কিছুই বলার নাই রাত বাজে তখন ১০.৩০,আমরা ৪ বন্ধু মিলা এক চায়ের দোকানে আড্ডা দিতেছিলাম। হঠাৎ এক ফ্রেন্ডে কইল দোস্ত অনেক দিন কোথাও ঘুরতে যাইনা; চল মেহেদির (আমাদের এক বন্ধু যার বাড়ি বগুড়া)বাড়ি থেকে ঘুরে আসি,আমি কইলাম যামূনে এক সময়..এই টাইমে আরেক ফ্রেন্ডে কইল 'চল এখনি যাই মাঝখানে একদিন থাকমু পরদিন চইলা আসমু' আমি মানা করতে যাইতে ছিলাম কিন্তু হারামিগুলা সব রাজি হইয়া গেল,তো আমার আর কি করার অনিচ্ছা সত্তেও যাইতে রাজি হইলামতো আসেন কথা না বাড়াইয়া কামের কথায় আসি...রাত ১১.৩০ টায় একটা লোকাল বাসে উঠলাম..নামটা ঠিক মনে করতে পারতাছিনা যাই হোক সকাল ৬.৩০ টায় বগুড়ার মহাস্থানগড়ে আমাদের নামাইয়া দিল। আসার সময় যতটা বিরক্তি নিয়া আসছিলাম এখানে এসে ততটাই মুগ্ধ হলাম। সকালের নাস্তা সেরে আমরা মহাস্থানগড় দেখার জন্য রওনা দিলাম
মহাস্থানগড়ের পাশেই একটা জাদুঘর আছে। জাদুঘরে অনেক পুরাকির্তী ও মূর্তির সমাহার।
সবগুলো জিনিষই ৫/৬ শ বৎসর আগের । এর মধ্যে আছে বিষ্ণু মূর্তি,শিব লিঙ্গ,ব্যবহারিক জিনিষপত্র,অলংকার,মনসা মূর্তি,গনেশ আরো অনেক কিছু। জাদুঘরে মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ। জাদুঘর দেখা শেষ করে আমরা মহাস্থানগড়ে যাই,পুরাকির্তী সম্বলিত যেরকম এক ধ্বংসস্তুপ দেখব বলে ভেবেছিলাম আসলে তার কিছুই এখন আর অবশিষ্ঠ নেই..তারপরও মহাস্থানগড় আমাদের মুগ্ধ করেছে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দ্বারা।
জাদুঘরের পাশে গোবিন্দভিটা নামে একটা জায়গা আছে ,বলা হয়ে থাকে এখানে দুটি মন্দির ছিল।
দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষে আমরা রওনা দিলাম বেহুলার বাসর ঘর দেখার জন্য। মহাস্থানগড় থেকে বেহুলার বাসর ঘরে টমটমের ভাড়া মাথাপিছু ৮ টাকা। এটি মূলত একটি বৌদ্ধ স্তম্ভ যা সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন বলে মনে করা হয়। স্তম্ভের উচ্চতা প্রায় ৪৫ ফুট। এটি বেহুলার বাসর ঘর নামেই বেশি পরিচিত।
দূর থেকে একে দেখলে মনে হয় যেন হাজার বছরের কোন ঘূমন্ত রাজপূরি।
এরপর আমরা গেলাম হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী (র)এর মাজার শরীফে । এটি মহাস্হানগড় থেকে পশ্চিমের দিকে সমান্য দূর। বিকাল ৫ টার সময় আমরা ফ্রেন্ডের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেই..রাত্রে আমরা হাটবাজারে যাই বগুড়ার বিখ্যাত দই খাওয়ার জন্য..এখানে অনেক ধরনের দই দেখলাম তবে আমার কাছে সবচেয়ে ভাল লাগছে খিরসাপাতি দই। এইতো....আর কত লিখমু..পরদিন দুপুরে আমরা ঢাকায় ফিরিয়া আসি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।