আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য শিল্পায়নের বিকল্প নেই। শুধুমাত্র কৃষি নির্ভর অর্থনীতি দিয়ে এখন টিকে থাকা সম্ভব না। শিল্প স্থাপন হলে পরিবেশের উপর কিছুটা প্রভাব পরবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সেটার মাত্রা কত? কোন মাত্রা পর্যন্ত পরিবেশ দূষণ আমরা সহ্য করব?
শিল্পায়নের নামে কৃষি জমি ব্যবহার বা খাল-নদীর পানি চরম দূষিত করাটা গ্রহণযোগ্য নয়। তেমনি গ্রহণযোগ্য নয় সম্পূর্ণ আবাসিক এলাকায় অনিয়ন্ত্রিত ও অপিরিকল্পিত শিল্প স্থাপন।
গত কয়েক দশক ধরে আমরা শুনে আসছি যে, ঢাকা শহরে অবাধে, অনিয়ন্ত্রিত ভাবে শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদও হয়েছে অনেক। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত শিল্পায়ন গ্রামের কৃষিজমি বা মানুষের ভিটাবাড়ি কেড়ে নিচ্ছে সে খবর আমরা কজন রাখি। কারখানা গুলি নিজেদের প্রয়োজনমত আশপাশের বসতবাটি উচ্ছেদ করে কারখানা সম্প্রসারন করছে। এক্ষেত্রে কেউ নিজের জমি বিক্রি করতে না চাইলে চলছে প্রত্যক্ষ (সন্ত্রাসীদের দ্বারা) বা পরোক্ষ নির্যাতন।
কারখানার ময়লা পানি কারো বাড়ীতে বা জমিতে ফেলা, জেনারেটর রুম কারো আবাস গৃহের একদম পাশে স্থাপন করা যেন ঐ বাসিন্দা শব্দ ও ধুঁয়ায় পালাতে বাধ্য হয়; এসবই পরোক্ষ নির্যাতন। এরফলে মানুষ বাধ্য হচ্ছে নিজ বাড়িঘর অল্পদামে কারখানার কাছে বিক্রি করে দিতে। শান্তিপূর্ণ গ্রামীণ পরিবেশ হয়ে উঠছে অপরিকল্পিত শিল্প এলাকা।
শিল্পায়ন হওয়া উচিত সরকার নির্ধারিত এলাকায়। রপ্তানি উন্নয়ন এলাকা, নির্ধারিত শিল্প এলাকা বা শিল্প পার্ক প্রভৃতি স্থানে।
আবাসিক এলাকা বা কৃষি জমিতে না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।