আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চিকনগুনিয়া জ্বরের সার সংক্ষেপ

ডা: শাহরিয়ারের পোষ্ট ১৯৫৩ সালে তানজানিয়ায় চিকনগুনিয়া জ্বরের ভাইরাস প্রথম ধরা পড়ে। চিকনগুনিয়া জ্বরের ভাইরাস একটি আলফা ভাইরাস, গোত্র টোগা ভাইরাস। এটি মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। ডেঙ্গুর বাহক এডিস Adese aegypti মশা চিকনগুনিয়া জ্বরের ভাইরাসেরও বাহক। অন্যান্য মশার কামড়েও এ রোগের বিস্তার হতে পারে তবে তা সীমিত আকারে।

এডিস মশা সাধারনত দিনের বেলা কামড়ায়। এ রোগের লক্ষন গুলো হচ্ছে জ্বর , মাথা ব্যাথা , দূর্বলতা , বমি বমি ভাব , মাংশপেশীতে ব্যাথা , হাড়ের জোড় গুলিতে ব্যাথা, শরীরে র্যাশ , হাড়ের জোড় গুলি ফুলে যাওয়া এবং বমি। হাড়ের জোড় গুলি ফুলে যাওয়া এই লক্ষন চিকনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর মধ্যের প্রধান পার্থক্য । ডেঙ্গু জ্বরে হাড়ের জোড় গুলি ফুলে যাওয়া থাকে না। চিকনগুনিয়া জ্বরের বাহক এডিস Adese Aegypti মশা কামড়ানোর ৩ থেকে ৭ দিনের ভেতর চিকনগুনিয়া জ্বরের আক্রমন হয়।

চিকনগুনিয়া জ্বর কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ ব্যাপি হতে পারে। অল্প কিছু ক্ষেত্রে হাড়ের জোড় গুলিতে ব্যাথা কয়েক মাস থাকতে পারে। একবার চিকনগুনিয়া জ্বর হয়ে গেলে সারা জীবনে আর চিকনগুনিয়া জ্বর হয় না। চিকনগুনিয়া জ্বরের চিকিৎসায় কোন এন্টিবায়টিক প্রয়োজন হয় না। চিকনগুনিয়া জ্বরের কোন টিকা নাই।

জ্বরের চিকিৎসায় প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ এবং প্রচুর তরল খাবার খেতে হবে। এসপিরিন জাতীয় ওষুধ থেকে বিরত থাকতে হবে। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে চিকনগুনিয়া জ্বর নিশ্চত ভাবে সনাক্ত করা যায় তবে সাধারনত রক্ত পরীক্ষা ছাড়া রোগের লক্ষন দেখেই চিকনগুনিয়া সনাক্ত করা হয়। চিকনগুনিয়া জ্বরের কারনে মৃত্যুর সম্ভাবনা খুবই কম বা অতি বিরল। মেজাম্বিক এর ভাষায় চিকনগুনিয়া অর্থ “ বাঁকা হয়ে যাওয়া ” জ্বরে হাড়ের জোড় গুলি ফুলে যাওয়ার জন্য এই নামকরন।

আমাকে কোন প্রশ্ন করতে চাইলে ক্লিক করুন  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.