আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

না বলা কথাগুলো

পুষ্পিত পন্তের একটা গোলাপকলি তোমায় দিলাম। বুঝে নিও অনাগত দিনের না বলা কথা গুলি। হয়তোবা সে কথা গুলি বলা হবে ন কোন দিনই। স্বপ্ন থেকে যাবে স্বপ্নই। বাস্তবে রূপায়িত হবে না কখনো।

অন্তরেই রচিত হবে তার সমাধি সৌধ। হৃদয়ের খরাতপ্ত মরুভূমিতে আজন্ম লালিত চারাটি বিনষ্ট হবে অঙকুরেই। নয়তোবা তা পড়ে রবে কেবল অনাদরেই। কষ্ট পেতে পেতে বুকটার পাষাণ হয়েছে তবুও আশা হারায়নি আমি। তুমি আমার আছ এই বিশ্বাসে বেঁচে থাকবো তোমার অপেক্ষায় অনন্তকাল ধরে_তুমি আসবে বলে_তোমাকে যে আসতেই হবে! তোমার কিছু স্মৃতি মাঝে মাঝে আনমনা করে তোলে আমাকে_ঠিক তখনই অশ্রুতে ভরে যায় দু'টি চোখ।

কষ্টের ঝড় ওঠে বুকের মাঝে_ভেঙ্গে যায় বিশ্বাসের ঘড়_কেঁদে ফেরে বিবেক_ কখনোই ভালবাসনি আমাকে! বার বার মনে হয় মিথ্যে এ জীবনটা শুধুই যন্ত্রণাময়। শুধু নিরবেই ঝড়ে যাব জীবনের ওপারে। জীবনের ফ্রেমে যে ছবি এঁকেছিলাম_ হৃদয়ের প্রচ্ছদে যে স্বপ্ন_ আজ তা হারিয়ে গেছে_মুছে গেছে সব। আজ আমার শুধু হাহাকার_ আমি নিঃস্ব-আমি মরুভূমি। আমি নগ্ন বাতাসে শৃঙ্খল সমাজকে ভাঙতে চাই, ভাসতে চাই নদীর স্রোতে।

হৃদয়ের প্রচ্ছদে স্বপ্ন আজ মৃত ছায়া, চার পাশে শুধু বিষন্নতা। যাহাকে ভালোবাসো তাহাকে নয়নের আঁড় করিওনা। যদি প্রেম বন্ধুন দৃঢ় রাখিবে, তবে সূতা ছোট করিও। বাঞ্চিতকে চোখে চোখে রাখিও_ অদর্শনে কত বিষময় ফল ফলে। কষ্টের তীব্রতা যৃখন খুব বেশী অনুভব করি হৃদয়ের গোপন কুঠরিতে, ঠিক তখন শুন্যতার আত্ম চিৎকারে বাকরুদ্ধ হয়ে থমকে দাড়াই তোমাকে পাবার প্রত্যাশায়।

শুন্যতার হাহাকার হৃদয়ের গোপন কুঠরিতে আঘাত হানে বারবার জ্বলোচ্ছ্বাসের মতো। ঠিক বোঝাতে পারি না_ বলতেও পারি না। দিন-রাত সময়ের পরিবর্তন এতটাই স্বচ্ছ যে, সেখানে স্বপ্নের লালায়িত স্পৃহা রুপ নিয়েছে ক্ষুদ্র থেকে বিশালতায়। তোমাকে নিয়ে ভাববার পরিসর যত বেশী_আমার কষ্টের তীব্রতা হৃদয়ের গোপন কুঠুরিতে তার চেয়ে আরো গভীর। অপেক্ষার এক একটি সেকেন্ড সভ্যতার সূচনাকেও হার মানিয়ে যায় তোমাকে পাবার প্রত্যাশায়।

তবুও তোমাকে অনুভব করি, অনুভব করি কষ্টের তীব্রতাকে। আমার জীবন ধূ-ধূ মরুভূমি। বেদনার শ্বাসরোধ করা সাইমুম বয়ে যায় ভালোবাসার শরীর ছুয়ে, ঠিক তখনই তোমার আবির্ভাব কোন রোদেলা দুপুরে। আমি মৃত্যুর দুয়ারে দন্ডায়মান আহত এক শ্বেত পাখি, ডানা ভাঙ্গা রুদ্ধ বাকে প্রলাপ বকছিলাম জল দাও... জল দাও...। যখন হৃদয় সাইবেরিয়ায় আগ্নেয়গীরীর আগ্নুৎপাত ক্রমাগত_ যখন আমার অন্তর- পোড়া বৃক্ষের সবুজ পাতা গুলো খসে খসে পড়ছিলো হাহাকারের সুতীব্র বাতাসে_ গ্লানিভরা বুকে যখন ছিল না এতটুকু আশার স্পন্দন_ কোন অনুরাগ অভিমান সাধ-আহ্লাদ, কাঁচা আবেগ বিরহ ব্যথা কিংবা মায়াবী মধুর উচ্ছ্বাস_ যখন পৃথিবীর কাউকে আর বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, আষাঢ়ের অঝোর ধারা দু'চোখে সৃষ্টি করেছিল নদী, তখন মনের খেয়া ঘাটে হঠাৎ এসে নোঙ্গর করলো তোমার প্রেমের নাও।

যখন আমি পৃথিবীর আলোকে ভয় করতে লাগলাম, অন্ধকারের সাথে বসতি গেড়ে মুমূর্ষ রোগীর মত একাকী নিঃস্বঙ্গ হয়ে পড়েছিলাম এই লোকালয়ের ক্ষয়িষ্ণু হাসপাতালের বেডে_ তখন তুমি এলে আমার হৃদয় জংশনে_আমার প্রেমের বীনায় তুললে সুর। যখন জীবন মৃত এক জোনাকীর মত এ জীবনের ইতি টেনেছিলাম, ইতি টেনেছিলাম শেষ দীর্ঘশ্বাসের। তখন তুমি এলে_ যখন হৃদয়ের আকাশে জমেছিলো একরাশ ঘনকালো দুঃখের মেঘ। মরে গিয়েছিলো জীবনের রোমান্টিক স্বপ্নগুলো। আর আজ আমি আবার ........................................... ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।