আ মা র আ মি
এটা একটা পেন্ডিং পোস্ট, সময় আর সুযোগের অভাবে না লিখতে পারা লেখা। তাই বেশ পুরানো, সমাধান হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গ। প্রসঙ্গ আমাদের জাদুঘর থেকে ফ্রান্সে নিয়ে যাওয়ার পথে চুরি হয়ে যাওয়া মুর্তিগুলো।
নানাধরনের বক্তব্য শেষে সরকার অবশেষে এ বক্তব্যই প্রতিষ্ঠিত করেছে যে, মুর্তি দুটে চুরি হওয়ার পর তা কোন এক বাসায় নিয়ে গিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। যদিও এ কথার সাথে সম্পর্কিত আরও নানা বিষয়ের সমাধান কোথাও প্রকাশ হচ্ছে না।
যেমন, মুর্তিগুলো চুরির পরিকল্পনা কার বা কাদের, মুর্তিগুলো ফ্রান্সে নেয়ার জন্য অনেকগুলো অনিয়ম করে নেয়া হয়েছিলো, কিন্তু এ অনিয়মগুলোর পেছনে কারা ছিলো, মুর্তিগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিলো কেন, তা আবার ডাস্টবিনেই কেন ফেলা হলো আর তার চার টুকরা আবার কিভাবে একজন আসামির কাছে থেকে গেল (যেগুলো র্যাব আসামী ধরতে গিয়ে উদ্ধার করেছে), এমন আরও নানা প্রশ্ন। কিন্তু মানুষ যখন খেতে পাচ্ছে না, সকল জিনিস পত্রের দাম যখন চিন্তারও বাইরে, তখন এগুলো নিয়ে কথা বলার মত অবস্থা আসলে কারও থাকে না।
তবু বলি, এ প্রসঙ্গটা আজ সমাধান না হোক, কাল তো হবে। কাল না হোক পরশু তো ঠিকই হবে। আমরা না হয় দাঁতে দাঁত চেপে আরও একটা বছর পার করে দেই কোনরকম।
তারপর তো একটা গণতান্তিক সরকার পাব, অন্তত যারা কোন অন্যায় করলে চিৎকার করে তার প্রতিবাদ করা যাবে। এ সরকার যা বলেছে তা ঠিক বলেছে কি না যে প্রসঙ্গে আমি নাইবা গেলাম। পরবর্তিতে এ টুকরাগুলো আবার পরীক্ষা করার বিষয়েও নাইবা গেলাম, কিন্তু সবচেয়ে বড় বিষয় হলো বিষ্ণুমুর্তি নিয়ে ঘটে যাওয়া এ সকল ঘটনাই তো এ মুর্তির সাথে সাথে ইতিহাস হয়ে গেছে। আর এ ঐতিহাসিক ঘটনার নিদর্শনও সংরক্ষণ করা দরকার।
বিষ্ণুমুর্তি দুটো জাদুঘরের যেখানে ছিলো সেখানেই এ ভাঙা অংশগুলো আবার সংরক্ষণ করা উচিত।
তারপাশে এ মুর্তির পুরানো ইতিহাসের সাথে সাথে নতুন ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো লিখে রাখা দরকার। আমি জানিনা, এ ঘটনার আলামত হিসাবে এখনো কি ভাঙা অংশগুলো পুলিশের কাছে রাখা আছে, নাকি তা আবার জাদুঘরে রাখা হয়েছে।
আমি এ সরকারের কাছ থেকে বেশি কিছু আশা করি না। কিন্তু ঐ ভাঙা অংশগুলোও যেন আবার হারিয়ে না যায়, তার ইতিহাস যেন হারিয়ে না যায় এটুকুতো চাইতে পারি। পরবর্তি প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস পৌছানোর দায়িত্ব আমাদেরই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।