এগমন্ট গ্রুপ হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের(এফআইইউ) সমন্বয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন, যারা মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে কাজ করে।
বাংলাদেশ এই সংগঠনের সদস্য পদ পাওয়ায় সংগঠনটির মোট সদস্য সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩২টিতে।
বাংলাদেশ বেশ কিছুদিন ধরেই এগমন্ট গ্রুপের সদস্যপদ চেয়ে আসছিল। কিন্তু আইনের কিছু সংস্কারের জন্য তা আটকে ছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ)
এগমন্ট গ্রুপের সদস্যপদ পাওয়ার কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৩ জুলাই দক্ষিণ আফ্রিকার সান সিটিতে শুরু হওয়া এগমন্ট গ্রুপের বার্ষিক সাধারণ সভায় সদস্য সব দেশের সম্মতিতে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও বিএফআইইউর প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান এবং বিএফআইইউর মহাব্যবস্থাপক দেবপ্রসাদ দেবনাথ এখন দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছেন।
আতিউর রহমান বলেন, “এই সংগঠনের সদস্য পদ পাওয়ায় আমাদের অনেকগুলো লাভ হবে। বিশেষ করে এগমন্টের অন্যান্য সদস্য দেশের সঙ্গে আমরা স্পর্শকাতর তথ্য আদান প্রদান করতে পারব।
“ফলে বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ পাচার করে কেউ সহজে পার পাবে না।
”
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ওই সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাডভাইজার আল্লাহ মালিক কাজেমী, নির্বাহী পরিচালক ম মাহফুজুর রহমানসহ সংশ্লিস্ট বিভাগের কর্মকর্তারা ছিলেন।
মাহফুজুর রহমান বিএফআইইউ এবং এগমন্ট গ্রুপের কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “আমরা ২০০৮ সালে এগমন্ট গ্রুপের সদস্য পদ পাওয়ার জন্য আবেদন করি। কিন্তু মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের কিছু সংশোধনীর প্রয়োজনে সদস্যপদ পেতে বিলম্ব হয়েছে। এছাড়া বিএফআইইউ আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতেও কিছু সময় লেগেছে।
”
মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড এই সদস্য পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্পন্সর হিসেবে কাজ করেছে। এজন্য গভর্নর দেশ দুটিকে ধন্যবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংক ব্যবস্থা নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে গভর্নর প্রশ্নের জবাব না দিয়ে উঠে যান।
তবে আল্লাহ মালিক কাজেমী এ বিষয়ে বলেন, “ব্যাংকের বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ক্যাপচার করা আমাদের দায়িত্ব। এগমন্ট গ্রুপের সদস্য পদ পাওয়ায় এইসব অনিয়ম প্রতিরোধ সহজ হবে।
”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।