ঠিকও হয়ে গেল যথা সময়ে। উনার সিরিয়াল ছিল-৩
আরো তিন জন অবশিষ্ট আছেন। সময় হলে বলব কথা তাদেরও। আছে সাথে রোমাঞ্চও।
-- চলবে
মূল- চোরাবালি ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।