আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসুন আউটসোর্সিং করি,সমৃদ্ধ দেশ গড়ি

তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমাদের প্রায় সবার হাতের কাছেই রয়েছে ইন্টারনেট সুবিধা এবং এই সুবিধা নিয়ে আমরা অনেকেই অনেক রকম কাজ করে থাকি। কেউ ফেসবুক,টুইটাসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েব সাইট গুলোতে কাটিয়ে দিই ঘণ্টার পর ঘণ্টা আবার কেউবা সারাদিন শুধু ব্রাউজ করি বা গান,সিনেমা ডাউনলোড করতেই ব্যস্ত থাকি। কিন্তু আমরা কি জানি ঘরে বসেই শুধু ইন্টানেটের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারি?অনেকেই জানি,আবার অনেকেই জানি না। যারা জানি তাদের কেউ কেউ করি আবার অনেকেই করিনা। হয়তোবা কি কাজ করতে হবে অথবা কোথায় গিয়ে কিভাবে করতে হবে,শুধু এইটুকু না জানার কারনে।

আমি আজ বেশি কিছু লিখবো না,শুধু লিখবো কেন আউটসোর্সিং করা উচিত অথবা কেন আমরা করবো। ১। আমরা সবাই জানি আমাদের দেশের ৪০% শিক্ষিত লোক বেকার এবং ৫% লোক প্রতিনিয়ত চাকরি হারাচ্ছে। এই অবস্থায় এমন নিশ্চয়তা আছে কি আমরা পড়াশুনা শেষ করে আমরাঅবশ্যই চাকরি পাবো?আবার যারা বেকার হয়ে পড়ছি তারা কি করবো?কারণ একটা চাকরি বাদ দিয়ে পরবর্তী চাকরি পেতে তো কিছু সময় লাগলেও লাগতে পারে। ২।

আমাদের দেশ গরিব দেশ এবং এদেশের বেশিরভাগ অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সংঘটিত হয় বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠির দান ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যাংকের ঋণের টাকা দ্বারা। বেশির ভাগ টাকা আসে ঋণ হিসেবে এবং অবাক করার মত ব্যাপার হলো আমাদের দেশের মাথাপিছু ঋণের পরিমান দশ হাজার (১০,০০০) টাকার উপরে। এমনকি আজকে যে শিশু জন্মগ্রহণ করবে তার মাথার উপরেও ন্যাস্ত হবে এই ঋণের বোঝা। তাহলে একবার ভাবুন তো আমাদের অবস্থা টা কি? আপনারা কেউ বলতে পারেন কিভাবে পরিশোধ করা যাবে এই বিশাল পরিমাণ ঋণের টাকা অথবা কোন কোন সরকারের কি ক্ষমতা আছে এটা করার? স্বভাবতই নেই, কারণ আমাদের দেশে এমন কোন পণ্য (শুধু জনশক্তি ছাড়া)এত বেশি পরিমানে নেই যা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে ঋণ শোধ করা যায়। আবার বিদেশে জনশক্তি রপ্তানিতেও অনেক সমস্যা।

কিন্তু একবার ভাবুন তো আমরা ৫,০০,০০০ লোক যদি আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে যা আয় করবো তা থেকে প্রতিদিন ১ ডলার করেও সরকারি কোষাগারে জমা দিই,তাহলে এক বছরে কত ডলার সঞ্চয় হবে আর কতদিনই বা লাগবে আমাদের ঋণ শোধ করতে। মনে হয় উত্তরটা খুব কঠিন নয়। ৩। আবার শিক্ষার্থীদের কথাই ধরা যাক। জীবনের একটা পর্যায়ে এসে বাবা মার কাছে থেকে টাকা নিতে আর কারোই ভালো লাগে না তাই অনেকেই টিউশনি বা পার্ট টাইম চাকরি করি।

আমার মনে হয় আউটসোর্সিং এই দুটির একটি ভালো বিকল্প। ৪। আউটসোর্সিং করতে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাগে না,শুধু যে কাজ ভালো জানেন সেটা করলেই হয়। তাই এখানে সবাই সমান। ৫।

আউটসোর্সিং এর সবচেয়ে ভালো এবং মজাদার সুবিধা হচ্ছে যে এটা যে কোন সময় যে কোন ভাবে করা যায়। তাই আমার মনে হয় এখনই সময় কিছু করার। কারণ কাল যা করতে হবে তা আজ কেন নয়? আপনাদের সবার জন্য একটি তথ্য দিলামঃ ফিলিপাইনের সবচেয়ে বেশি ও আমাদের পাশের দেশ ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় হয় আউটসোর্সিং থেকে। তাহলেই আপনারাই বলুন এমন একটি কাজ করা কি আমাদের উচিত নয়, নিজের ও দেশের স্বচ্চলতার জন্য? ***********এটা আমার প্রথম লেখা। তাই কোথাও যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন,আমি চেষ্টা করবো শুধরে দেবার জন্য।

লেখার মান ভালো করার জন্য আপনাদের যে কোন গঠনমুলক উপদেশ আমি গ্রহণ করতে রাজি। *************** ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.