"অ্যাবসার্ড" ছোটবেলায় একটা বাংলা নাটক দেখসিলাম , নাটকের নাম যদ্দুর মনে পড়ে "ইলিশ"।
এত দুঃখের নাটক আমি খুব কম দেখসি। আজ যখন এই সিনেমাটা দেখছিলাম তখন আমার ওই নাটক টার কথা বার বার মনে পরতেসিল।
ইতালিয়ান ভাষায় ১৯৪৮ সালে পরিচালক Vittorio De Sica কর্তৃক বানানো এই মুভিটার কাহিনী নেয়া হয়েছে Luigi Bartolini এর Bicycle Thieves উপন্যাস থেকে।
মুভিটির পটভূমি যুদ্ধ উত্তর ইতালির রোম নগরী।
ওই কঠিন সময়ে এক গরীব লোক আন্টোনিও চাকরীর শর্ত হিসেবে একটি বাই সাইকেল কিনে তার ঘরের জিনিস পত্র বন্ধক রেখে। চাকরীর প্রথম দিনেই চুরি হয়ে যায় তার সাইকেল। এরপর সে পুলিশ সহ বিভিন্ন লোক জনের কাছে যায় তার সাইকেল টি উদ্ধারের আশায়। ধীরে সে বুজতে পারে যে তার সাইকেল তাকেই উদ্ধার করতে হবে। পরবর্তী কাহিনী তার এবং তার ছেলের সাইকেল খুঁজে বেড়ানোর।
আন্টোনিও চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেন Lamberto Maggiorani
এবং তার ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেন Enzo Staiola
১৯৪৮ সালে মুক্তি পাওয়া আই সিনেমার রান টাইম ৯৩ মিনিট। এবং ড্রামা, ক্রাইম জেনারের আই মুভিটির অ্যাচিভমেন্ট কিন্তু অনেক-- যদি সংক্ষেপে বলি তাহলে বলতে হয়
সম্মান্সুচক অস্কার ১৯৫০
গোল্ডেন গ্লোব ১৯৫০
বাফটা অ্যাওয়ার্ড ১৯৫০
শ্রেষ্ঠ ৬ষ্ঠ চলচিত্র টোটাল ফিল্ম হিষ্ট্রি ( তাও আবার কুবরিক সাহেব দের ভোটে)
এরকম আরও হাজারটা আছে ।
সিনেমাটি আমি দেখেছি সাব টাইটেল ছাড়া, তাহলেই বুঝেন এর আকর্ষণী ক্ষমতা। পরে অবশ্য আমার উইকি, আই আম ডি বি ঘাঁটতে হইসে। মুভিটি বেশী বিখ্যাত তার রিয়েলিস্তিক মেকিং এর জন্য।
মারলন ব্রান্ডো এর সম্পর্কে বলেন, " একটা ক্যামেরা দিয়ে যা যা করা সম্ভব তার সবই এই সিনেমায় করা হয়েছে। যা খুব কম সিনেমায় ই করা হয়। "
তবে আমার কথা হল, যদি নাকের পানি, চোখের পানি যদি এক করতে চান তাহলে এখুনি বসে পরুন এক বক্স টিস্যু নিয়ে Bicycle Thieves দেখতে। । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।