আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভুতুরে প্রেম ও আক্কেল আলীর দর্পণে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি

শুনেছিলাম ছোট্ট বেলায় ভূতের বাস ছিল গাবগাছটায় সেটার যখন প্রেম হলো নাকি সুরে কাঁদতে লাগলো মাঝরাতে তার প্রেম ওঠে ভয়ে সবাই চায় লুকাতে তালা দেয়া হয় দরজাটাতে জানালাটাও বন্ধ রেখে কানে তুলো দেয় আমজনাতে। ভুতের নজর লাগলে কারু রক্ষে নাই আর জীবনটারও যখন তখন আগডালে ওঠে জলাধারে যায় সে ছুটে, নগ্ন পায়ে নগ্ন গায়ে ঘুরে বেড়ায় সারা গাঁয়ে ভীষন শক্তি গায়ে তার হঠাৎ হঠাৎ করে চিৎকার ঘুরে বেড়ায় শশান ঘাটে সময় নেয় না ঘাড় মটকাতে ভূতের আছড় মুক্ত হতে সবাই রসুন গলায় রাখে। এমন ভয়েই জীবন যখন কোত্থেকে এক পেত্নী তখন আসল ছুটে ভুতের প্রেমে প্রণয় মালা দিল ভুতের গলে পেত্নী-ভূত সকল ভুলে দূর অজানায় গেল চলে। ------------------------------------------------------------------- আদার বেপারী হয়ে জাহাজের খবর নেয়ার অভ্যাস আছে আক্কেল আলীর। সারা দিন তিনি বেশ চিন্তিত থাকেন ঠিকমত ঘুমান না।

বিয়ে করতে হবে একমাসের মধ্যে। রাষ্ট্রপতি মারা যাওয়াতে তার মন খারাপ। বেচারা বেশ ভদ্রলোক ছিলেন। ছিলেন ঝানু রাজনীতিবিদ। বঙ্গবন্ধুর সময়কার রাজনীতিবিদ।

তার কল্যাণেই ১/১১ ঝড়ে আওয়ামীলীগ ভাঙে নাই। বেচারা শেষ বয়সে একা হয়ে পড়েন। গ্রেনেড হামলায় তার স্ত্রী আইভি রহমান মারা যাওয়ার শোকে তিনি অনেক দূর্বল হয়ে পড়েন। একাকি হয়ে পড়েন। হয়ত মরেও গেলেন।

আক্কেল আলী যেখানেই যান সেখানেই এখন এই আলোচনা শুনতে পান। নতুন রাষ্ট্রপতি কে হবে?এই দেশের এই অবস্থায় রাষ্ট্রপতি বদল এই প্রথম। যিনি রাষ্ট্রপতি হবেন তার ৫ বছর মেয়াদ পূর্তি পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ করলে আর ক্ষমতার পালা বদল হলে সম্পূর্ণ এক নতুন পরিস্থিতির উদ্ভব হবে। যদি কট্টর পন্থী কোন আওয়ামীলীগের নেতা প্রেসিডেন্ট হন আর বর্তমান বিরুধীদল যদি ক্ষমতায় যায় তাহলে কি হবে?প্রেসিডেন্ট আত্নসম্মান নিয়ে পদত্যাগ করবেন। আর না হলে তাকে অভিশংসন করে পদত্যাগে বাধ্য করার ব্যপক সম্ভাবনা।

প্রধানমন্ত্রী পড়েছেন মহাসমস্যায়!নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা গঠনের শেষ ট্রাম্পকার্ড ছিল তার হাতে এই প্রেসিডেন্ট সাহেব। তাঁকে ঐ রকম সরকারের প্রধান করে নির্বাচন দেয়া। তাতে শেখহাসিনা বেশ নির্ভার থাকতেন। তার মত বিশ্বস্ত লোক শেখ হাছিনার আর ২য় টি নাই। সাধে কি আর তাকে ২বার তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছিলেন।

আল্লাহ তায়ালার লীলা বুঝা বড় দায়। সেই ট্রাম্পকার্ড ছাড়ার সুযোগই থাকলো না। এখন প্রেসিডেন্ট কাকে বানানো হবে সেটা বড়ই চিন্তার বিষয়। পত্রপত্রিকায় টি স্টলে বিভিন্ন আড্ডায় যাদের নাম শুনা যায় তারা হলেন জোহরা তাজউদ্দিন,সাজেদা চৌধুরী,মাননীয় স্পিকার আব্দুল হামিদ হুসেইন মোহাম্দ এরশাদ তোফায়েল আহমেদ সহ অবসরপ্রাপ্ত নিরপেক্ষ প্রধান বিচারপতিবৃন্দের কেউ। মানির মান আল্লাহ রাখে।

জিল্লুর মরে বেঁচেছেনে। নাহলে তার অবস্থা পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট ইয়াজ উদ্দিনের মত ধীকৃত অবস্থাও হতে পারত। এমনকি শাহাবুদ্দিন আহমেদ এর মত সৎ প্রেসিডেন্টও শেখ হাছিনার সমালোচনার বানে বিদ্ধ হয়েছিলেন। স্পিকার আব্দুল হামিদ প্রেসিডেন্ট হলে ভালো হবে এমন ধারণা অনেকের। তার নীতিবোধ ব্যক্তিত্ব অনেকেই পছন্দ করেন।

সমস্য হলো প্রেসিডেন্ট হলে তার মাঠপর্যায়ে এমন কি রাজনীতির ময়দানে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ আর থাকে না। সেই হিসেবে তিনি অনেক তরুণ। জোহরা তাজউদ্দিন দুঃসময়ে আওয়ামীলীগের হাল ধরেছিলেন । তাছাড়া মরহুম তাজউদ্দিনের তার পরিবারের একটা দারুণ ইমেজ আছে । তিনি বয়সে প্রবীনও বটে।

সাজেদা চৌধুরী প্রবীণ রাজনীতিবিদ। তার নামও বেশ জোরে সুরে আলোচিত হচ্ছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ভূমিকাও পালন করেছেন। এরপর বাকী থাকেন আমু তোফায়েল এরা। তোফায়েল আহমেদ কোনদিনই সাধারণ সম্পাকের দায়িত্ব পাননি এমন কি?এখন তিনি দলের প্রেসিডিয়াম মেম্বারও নন।

তিনি একটি অনুষ্ঠানে মনতব্য করেছিলেন রাজ্জাক ডেড,সিরাজুল আলম আনট্রেস আর তোফায়েল হাফডেড। এখনকার নেতাদের অতীত নাই দূর্নীতি ও নাই বর্তমান আছে । বি এনপির রাজনীতিতে মোশাররফ তরিকুল তাদের অতীত আছে দূর্নীতি আছে ভবিষ্যৎও আছে। তোফয়েলের অতীত আছে দূর্নীতি আছে কিনতু ভবিষ্যৎ না্ই। যেহেুতু প্রেসিডেন্ট পদ সম্মানের উৎস কিন্তু ক্ষমতা নাই বলতে গেলে পুতুল প্রেসিডেন্ট সেই ক্ষেত্রে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ না থাকলে তিনি প্রেসিডেন্ট হলে খারাপ হয়না।

শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দিয়েছেন এই তোফায়েল আহমেদ। তার বাগ্মিতাও অসাধারণ। বলতে গেলে বঙ্গবন্ধুর পরে তিনি এই ব্যাপারে সবার সেরা। আওয়ামীলীগের রাজনীতিতেও তিনি অনেক সিনিয়র। বাকী থাকেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।

তার প্রেসিডেন্ট হওয়া ব্যপারে আগেই পত্রপত্রিকায় লেখা হয়েছে কে সিনিয়র জিল্লুর না এরশাদ তা নিয়েও রসালো আলোচনা হয়েছে। তবে তিনি সেনাপ্রধান অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট হলে আবার কি নাটক করেন কে জানে?তিনি নিজেই নিজেকে বিশ্বাস করেন কি না সন্দেহ?মাস পিপল কিন্তু তার নাম ঠিকই বলেন্ যদিও তাদের নিয়মকানন সম্বন্ধে কোন ধারণাই না্ই। বাকী থাকেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিগন,ড,ইউনুসকে আওয়ামীলীগ কখনই প্রেসিডেন্ট করবেন না,ব্যারিষ্টার রফিক ও নন.....নানা জল্পনা কল্পনা চলছে ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সির সর্বেচ্চ ধাপে কে আসবেন তাই নিয়ে। শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন এখন এইচ টি ইমামসহ বেশ কিছু সাবেক আমলা তথা উপদেষ্টা মন্ডলী।

তারা এ ব্যপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। দেশে যখন সংঘাতময় পরিস্থিতি। বলতে গেলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি চরম সংকটে। যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবীকে কেন্দ্র করে চলছে না টানপোড়ন। ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাব্য ব্যক্তিদের রাজাকার বলে দাবী করা হয়েছে দেশে এখন রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধা আবার মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকার হয়ে যাচ্ছেন!দুই নেত্রিকে সংলাপে বসানোর জন্য তরুণ প্রজন্ম জোর দাবীও জানিয়েছেন।

এমন সংঘাতময় ধরপাকড় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার দিনে কে হবেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি। যুদ্ধপরাধী কেউ হবেন না এটা এদেশের সবাই চায়। আক্কেল আলীর সংক্ষিপ্ত তালিকায় প্রতিদন্ডিতা হবে আব্দুর রাজ্জাক,তোফায়েল আহমেদ,সাজেদা চৌধুরী জোহরা তাজউদ্দিন এদের মধ্যে থেকে কেউ এরশাদ সাব নো চান্স..জিল্লুর মরলে এরশাদ প্রেসিডেন্ট তা হবার নয়। বিজ্ঞ ব্লগারবৃন্দ আপনারা কি ভাবেন জানতে মুন চায়?  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।