আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি,জন্ম দিয়েছ তুমি মাগো তাই তোমায় ভালবাসি এক নারীর প্রশ্নঃ
২০০৮ সালে একটি ছেলের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর আমাদের শারীরিক সম্পর্ক চলতে থাকে ২০১১ সালের মে মাস পর্যন্ত। হঠাৎ আমি ছেলেটিকে না জানিয়ে ২০১১সালের জুলাই মাসে সামাজিকভাবে অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করি। সে সরকারি চাকরি করে এবং ঢাকায় বাড়ি আছে। আগের ছেলেটি আমাকে বিয়ে করতে রাজি ছিল।
কিন্তু আমি করিনি কারন,সে তখনো প্রতিষ্ঠিত হয় নি। তার কাছে আমাদের শারীরিক সম্পর্কের ভিডিওচিত্রসহ অনেক প্রমাণ আছে। এখন সে নাকি ওই ভিডিওচিত্র আমার স্বামীকে দেখাবে। কারন আমি নাকি তাকে খুব কষ্ট দিয়েছি এবং আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি করেছি। তাকে যত বোঝানো হয় সে কিছুই বোঝে না।
এখন আমি কি করতে পারি ? ছেলেটি কি আমার বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্হা নিতে পারবে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক,
গোলাপবাগ,ঢাকা।
আর সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি নাহিদ মাহতাব তার জবাব দিয়েছেন:
ছেলেটি আপনার বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্হা নিতে পারবে না। আপনার বর্নণা মতে,সে ধরনের কোন ভিডিওচিত্র প্রকাশ ও প্রচার দণ্ডনীয় অপরাধ। সে ক্ষেত্রে আপনি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা নিতে পারবেন। বর্তমান স্বমীর ক্ষেত্রে ওই বিষয়ে জানা বা না-জানার সম্পর্কে আইনগত কোন সমাধান নেই।
আমার বক্তব্যঃ আচ্ছা বলুনতো বেশ্যা কাদেরকে বলা হয়?
যারা অভাবের তাড়নায়, প্রতারণার শিকার হয়ে (কেউ চাকরির কথা বলে ঢাকা বা শহরে এনে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়) বা অন্য কোন কারনে বাধ্য হয়ে দেহ-ব্যবসা কে পেশা হিসেবে বেছে নেয় এবং সরকারী লাইসেন্স নম্বর আছে অর্থাৎ দেহ-ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে স্বীকৃতি দিয়ে নেয় তাদেরকে আমরা পতিতা/বেশ্যা বলি, লোকজন উনাদেরকে খুব তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও ঘৃণা করে। বুকে হাত রেখে বলছি,আমি ব্যক্তিগতভাবে বেশ্যাদেরকে ঘৃণা করি না বরং সমাজের মুখোশধারী মেয়েদের তুলনায় অন্তত শ্রদ্ধা করি ও ভালবাসি কারন ওরা পরিস্হিতির শিকার,প্রতারণার শিকার। আর ওদরেকে শিকার করে কিছু মানুষরুপী পশু।
কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে উপরে বর্নিত ঘটনার নায়িকা দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর প্রেম,শারীরিক সম্পর্ক ও তার ভিডিও করে অতঃপর সরকারি চাকরি ও ঢাকায় বাড়ি দেখে আরেকজনকে বিয়ে করে। এতে করে সে দুইজনের সাথে প্রতারণা করেছে।
আর তার খোড়া অযুহাত দেখে দিবালোকের মত স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, সে শুধুমাত্র আগের প্রেমিকের তুলনায় অধিকতর ধনী ছেলে পেয়ে টাকার লোভে দুইজন ছেলের সাথে প্রতারণা করেছে। এতে নাকি প্রতারণার মামলাও করা যাবে না। ওরে বাপরে তারা কত্ত ক্ষমতাধর!!!! তাই আমার ধারণা এই পশুটাকে বেশ্যা বললে বেশ্যা শব্দটি বা যারা বেশ্যা তারা লজ্জাবোধ করবে। আপনারা কি বলেন???
সুত্রঃ ঘটনাটি আজকের(০৬/১২/২০১১) প্রথম আলো পত্রিকার নকশায় প্রকাশিত "পাঠকের উকিল" বিভাগে ছাপা হয়েছে। সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে আমাদের সমাজে এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে কিন্তু পত্রিকায় প্রকাশ হয় না বিধায় কোন সমাধানও খোঁজা হয় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।