আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘুরে এলাম দক্ষিণ এশিয়ার সুইজারল্যান্ড (পর্ব: ২)

ব্লগিং জগতে অশিক্ষিত বালক নামেই রিচিত আমি। ওয়েবসাইট নিয়ে পাগলামি করার টুকটাক অভ্যাস। তাই, পড়ালেখার পাশাপাশি বন্ধুদেরকে নিয়ে টুকটাক ওয়েবসাইটের পাগলামি নিয়ে আছি। আমার কাজকর্ম দেখুন এখানেঃ http://banglatheme.com/ ঘুরে এলাম দক্ষিণ এশিয়ার সুইজারল্যান্ড (পর্ব: ১) আগের পর্ব পড়ে অনেকে মনে হয় বিরক্ত হয়ে গেছিলেন যে ধুর ছাতা। এডা কী গল্প লিখলো? দেখতে আইলাম সুইজারল্যান্ড........আর দেখলাম কী? যা হোক..আজকে বলি যে বর্ডারে কী হয়েছিলো? ট্যুর শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা যে বিষয়টা নিয়ে বেশি টেনশিতো ছিলাম তা হলো বর্ডারে লোকগুলা কী জানি কী করে কারণ তাদের সম্পর্কে যেখানেই শুনেছি সেখানেই খারাপ বৈ কিছুই শুনি নাই।

তো যা হোক, অনেক জল্পনা কল্পনা..আশা..ভয় আর কৌতূহল নিয়ে উপস্থিত হলাম বুড়িমারী বর্ডার, লালমনিরহাট। তখন সকাল ৭টা বাজলো মনে হয়। বর্ডারে পৌছে আমরা যেটা জানতে পারলাম তা শুনে আমাদের খুশি আর দেখে কে? আমরা জানতে পারলাম যে, আমাদের ইনস্টিটিউটের এক বড় ভাই উক্ত এলাকার এস.আই/এ.এস.পি (পদটা ভুলে গেছি )। তো যা হোক, উনি আমাদের সাথে সফররত এক স্যারের বন্ধু। তিনি আসতেছেন আমাদেরকে বর্ডার পার করাতে () অবশেষে ভাইয়া চলে এলেন এবং আমরা বর্ডারে উপস্থিত হলাম।

ওকি.....এ কী দেখছি? এতো দেখি, জামাই আদর....... নো চেকিং, নো হেংকি পেংকি......ব্যাগগুলো হাতে নিয়ে সোজা পার হয়ে গেলাম “THE NO MANS LAND". আর পাসপোর্ট? সেটাতো বর্ডারের অফিসাররা আমাদের কাছ থেকে নিয়ে গিয়ে নিজেরা বহন করলেন। কী মজা....কী মজা.......এতো দেখছি রাজকীয় বিদায় কাহিনী এখানেই শেষ হলো না.....আমাদের ব্যাপারে ওপারেও সুপারিশ করে দেয়া হলো যে আমাদের সাথে যেন ঝামেলা না করে। তো যা হোক এখান থেকে আমি দুটি বিষয় শিখলাম: ১. এদেশে মামু/ভা্ইদের বড়ই মূল্য ২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আসলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তো যা হোক...কাহিনী কিন্তু শেষ হয় নাই। এতো গেল বাংলাদেশ বর্ডার........এবার আসি বেয়াদপদের বর্ডারের কথায়। বেয়াদপ কাকে বললাম তা মনে হয় আর আলাদা করে বলার দরকার নেই।

সেখানে গিয়েই প্রথম উপলদ্ধি করলাম........”নিজের দেশের লোক আর মাটি সোনার চেয়ে খাটি”। বেয়াদপগুলো শুরু করলো একের পর এক কাহিনী। ফরম পূরণ করতে হবে....একবার ফরম ভুল করলে আর উপায় নাই........দ্বিতীয়বার নিতে হলে জিডি করতে হবে.....এইসব ছাইপাস আর কী। তো যা হোক.......নিরাপদে খুবই সতকর্তার সাথে আমাদের স্যারের নের্তৃত্বে আমরা সঠিকভাবে ফরম পূরণ সমাপ্ত করলাম। এমন অবস্থা দেখে তাদের তো চোখ ছানাবড়া।

এখন কী করবে? কী করবে? হ্যা....হ্যা....ভুল একটা খুজে পেল। আমরা নাকি হোটেলের নাম ভুল লেখছি () তো এখন হোটেলের নাম ঠিক করার মূল্য কত? (যেহেতু এটাই তাদের আসল উদ্দেশ্য)। মূ্ল্য খুব বেশি না। মাত্র ২৫০০ টাকা । বাহ! বাহ! জয় হোক টাকার।

ঢুকে গেলাম একটি দেশ, যার নাম ভারত। আজকের পর্ব এটুকুতেই রাখতে চাই। পরবর্তী পর্বে থাকবে ভারত থেকে থিম্পুর উদ্দেশ্যে যাত্রার বর্ণনা এবং থিম্পুর সৌন্দর্য। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.