আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

(আপডেটসহ )শাবিপ্রবির দুই ছাত্রের হত্যাকান্ড, মিডিয়ার তথ্য বিভ্রান্তি এবং বর্তমান পরিস্থিতি (সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি)

আই লাভ দ্যা স্মোক, আই লাভ দ্যা স্মোকি লাইফ। সব ধোয়াটে থাকবে। ইচ এন্ড এভরিথিং। শাবিপ্রবির কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ২য় বর্ষের ছাত্র অনীক এবং খায়রুলের নির্মম হত্যাকান্ড এবং তা নিয়ে চলমান ক্যাম্পাস পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় অনেক তথ্য এসেছে। আমরা মিডিয়ার কাছে কৃতজ্ঞ যে উনারা ঘটনাটিকে গুরুত্ব সহকারে দেখেছেন এবং অনেক পত্রিকায় লিড নিউজ এবং সম্পাদকীয় হিসেব ঘটনাটি আসে।

ফলে আমাদের আন্দোলন আরো বেগবান হয়েছে। আপনাদের ধন্যবাদ। তবে ঘটনাস্থল থেকে অনেকেই সঠিক তথ্য না জানার কারণে বেশ কিছু বিভ্রান্তিমূলক তথ্য এসেছে অনেক পত্রিকায়। এটা মিডিয়ার দোষ না। ঘটনাস্থলে অনেকেই সঠিক তথ্য না জেনে সাংবাদিকদের জানায়।

যার ফলে এ বিভ্রান্তি। এ জন্য আজ আমরা সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ক্যাম্পাসে একটি প্রেস ব্রিফিং করে বিভ্রান্তিগুলো দূর করার চেষ্টা করি। যে ভূল তথ্যগুলো এসেছে তা আপনাদের জানানোর জন্যই এই পোষ্ট। ১. ছাত্রীদের নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য * “৩ জন মেয়েকে ডাকাতেরা তাদের নৌকায় তুলে নেয়” – মানবজমিন * “মেয়েদের সম্ভ্রমহানির চেষ্টা চালায় ডাকাতদল” – মানবজমিন * “দুবৃর্ত্তদল শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় এবং মেয়েদের লাঞ্ছিত করে” – ইত্তেফাক * “ছাত্রীদের লাঞ্ছিত করে ” – জালালাবাদ * “৩ ছাত্রীকে নিয়ে বখাটেরা টানাহেচড়া করে” – বাংলাদেশ প্রতিদিন ২. লাশ উদ্ধার ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বিভ্রান্তি * “ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীরা লাশ উদ্ধার করে” – সমকাল * “পুলিশ ও ডুবুরীদল রাতভর নদীতে পড়ে যাওয়া দুই ছাত্র অনিক ও খায়রুলের সন্ধান করে তাদের পাননি” – ভোরের কাগজ ও বাংলাবাজার পত্রিকা * “ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়” – আমার দেশ ৩. দাবি নিয়ে বিকৃত তথ্য উপস্থাপন * “তদন্ত কমিটি হতে ড: জাফর ইকবালের অব্যাহতি চাওয়া” – মানবজমিন * শিক্ষার্থীদের অনেকে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর অনাস্থা জানিয়ে তাঁর বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন। দাবি মানা না হলে তাঁরা আমরণ অনশন করবেন বলেও ঘোষণা দেন।

- কালের কন্ঠ * “ক্লাশ পরীক্ষা বন্ধের দাবিতে ক্যাম্পাসে ভাংচুর” – আমার দেশ ৪. হামলা ও ভাংচুর নিয়ে ভুল তথ্য উপস্থাপন * “ছাত্রদের হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন পথচারী আহত হন” – সবুজ সিলেট, মানবজমিন, যায় যায় দিন, সমকাল * “এক পর্যায়ে সহকারী প্রক্টর ফারুক উদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌছালে শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া করে” – ইত্তেফাক, আমার দেশ * “ছাত্ররা ২০ জন পথচারীর উপর হামলা চালায়” – জনকন্ঠ * “শিক্ষার্থীরা হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের দুর্বল ভূমিকার বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়” – যুগভেরী * “শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি বাস ভাংচুর করে” – সিলেট বাণী * “অ্যাম্বুলেন্সও অবরোধের হাত থেকে রেহাই পায়নি” ৫. হত্যাকান্ডের ঘটনার ভূল উপস্থাপন * “সহপাঠী খায়রুল অনিককে বাচাতে পানিতে লাফ দেয়” – ইত্তেফাক * “খায়রুল অনীক ও জোসেফকে পানিতে ফেলে দেয়। এ সময় জোসেফের আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ডাকাতরা নৌকা ফেলে পালিয়ে যায়” – ভোরের কাগজ, বাংলাবাজার * “অনিক ও খায়রুল আত্মরক্ষার্থে পানিতে ঝাপ দেয়” – যুগান্তর * “বাকী শিক্ষার্থীরা আত্মরক্ষার্থে দৌড়ে পালিয়ে রক্ষা পায়” – আমার দেশ, সিলেট সংলাপ * “ডাকাতরা খায়রুল ও অনীককে তুলে নিয়ে যায়” – ডেসটিনি, সিলেট বাণী আবারো বলছি এটা পত্রিকাগুলোর ইচ্ছাকৃত ভুল নয়। ভুল তথ্যের জন্যই এ বিভ্রান্তিগুলো হয়েছে। কারণ একজন সাংবাদিক কখনোই তার মনগড়া নিউজ ছাপান না। এসব বিভ্রান্তি দুর করে সঠিক তথ্য জানানোর জন্য আজ এ প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন হয়।

আমাদের(সাধারণ শিক্ষার্থী) পক্ষ থেকে সঠিক তথ্য মিডিয়াকে দেয়া হয়েছে। কালকে যদি আবারো ভুল তথ্য আসে তাহলে পোষ্টের মাধ্যমে জানানো হবে। আমরা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কথা আমাদের এ আন্দোলন অহিংস। আমরা কারো উপর হামলা করিনি এবং করবোও না। আমাদের আন্দোলনে কোন রাজনৈতিক প্রভাব নেই।

আমরা চাই হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার । আমাদের আন্দোলনের ফোকাস হত্যাকান্ডের বিচার, আর কিছু নয়। যে ভাংচুর গুলো হয়েছে সেগুলো এই আন্দোলনের ফোকাস অন্য দিকে নেয়ার উদ্দেশ্যে করা। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। পরবর্তী আপডেট জানানো হবে।

সবাইকে ধন্যবাদ এবং পাশে থাকার জন্য অনুরোধ। আপনারা খায়রুল ও অনীকের জন্য দোয়া করবেন। সর্বশেষ আপডেট(১৯/১২/১১ সন্ধ্যা ৬টা) * সোহেল আর মিজান নামের দুই খুনী এরেস্ট হয়েছে। * আগামীকাল(২০/১২/১১) সকাল ১০টায় মানববন্ধন করা হবে সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে। সাস্টের সবাইকে অংশ নেয়ার অনুরোধ করা হল।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।