ধরনীতে কিছু মানুষ আছে যারা নিজেদের অন্যরকম ভাবে। আমি বলবো তারা নিতান্তই বোকার দলে অন্তর্ভূক্ত। আর আমি সেই বোকাদের দলেই থাকতে চাই। ক্লাস ওয়ানের ঘটনা। স্কুল জীবনের প্রথম দিনে ক্লাসে ঢুকেই এক মেয়েকে পছন্দ হয়ে গেলো।
আহা কি সুন্দর। তার চুলগুলো খুব সুন্দর ছিলো। আমি সবসময় তার পিছনে বসে ওর চুল দেখতাম। ভালোবাসা কি জিনিস সেটা তো তখন বুঝতাম না। কিন্তু সেই মেয়েটাকে ভালো লাগতো।
মেয়েটার নাম ছিল সুমাইয়া। ক্লাসের ভালো ছাত্র না হলেও আমিই ফার্স্ট বয় ছিলাম এবং সুমাইয়া ছিল সেকেন্ড গার্ল। আর এই জন্যেও যেনো ওর সাথে আমার ভালোভাবে মেশা হয়েছে। এইভাবে ক্লাস ওয়ান শেষ হল।
মাঝে মাঝে সুমাইয়া আমার বাসায় আসতো স্কুলের পড়া লিখে নেয়ার জন্য।
এইভাবেই অনেকদিন কেটে যায়। আমরা বিকেলে স্কুলের সব ফ্রেন্ড মিলে একসাথে খেলতাম। আমি সবসময় সুমাইয়ার বাসায় গিয়ে ওকে ডেকে নিয়ে আসতাম খেলার জন্য। সে যে কত রকম খেলা। মাংসচোর, গোল্লাছুট, ফুল টোকা, কুতকুত, বরফ পানি।
ক্লাস ফাইভের উঠার পর সুমাইয়া এলাকা ছেড়ে চলে যায়। তবে যাওয়ার সময় সে আমাকে তার মুখের চাহনি উপহার দিয়ে যায়।
ক্লাস সেভেনের ঘটনা। আমি তখন প্রায় সুমাইয়াকে ভুলে গেছি। এলাকার একটি মেয়েকে হঠাৎ করে ভালো লেগে যায়।
নাম রিমি। রিমিকে পটানোর জন্য আমি কত কিছুই না করলাম। এতো ঘটনার মাঝে একটা ঘটনা বলি...
একদিন আমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঝালমুড়ি খাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমার সামনে দিয়ে একটা ছেলে হেটে গেল। দেখলাম যে ছেলেটার সাথে সাথে একটা গানের সুর ও হেটে চলছে।
আমি হঠাৎ করেই নিজের অজান্তে একটা মহা আবিষ্কার করে ফেললাম। দেখলাম যে, ছেলেটা যেদিকে যায়, গানের সুরও সেদিকে যায়। কিছুক্ষন পরই ছেলেটা তার চিপা জিন্সের পকেট থেকে একটা চাইনিজ মোবাইল বের করলো। তারপর বুঝতে পারলাম যে এটা আসলে ওই মোবাইলের কারবার।
কিছুদিন পরই আমার আব্বা একটা চাইনিজ মোবাইল কিনে আনলো।
আমি মাঝে মাঝে মোবাইলটা পকেটে লুকিয়ে রিমিদের বাসার নিচে গান ছেড়ে হাটাহাটি করতাম। কিন্তু সেই রিমির দেখা মিলে না কিন্তু একদিন রিমির বড় ভাইয়ের দেখা মিলে গেলো এবং সেইদিন থেকেই রিমির কথা ভুলে গেলাম।
ক্লাস এইটে উঠে প্রেমে পড়লাম স্যারের মেয়ের। মেয়েটি ছিল ভয়ানক সুন্দরী। আমি স্যারের বাসায় যাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে প্রহর গুনতাম।
স্যারের বাসায় দুইটা রুম ছিল আর ওয়াশ রুমে যাওয়ার জন্য স্যারের বেড রুম ক্রস করতে হত। আর আমরা পড়তে গেলে স্যারের মেয়ে বেড রুমে বসে পরতো। আমি স্যারের বাসায় গেলে দুই থেকে তিনবার ওয়াশ রুমে যেতাম আর স্যারের মেয়ের দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকতাম। ও আমাকে দেখে মুচকি হাসত। আমার মনে হত, ও আমাকে পছন্দ করে।
পরে বন্ধুদের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম যে ও সবাইকে দেখেই ওই একই রকম হাসি দেয়। অবশ্য ইতিমধ্যে স্যার আমার উদ্দেশ্য বুঝে ফেলেছিল তাই তিনি আমাকে আসতে মানা করে দিয়েছিল।
ক্লাস নাইনে উঠার পর বিজ্ঞান বিভাগ নেয়ায় পড়াশুনার চাপ বেড়ে যায়। তাই আর প্রেম নিয়ে এতো চিন্তা ভাবনা করতাম না। আর কলেজ লাইফে উঠে মন মানসিকতার অনেকটা পরিবর্তন ঘটে তাই আর এইসবের পিছনে সময় ব্যয় করা হয় না।
অ.ট. আসলে প্রেম যেকোনো বয়সেই আসতে পারে তবে তা বিভিন্ন ভাবে। অপরিপক্ক বয়ে তা ধরা দেয় এক প্রকার মোহ নিয়ে। যেখানে সৌন্দর্যটা অনেক বড় ব্যাপার। আর মানুষ যখন ভালোভাবে উপলব্ধি করতে শিখে তখন তা ধরা দেয় একটি সুন্দর সম্পর্করূপে। সেখানে মন এবং মননশীল চিন্তা চেতনার পরিপূর্ন বিকাশ ঘটে।
আসলে লেখা লিখে তা পুনরায় সংশোধন করতে ভালো লাগে না। ভুলভ্রান্তি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর এই ঘটনা সম্পূর্ন কাল্পনিক। কোনো ব্যক্তি বিশেষের সাথে এরূপ ঘটেছে কিনা জানা নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।