হ্যা আমি সেই সত্যবাদীকে সত্যবাদী মনে করি গতকাল ঢাকেশ্বরী মন্দিরে এই ঘটনা ঘটে।
মূর্তিগুলোকে চুরমার করে ফেলা হয়েছে।
বিভিন্ন সবসময় সথ্যা কথা বলা সূত্র থেকে এর সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে।
কি বললেন ভাই বিশ্বাস করেন না? এমন কখনো হতে পারে না?
তাইলে হেফাজতে ইসলামীর কোরানের খাদেমরা কোরান পোড়াইছে এইটা কেমনে বিশ্বাস করলেন?
------------------------------------------------------------------------------
ঝড়-দুর্যোগ থেকে জাতিকে রক্ষার জন্য আল্লামা শফীর বিশেষ মোনাজাত
ঝড়-দুর্যোগ ও আজাব-গজব থেকে জাতিকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানিয়ে বিশেষ মোনাজাতে শরিক হয়েছেন হাজার হাজার আলেম। গতকাল বাদ আছর দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসার ‘জামে বায়তুল আতিক’ প্রধান জামে মসজিদে আধঘণ্টাব্যাপী এ বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন দেশের শীর্ষ আলেম, হেফাজতে ইসলামের আমির, দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
মোনাজাতে হাজার হাজার ওলামা-মাশায়েখ, মাদরাসা ছাত্র ও তৌহিদি জনতা অংশগ্রহণ করেন। মোনাজাতে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার অগণিত মানুষও শরিক হন।
মোনাজাতে আল্লামা শাহ আহমদ শফী হৃদয়ের গভীর আকুতি নিয়ে আত্যাসন্ন ঘূর্ণিঝড়সহ সব ধরনের দুর্যোগ ও আজাব-গজব থেকে এ জাতিকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানিয়ে বলেন, হে আল্লাহ, আপনি এ জাতিকে হেফাজত করুন। এ দেশকে রক্ষা করুন। বর্তমানে দেশে অনেক মানুষ এমনিতেই নানা দুর্যোগ ও অভাবে নিপতিত।
অনেক মানুষ খেয়ে-না খেয়ে জীবনাতিপাত করছেন। হাজারও সমস্যায় দেশ বর্তমানে জর্জরিত। হে আল্লাহ, আপনি এ জাতির ওপর নতুন আর কোনো দুর্যোগ পতিত করবেন না। অত্যাসন্ন ঘূর্ণিঝড় থেকে দেশের সহায়-সম্পদ রক্ষা করুন। প্রতিটি মানুষের জান-মাল হেফাজত করুন।
এ সময় দারুল উলুমের প্রধান মসজিদসহ আশপাশের বিভিন্ন ভবনে অবস্থানকারী মোনাজাতকারী হাজার হাজার ওলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদি জনতার মাঝে আমিন আমিন রবে কান্নার রোল পড়ে যায়।
মোনাজাতপূর্ব বয়ানে আল্লামা শাহ আহমদ শফী সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে দোয়া ও মোনাজাত শুরু করেন। মোনাজাতে তিনি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা, জনসাধারণ ও মুসলমানদের জানমালের নিরাপত্তা, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা, আল্লাহ, রাসুল ও ইসলাম অবমাননাকারীদের বিচার, ইসলাম অবমাননা ও কুত্সা বন্ধে আল্লাহর গায়েবি মদত, দেশে সুশাসন ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে বিশেষ প্রার্থনা করেন।
আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, কোরআন-হাদিসের ভাষ্যমতে, মানুষ যখন বিভিন্ন পাপাচারে লিপ্ত হয়ে পড়ে, পাপ কর্মকে পাপ বলে স্বীকার করেন না, তখন আল্লাহ বিভিন্ন আজাব-গজব ও দুর্যোগ-দুর্বিপাক, খরা, দুর্ভিক্ষ, ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় ও সুনামির মতো বিপদে পতিত করে বান্দাকে সতর্ক করেন। আল্লাহ প্রদত্ত এত সতর্কতা প্রদর্শন সত্ত্বেও আমরা যদি গোনাহ থেকে তাওবা করে সঠিক পথে ফিরে না আসি, তবে জাতি হিসেবে আমাদের কপালে এর চেয়েও বড় দুর্যোগ অপেক্ষা করছে।
তিনি সবাইকে হুশিয়ার করে যাবতীয় পাপাচার ও অন্যায় পরিত্যাগ করে সব কাজে আল্লাহমুখী হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আরও বলেন, দেশে যে হারে ইসলামের বিরুদ্ধে, আল্লাহ-রাসুল ও পবিত্র কোরআনের বিরুদ্ধে অবমাননাকর বক্তৃতা-বিবৃতি ও ক্রিয়াকলাপ চালু হয়েছে, অনতিবিলম্বে এসব বন্ধ করা না হলে আমাদের জন্য ভবিষ্যতে আরও কত ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি অপেক্ষা করছে তা আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
আল্লামা শাহ আহমদ শফী দেশের আলেম সমাজের প্রতি সব প্রতিকূলতায় সবর তথা ধৈর্যধারণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, যারা মজলুম এবং যারা ধৈর্যধারণ করেন, আল্লাহ তাদের সঙ্গেই থাকেন। তারা কখনও বিফল হবেন না। তিনি ওলামায়ে কেরামকে হতাশ না হয়ে মাদরাসার ছাত্রদের পড়ালেখার প্রতি বিশেষ মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, দেশের কওমি মাদরাসার বার্ষিক সমাপনী পরীক্ষা অতি সন্নিকটে।
তাই বর্তমানে কওমি মাদরাসার সব আলেমকে ছাত্রদের পরীক্ষার পূর্ণ প্রস্তুতির ব্যাপারে যথেষ্ট মনোযোগী হতে হবে।
এর আগে বেলা ১১টায় ফেনী জেলার শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। প্রতিনিধি দল ফেনী জেলার কওমি মাদরাসাগুলোর পড়ালেখা ও ওলামায়ে কেরামের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন। তারা বর্তমান পরিস্থিতিতে ওলামায়ে কেরামের করণীয় সম্পর্কেও তার কাছে পরামর্শ চান। আল্লামা শাহ আহমদ শফী গভীর মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনেন এবং ধৈর্যধারণসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।