আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাড়ীওয়ালার স্বেচ্ছাচারিতা ও অসহায় ভাড়াটে



গত মাসে আমার বাড়ীওয়ালা বাড়ী ভাড়া বাড়ালো ১৭০০/= টাকা, যা তৎকালীন বাড়ীভাড়ার ৩৮%, অথচ যখন বাসায় উঠি বাড়ীওয়ালা বলেছিলো ভাড়া বাড়াবে এক বছরে ৩০০ থেকে ৫০০, অথচ ৭ মাস যেতে না যেতেই বাড়ী ভাড়া বাড়িয়ে দিলো ১৭০০/=টাকা, আবার ১ তারিখ সকাল ৯টায় জানালো সামনের মাস থেকে বাড়তি ভাড়া ১৭০০ দিতে হবে আর যদি না থাকো সন্ধ্যার মধ্যে জানিয়ে দেবে। বলল তাও আমার স্ত্রীর সাথে, সে বাড়ীওয়ালাকে অনুরোধ করল জানুয়ারি থেকে ভাড়া বাড়াতে। কিন্তু বাড়ীওয়ালা নাচার। আমার স্ত্রীর মোবাইল নষ্ট, তদুপরি সে আবার অসুস্থ, সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা করা তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। একটি অনাগত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সে নিচে গেল ফোন করতে।

আমাকে ফোন করে জানালো। জানুয়ারিতে ভাড়া বাড়ার আশঙ্কা আমি করছিলাম। কিন্তু ডিসেম্বর থেকেই যে অমানবিকভাবে বাড়িয়ে দেবে, তা ছিল আমার কল্পনাতীত। আমরাও বাসা চেঞ্জের কথা ভাবছিলাম, ঠিকমত পানি দেয় না, অথচ বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় বলেছিল সব সময় পানি থাকে। ঝুঁকি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলাম, না বলে দাও।

সম্প্রতি একটা পত্রিকায় বাড়ীভাড়ার নানা নিয়ম-কানুন পড়েছিলাম। বছরে ৫% এর বেশী ভাড়া বাড়াতে পারবে না, বাড়ীওয়ালা যদি ভাড়া নিতে অস্বীকৃতি জানায় মানি অর্ডার করে বাড়ীওয়ালাকে ভাড়া পাঠাতে হবে, তাতেও না নিলে সরকারের একটা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভাড়া শোধ করতে হবে। আমার এতো সব জ্ঞান কোন কাজেই লাগলো না। অফিসের একজন কলিগ বলল, পুলিশ পাঠাবো নাকি? পুলিশ পাঠিয়ে তিনি কী কী সমাধান করেছেন, তার একটা ফিরিস্তিও দিলেন। ইচ্ছা করলে সরকারের বিশেষ নতুন বাহিনীকে ও আনা যেতো।

কিন্তু তার তো সার্ভিসই ভালো না। জলে বাস করে কুমিরের সাথে তো লড়াই চলে না। জাতিগতভাবেই আমরা দূর্নীতি পরায়ণ জাতি। পরদিন (নভেম্বরের ২ তারিখে) আমার স্ত্রী একটা বাসা দেখল। আমার কাছে ফোন করল, এখুনি এসো, বাসাটা সিলেক্ট করে যাও নইলে ভাড়া হয়ে যাবে।

আমি এলাম, সম্মতিও দিলাম, এখন নতুন বাসাতেই আছি। নিচতলার বাসা, এখানেও অনেক সমস্যা বের হচ্ছে। টয়লেট থেকে চ্যালা ওঠে। আগে যারা ছিলো তাদের যত নোংরা এখনও সাফ-সুতরো চলছে। স্বস্তির মধ্যে এই যে দিনে ২৪ ঘন্টাই পানি থাকে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।