ব্লগিং জগতে অশিক্ষিত বালক নামেই রিচিত আমি। ওয়েবসাইট নিয়ে পাগলামি করার টুকটাক অভ্যাস। তাই, পড়ালেখার পাশাপাশি বন্ধুদেরকে নিয়ে টুকটাক ওয়েবসাইটের পাগলামি নিয়ে আছি। আমার কাজকর্ম দেখুন এখানেঃ http://banglatheme.com/ ট্যুর নামক শব্দটা শুনলেই মাথাটা নষ্ট হয়ে যায়। বন্ধুদের মধ্যে যখনই কেউ বলে যে, চল্ দোস্ত, অমুক জায়গায় যাই তখনই শরীরের মধ্যে শিহরণ সৃষ্টি হয়।
কথা নাই....বার্তা নাই...চলে যাই। আর ট্যুরে যাওয়ার সেই ডাকটা যখন নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আসে তখন বিষয়টা কী দাড়ায় বলেন? আর কি ঠিক থাকা যায়? তাও আবার সেই ট্যুর যদি হয় বিদেশে কোথাও?
হ্যাঁ....ঠিক এরকম একটি বিষয়ের সাড়া পেলাম আমার প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে আজ থেকে আনুমানিক প্রায় তিন মাস আগে। যদিও বিষয়টি আমরা জানতাম প্রথম বর্ষ থেকেই যে, অনার্স শেষ হলেই সার্কভুক্ত দেশগুলোতে একটি ব্যাচ ট্যুর হয়।
যা হোক, শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘোষণা পাওয়ার পর শুরু হয়ে গেল জল্পনা কল্পনা (কোথায় যাওয়া যায়, কীভাবে কী করা যায় ইত্যাদি)। তিন মাসে কয়েক হাজার(!!!) শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিটিং করলাম.....অসংখ্য জল্পনা-কল্পনা করে অবশেষে যা ঠিক হলো তা হলো:
আমরা যাব: ভুটান ও ভারত
তারিখ: ১৭ই নভেম্বর-২৬শে নভেম্বর
আমাদেরকে নিয়ে যাবে: এভারগ্রীন ট্রাভেলস নামক একটি ট্যুর এজেন্সী
আমরা যাবো: আনুমানিক ৪০ জন (শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ)
অবশেষে দেখতে দেখতে এসে গেল ১৭ই নভেম্বর, ২০১১, রাত ৯টা।
(এর মাঝে পাসপোর্ট ও ভিসা করতে গিয়ে কী কী ঝামেলার শিকার হয়েছিলাম তা না হয় আরেকদিন বলবো)। শাহ আলী নামক একটি পরিবহনে করে রওনা দিলাম দক্ষিণ এশিয়ার একটি ছোট্ট দেশ ভুটান ও একটি বড় দেশ ভারত দেখতে। সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৩৪জন শিক্ষার্থী এবং ৫জন শিক্ষক
রাত গড়িয়ে সকাল ৭টায় পৌছলাম বুড়িমারী বর্ডার। তারপর বর্ডারে যা হলো তা আমার সারাজীবন মনে থাকবে।
এমন কী হয়েছিল বর্ডারে??? জানতে হলে অপেক্ষা করুন পরবর্তী পর্বের জন্য ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।