আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্রেকিং নিউজ-ইতিহাসে তৃতীয় বিদেশী নাগরিক হিসেবে ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার "ভারতরত্ন" পাচ্ছেন বাংলাদেশের জলমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান।

লেখাপড়া শেষ করেছি ঢাবি থেকে। আজ কাজ করি একটা বেসরকারি ফার্মে । কাজের শেষে নাই কাজ তাই খই ভাজ । ব্লগে খই ভাজি। বহু আকাংক্ষিত সেই "ভারতরত্ন" পদক।

প্রথমেই সংক্ষেপে বলা বাহুল্য, "ভারতরত্ন" (ইংরেজি অনুবাদে জুয়েল অফ ইন্ডিয়া বা জেম অফ ইন্ডিয়া) হল ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার। জাতীয় সেবার সর্বোচ্চ স্বীকৃতি হিসেবে ভারতরত্ন প্রদান করা হয়। ভারতরত্ন প্রাপকগণ ভারতীয় মানক্রমে বিশেষ স্থানের অধিকারী। বাংলাদেশের ভারতরত্নের পদকটি অশ্বত্থ পাতার আদলে নির্মিত। এর একদিকে দেবনাগরী লিপিতে “ভারত রত্ন” কথাটি লিখিত, অপর দিকে জাতীয় প্রতীক ও নীতিবাক্যটি খচিত।

অদ্যাবধি ৪২ জন ব্যক্তি এই সম্মান পেয়েছেন। যার মধ্য মাত্র দুজন অ-ভারতীয় বিশ্বের অত্যন্ত মর্যাদাকর এই পুরস্কার পান, তারা হলেন নেলসন ম্যান্ডেলা (সাউথ আফ্রিকা) এবং আবদুল গফফর(পাকিস্তান)। আর জলমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান হবেন তৃতীয় মহান সম্মানিত ব্যক্তি যিনি এই বিরল সম্মানের অধিকারী হচ্ছেন। গফফর-ম্যান্ডেলা-মাহবুব কিন্তু কেন এই পুরস্কার? তাও বাংলাদেশের মত দুর্বল একটি গরিব দেশের একজন মন্ত্রীকে? ঐ যে আপনাদের আগেই বলেছি, মূলত ভারতরত্ন পুরস্কার দেয়া হয় ভারত মাতার সেবার সর্বোচ্চ স্বীকৃতি হিসেবে। কিন্তু জনাব মাহবুব কি এমন সেবা করে ফেলেছেন যে তাকে এই মহামূল্যবান পুরস্কার দেয়া হবে? যেখানে ভারতের মণিপুরে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং টিপাইমুখে ড্যাম বা বাধ দেয়ার কাজ উদ্ভোদন করতে এসে রাজ্যের জনগণের রোষানলে পড়েছিলেন ২০০৬ সালে সেখানে আরেকটি রাজ্য(বাংলাদেশের) একজন মন্ত্রী বলছেন টিপাইমুখে তিনি কোন সমস্যা দেখছেন না।

যেখানে ভারতের স্থানীয় অধিবাসীরা নব্বই দশক থেকেই বলে আসছেন, এই প্রকল্প হলে বিরাট এলাকা জলমগ্ন হবে। তাদের বাসস্থান, জমিজিরাত এবং বিশেষ করে তাদের ধর্মবিশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত পাঁচটি হ্রদ হারাতে হবে। ৬০টি গ্রামের অন্তত ৪০ হাজার লোক তাদের পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদের শিকার হবেন। ২০০৬ সালে ভারতীয় পরিবেশবাদীদের দ্বারা সমর্থিত দুই ডজনেরও বেশি উপজাতি গোষ্ঠী টিপাইমুখে ড্যাম নির্মাণ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মণিপুর জুড়ে ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট ডেকেছিল। ড্যাম নির্মাণের বিরুদ্ধে গঠিত অ্যাকশন কমিটির অবস্থান হচ্ছে- ভূমির সঙ্গে উপজাতিদের জীবন, সংস্কৃতি এবং বাঁচা-মরা সম্পর্কিত।

এর বিনাশ সাধন করে তারা কিছুতেই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দিতে পারে না। প্রয়োজনে তারা তা সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করবে। আর সেখানে বাংলাদেশের জলমন্ত্রী মাহবুবুর কেন্দ্রীয় ভারত সরকারে পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। ভারতে আন্দোলনরত উপজাতি গোষ্ঠীগুলো আরও মনে করে, দিল্লি এই বাঁধ দিয়ে উৎপাদিত বিদ্যুৎ মণিপুরের উন্নয়নেও কাজে লাগাবে না। এমনকি প্রস্তাবিত প্রকল্পের কাজ করাতেও ভারতের অন্য প্রদেশের লোকবল ব্যবহার করবে।

রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত এনএইচপিসি রাজ্যের বাইরে চড়া দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করবে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজ্য সরকার এবং তার মন্ত্রীগণ আশা করছেন এই বাধ থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকে বাংলাদেশ রাজ্য হবে আলোকিত ডিজিটাল বাংলাদেশ। আর ভারতের এই মহান কাজে দুষ্ট লোকের কথায় কান না দিয়ে বাংলাদেশের জলমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান বাধের পক্ষে নিজেদের ক্ষতি জেনেও যে অনমনীয় অবস্থান নিয়েছেন সেটা কেন্দ্রীয় ভারত সরকারকে করেছে উৎসাহিত অনুপ্রানিত দু ভাবে। প্রথমত বাধ মেরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে করবে জমজমাট ব্যাবসা আর অন্যদিকে এমন কিছু মন্ত্রী থাকলে বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে আর বেশী সময় লাগবেনা। আমার আজকে এই খবর শোনার পর খুব আনন্দে হচ্ছে।

আনন্দে সন্ধ্যা থেকে গাচ্চি আমার প্রিয় সঙ্গীত, প্রানের সঙ্গীত, কবিগুরুর অমর সৃষ্টি.......... জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা! পঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মরাঠা দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ(বাংলাদেশ) বিন্ধ্য হিমাচল যমুনা গঙ্গা উচ্ছলজলধিতরঙ্গ তব শুভ নামে জাগে, তব শুভ আশিষ মাগে, গাহে তব জয়গাথা। জনগণমঙ্গলদায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা! জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে। । জয় হিন্দ..ভারত ম্যাতাকি জয়। ঐতিহাসিক সেই সাক্ষাৎকার, যার কারনে আজ এই মুল্যবান পদক বাংলাদেশে।

 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.