আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছবিব্লগ: অযান্ত্রিক

বুকের ভেতর বহু দূরের পথ... ঢাকা ক্লাব তাদের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করেছিলো পুরানো গাড়ির প্রদর্শনী। ওল্ড কার ক্লাব অব বাংলাদেশ এর সভাপতি হাবিবুর রহমান সানি আর সহসভাপতি মাহমুদুল ফারুকসহ জন কপার, সালেহ হোসেন, রায়হান আহমেদ ও আতিকুর খান এর সংগ্রহশালা থেকে ৩০টি গাড়ি সাধারন দর্শকদের জন্য প্রদর্শেনর ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। এক একটি গাড়ি ইতিহাস-ঐতিহ্য-জৌলুসে মহীয়ান। আছে নাটোরের মহারানির ব্যবহৃত প্রায় শতবর্ষী অস্টিন মডেলের গাড়ি, আছে মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করা অর্ধবর্ষেরও বেশি পুরাতন শেভরলে মডেলের গাড়ি। স্বয়ং বঙ্গবন্ধু যে গাড়ির আরোহী! দুর্লভ এইসব যান্ত্রিক সওয়ারের প্রতি বর্তমান মালিকদের ভালোবাসা দেখে অভিভূত হলাম।

পরম মমতায় একেকজন তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন গাড়ির সংগ্রহশালা। প্রতিটি গাড়ি তাদের কাছে সন্তানতুল্য। সংগ্রাহকদের স্বপ্ন একদিন পুরানো গাড়ির একটি জাদুঘর নির্মাণের। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। প্রদর্শনীর শেষ দিনে উপস্থিত থেকে ভীষণ ভালো লাগায় মন ছেয়ে গিয়েছিলো ।

দেখুন ঐতিহাসিক দুর্লভ কিছূ গাড়ির ছবি। সবগুলোর মডেল বা বিস্তারিত ইতিহাস জানা নেই। কারণ প্রদর্শনীতে প্রতিটির গাড়ির ইতিহাস তুলে ধরা হয়নি। ঘুরে দেখতে গিয়ে যেগুলোর ইতিহাস জানলাম সেগুলোই শুধু তুলে ধরছি। ১. এইটা কিন্তু মার্সিডিজ! ২. ৩. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সিলেটে মিত্রবাহিনীর সদস্যদের ব্যবহৃত ডজ ১৯৩৭ ৪. ৫. ৬. ৭. ৮. ১৯৩৭ সালের সানবীম টেলবট গাড়ি (ইউকে) এই গাড়িটি বাদী থেকে বেগম চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত হয়।

৯. ১০. শেভরলে ১৯৩০ মডেলের গাড়ি ১১. এটাও শেভরলে মডেলের গাড়ি ১২. ১৯৩০ সালের অস্টিন ৭ মডেলের গাড়ি (ইংল্যান্ড) ১৩. সিলেটের টি-প্ল্যান্টার হেনরি রাদারফোর্ডের ১৯৩৩ সালের অস্টিন ৭ মডেলের গাড়ি (ইংল্যান্ড) ১৪. কলমিলতা চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত অস্টিন হিলি স্প্রাইট ১৯৫৯। এর আগে এ গাড়িটি ব্যবহার করেছিলেন ঢাকার নবাবরা। ১৫. ১৯৫৯ সালের হার্লে-ডেভিডসন গাড়ি (ইউএসএ) ১৬. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে নির্মিত ভারতীয় মোটরবাইক। মডেল ১৯৪২ সালে নির্মিত ইন্ডিয়ান মোটর। ১৭. কুমিল্লার জমিদার ও উজালা সিনেমা হলের মালিক রামদাস ক্ষেত্রীর ফিয়াট ১৯৩৭ ১৮. প্রদর্শনীর সবচেয়ে আলোচিত এই গাড়িটি শেভরলে ১৯৫৬ মডেলের (ইউএসএ)।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এই গাড়িটির প্রকৃত মালিক চট্টগ্রাম বন বিভাগ। এই গাড়িটি ব্যবহার করেছেন তিনজন রাষ্ট্রপতি। প্রথমে ব্যবহার করেন পাকিস্তানের আইয়ুব খান, এরপর বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমান। ১৯৭১ সালে মুক্তিবাহিনী গাড়িটি অস্ত্রশস্ত্র বহন করার কাজে ব্যবহার করেছিলেন। পাকসেনাদের হামলার শিকারও হয় এ গাড়ি।

মাহমুদুল ফারুক বন বিভাগ থেকে এ ঐতিহাসিক গাড়িটি নিলামে কিনে নেন। দৈনিক প্রথম আলোর ২০১১ ঈদ সংখ্যায় শামীম আমিনুর রহমানের লেখা 'ঢাকার কলের গাড়ি'-র আদ্যোপান্ত পড়তে পারেন। দারুন তথ্যসমৃদ্ধ একটি লেখা। গাড়িপ্রেমীরা নি:সন্দেহে সংগ্রহে রাখতে পারেন লেখাটির পিডিএফ । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।