আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পোলাপাইনের অভিভাবক হবার বিপদ !

বিভিন্ন স্কুলে (বিশেষত: ঢাকার) যাদের পোলাপাইন লেখাপড়া করে তাদের অভিভাবকরা নানা ধরনের বিপদের মধ্যে থাকেন। ভর্তির ইঁদুর দৌড়ে করুন বিজয়ের পর পোলাপানকে স্কুলে পঠানো, সেখান থেকে নিয়ে আসা রীতিমতো সংগ্রামের কাজ। নিরপত্তার ভয় তো আছেই। এরপর আছে কোচিং যন্ত্রনা। সর্বত্র টাকার শ্রাদ্ধ।

বই খাতা কোন কোন স্কুল থেকে আগুন দামে কিনতে বাধ্য করা হয়। বোর্ড পুরা বই ফ্রি দিলেও ১০০ টাকা দাও হওয়া উচিৎ এমন বই ৪/৫ শ টাকায় নির্ধারিত লাইব্রেরী থেকে কিনতে হয়। এই সব অবৈধ পাঠ্যবইয়ের কোন ছাপানো তালিকা স্কুল থেকে দেয়া হয় না। ক্লাসের ব্ল্যাক বোর্ডে লিখে দেয়া হয়। কেউ যদি আগের কোন এডিশন ব্যবহার করতে চায় তারও উপায় নেই।

নতুন এডিশনে কিছু এদিক সেদিক করে দেয়া হয়। পরীক্ষার সিলেবাসে পৃষ্ঠা উল্লেখ করা হয়। ছাত্র ছাত্রীদের হাতে নতুন বই না দেখলে ক্লসে মারধোর করার রেকর্ডও আছে। স্কুল ড্রেস বা জুতার একটু হের ফের হলে এসেম্বলীতে সবার সামনে অপমান করা বা গেটের বাইরে আটকে দেয়ার ঘটনা ঘটে প্রায়ই। ট্রাফিক জ্যামের জন্য দূর থেকে কোন ছাত্রছাত্রী এলে গেটে আটকে দেয়া হয়।

অসুস্থতার জন্য স্কুলে না এলে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট (টাকা দিতে হয় ডাক্তারকে) দিতে হয়। স্কুলের অনেক তথ্য বাচ্চারা ঠিক মতো বলতে পারে না। এসব জানতে বা অন্যকোন কারণে অভিভাবককে স্কুলে যেতে হলে ঢুকতে দিতে চায় না। বলে পরে আসেন। অভিভাবক যদি চাকরীজীবী হন তাহলে এ কারণে তার অফিসে যেতে দেরী হয়।

ফলে খেতে হয় বসের হালি। বাবা মা দু'জনে চাকরীজীবী হলে কাহিনী আরো করুন হয়ে ওঠে। দেখা করতে যাওয়া অভিভাবকদের সাথে প্রধান শিক্ষক/শিক্ষকবৃন্দ প্রায়ই অপমানজনক ব্যবহার করেন। মাঝে মাঝে পিয়ন/দপ্তরীরাও দুর্ব্যবহার করেন অভিভাবকদের হাতে। স্কুলটি যদি সরকারী হয় তাহলে দুর্ব্যবহারের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।

সরকারীরা অভিভাবকদের মানুষের মধ্যে গন্য করেন না। মাঝে মাঝে কিছু অভিভাবকও একই আচরণ করেন। যদি দেখেন অভিভাবকের ঠ্যালা বেশী তখন চুপ মেরে থাকেন। ভদ্র অভিভাবকদের ওপর তার শোধ তোলেন তারা। সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে সবাইকে সব হজম করতে হয়।

শিশুদের প্রতি তাদের নিষ্ঠুরতারও বহু ঘটনা ঘটছে। বড়োই অসহায় অবস্থা অভিভাবকদের। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.