গবেষণায় বলা হয়, খাবার থেকে লবণ বাদ দিলে স্বাস্থ্যের উন্নয়ন হতে পারে না। গবেষণায় দেখা যায়, উচ্চ মাত্রায় লবণযুক্ত খাদ্য গ্রহণে স্ট্রোক, হৃদরোগ ও অন্যান্য রোগের ঝুঁকি যেখানে বেশি থাকে সেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ লবণ গ্রহণে হার্টের সমস্যার ঝুঁকি কমতে পারে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী যারা খুব কম লবণযুক্ত খাবার গ্রহণ করেছে তাদের হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি ও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি বেড়ে গিয়েছিলো। দু’টি ক্লিনিকের প্রায় ৩০ হাজার রোগীর ওপর এ গবেষণা চালানো হয়। গবেষকরা তাদের সকালের ইউরিন সংগ্রহ করে তাতে সোডিয়াম ও পটাসিয়ামের মাত্রা পরীক্ষা করেন।
চার বছর ধরে এ পরীক্ষা চালানোর পর গবেষণায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ১৬ শতাংশের বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগ ধরা পড়ে। এরপর গবেষকরা লবণ গ্রহণ ও হৃদরোগের মধ্যে সম্পর্ক বের করার চেষ্টা করেন। আগের গবেষণাগুলোর মতো এটাতেও উচ্চ মাত্রায় লবণ গ্রহণ (দৈনিক ৭-৮ গ্রাম সোডিয়াম) হার্টের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়। কিন্তু খুব অল্প মাত্রার লবণ গ্রহণে (দৈনিক ৩ গ্রামেরও কম) হৃদরোগে মৃত্যুহার যে বাড়তে পারে সে তথ্যও পাওয়া গেছে এতে। গবেষণার নেতৃত্বদানকারী ম্যাকমাস্টারের ড. সেলিম ইউসুফ এক বিবৃতিতে বলেন, “উচ্চ লবণযুক্ত খাদ্যগ্রহণকারীদের লবণ গ্রহণের মাত্রা কমানোর গুরুত্ব এবং প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবারে সোডিয়ামের মাত্রা কমানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে এ গবেষণাটি।
” গবেষকরা বলেন, এ গবেষণাটি যুক্তরাষ্ট্রের ডায়েটারি গাইডলাইনের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে। এ গাইডলাইন অনুযায়ী, আমেরিকার জনগণকে দৈনিক ২.৩ গ্রামের কম সোডিয়াম গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। আর উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে এ মাত্রা ১.৫ গ্রাম করতে বলা হয়েছে। মনে রাখবেন এক চা চামচ বা ৫ গ্রাম লবণে প্রায় ২.৩ গ্রাম সোডিয়াম থাকে।
সুত্রঃ বি ডি নিউজ ২৪ ডট কম ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।