গত রোববার (২৫/১২/১১) সন্ধ্যার পরে করাচিতে বক্তৃতা রাখছিলেন সে দেশের বর্তমান রাজনীতির সেনশেসন ক্রিকেটার ইমরান খান। আর পুরো অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করেছে জিও টেলিভিশন। চ্যানেল ঘুরতে ঘুরতে আমি কেন ঐ অনুষ্ঠানে আটকে গেলাম, জানেন ? জীবনে অনেক সমাবেশ দেখেছি, ছোট-বড় অনেক। কিন্তু এরকম আমুদিত রাজনৈতিক সমাবেশ আমার দেখা প্রথম। সেখানে প্রায় লাখ দুয়েক লোকের সমাবেশ ঘটেছিল মনে হয়।
এবার আসি মুল কথায়। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ইমরান খান তার বক্তৃব শুরু করলেন। তিনি তার লম্বা বক্তব্যের মাঝে মাঝে যখনই জনতাকে আশার বানী কিংবা ভরসার কথা শোনান তখন তিনি কিছুক্ষনের জন্য থামেন আর তখনই মাইকে বেজে উঠে তাকে নিয়ে করা কোন গান অথবা দেশের গান। গানগুলো বেশ শ্রুতিমধুর। দর্শকরা বেশ উপভোগ করছিলো।
এমনি ভাবেই চলছিলো পুরো অনুষ্ঠান।
বক্তব্য আর গান।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে উনি বেলুচিস্তানের বাসিন্দাদের এই বলে আশ্বস্ত করেন। তিনি ক্ষমতায় গেলে বেলুচিস্থানকে আরো পশ্চাৎপদ হয়ে থাকতে হবে। আগের জমানার পশ্চিম পাকিস্থানের মত বঞ্চিত প্রদেশ হয়ে থাকতে হবে না।
তিনি এর উন্নয়ন ঘটাবেন।
তার কথা শুনে হাসি পেলেও দু:খ লাগে তখন যখন দেখি এখনো কোন কোন পাক প্রেমিক (এই দেশে অবস্থিত) মনে করে আমরা পাকিস্থানের সাথে ভালো থাকতাম।
যা হোক ইমারন খানের রাজনৈতিক সমাবেশের নতুন এই আইডিয়াটি আমার বেশ ভালো লেগেছে। সব সময় দেখতাম মানুষ জন সমাবেশের পর বা দলীয় প্রধানের বক্তব্যের পর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে গান শোনার জন্য। কিন্তু সেই গানই যদি বক্তব্যের মাঝে মাঝে কথার ধরন বুঝে তখনই উপস্থিত দর্শকদের শুনিয়ে দেয়া যায় তবে কেমন হয় ? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।