১৯৩৬ সালে বৃটেনকে সর্বশেষ উইম্বলডনের পুরুষ এককের শিরোপা উপহার দিয়েছিলেন ফ্রেড পেরি। তারপর থেকে ঘরের মাঠে টেনিসের সবচেয়ে মর্যাদার টুর্নামেন্ট শুধুই হতাশা বয়ে আনছিল বৃটিশদের জীবনে।
অবশ্য উইম্বলডনই শুধু নয়, অন্য তিন গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টেও কিছুতেই সাফল্য ধরা দিচ্ছিল না বৃটিশদের। অবশেষে ৭৬ বছরের অপেক্ষার পর গত বছর ইউএস ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হন মারে।
এবার টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর জোকোভিচকে হারিয়ে উইম্বলডনেও তার শেষ হাসি।
রোববার ছিল বৃটেনে এ বছরের উষ্ণতম দিন। তবে ‘প্রিয়’ মারেকে সমর্থন দিতে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে উপেক্ষা করতে দ্বিধা করেনি বৃটেনবাসী। ১৫ হাজার ধারণ ক্ষমতার সেন্টার কোর্টে তাই তিল ধারণের জায়গা ছিল না। মাকে নিয়ে সেই জনারণ্যে ছিলেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও।
ফাইনালের আগের দিন মারে বলেছিলেন তিনি বেশ স্নায়ুর চাপে ভুগছেন।
কিন্তু ফাইনাল শুরু হতেই দেখা গেল তার হাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ।
জোকোভিচের দুটো সার্ভিস ‘ব্রেক’ করে প্রথম সেট ঠিক এক ঘণ্টায় জিতে নেন মারে।
তবে দ্বিতীয় সেট দারুণভাবে শুরু করে ৪-১ গেমে এগিয়ে যান জোকোভিচ। এরপরই অবশ্য ঘুরে দাঁড়ান মারে। সার্বিয়ান প্রতিপক্ষের দুটো সার্ভিস ‘ব্রেক’ করে ২-০ সেটে এগিয়ে যান তিনি।
তখনই বোঝা গেছে, বৃটিশদের অপেক্ষা শেষ হতে আর দেরি নেই। তৃতীয় সেটের প্রথম গেম আবার ‘ব্রেক’ করেন মারে। তবে পর-পর দুটো ‘ব্রেক’ করে ৪-২ গেমে এগিয়ে যান জোকোভিচ।
কিন্তু খেলা চতুর্থ সেটে নিয়ে যেতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন। দুবার সার্ভিস ‘ব্রেক’ করে, ৫-৪ গেম এবং ৪০-০ পয়েন্টে এগিয়ে শিরোপার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান মারে।
জোকোভিচ অবশ্য তিনটি ‘চ্যাম্পিয়নশিপ’ পয়েন্ট বাঁচিয়ে ফেলেছিলেন। তবে চতুর্থ প্রচেষ্টায় সাফল্য পেয়ে যান মারে। জোকোভিচের একটি ব্যাক হ্যান্ড নেটে প্রতিহত হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে শেষ হয়ে যায় তিন ঘণ্টা ৯ মিনিটের লড়াই।
খেলা শেষে আবেগে ভেসে যেতে-যেতে উইম্বলডনের নতুন চ্যাম্পিয়ন বলেন, “ম্যাচটা ছিল অবিশ্বাস্য কঠিন। আমি বুঝতে পারছি উইম্বলডনে বৃটিশ চ্যাম্পিয়ন দেখার জন্য প্রত্যেকে কতটা অধীর হয়ে ছিল।
আশা করি প্রত্যেকে আমার খেলা উপভোগ করেছেন। ”
আর মারেকে কৃতিত্ব দিয়ে জোকোভিচ বলেন, “অ্যান্ডিকে অভিনন্দন। এটা পুরোপুরি তোমার প্রাপ্য। তুমি অবিশ্বাস্য ভালো খেলেছ। এটা একটা দুর্দান্ত অর্জন।
এই ম্যাচে খেলতে পেরে আমি নিজেও সম্মানিত বোধ করছি। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।