নিঝুম রাতে, একটি টিনের ঘরে একা, বাইরে খুব বৃষ্টি হচ্ছে , বৃষ্টির শব্দ আমাকে জাগিয়ে রাখে অনেকক্ষন বহুকাল পূর্বে এক ধর্মপ্রান হুজুর আর মাতাল পাশাপাশি থাকত। তো হুজুর প্রতিদিন সকাল বিকাল মাতালকে বোঝাত: দেখ, বাবা নামাজ রোজা কর নইলে মরার পরে আল্লাহ তোরে খাড়া ডলা দেবে।
মাতাল প্রতিদিন এক কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে বললো। হুজুর আন্নে টেনশন করিয়েণ না । আর বাড়ী নোয়াখালি, আই আর যেয়ানেই যাই দোজখে যাইতান্ন।
হুজুর বেচারা মনোক্ষূন্ন হয়ে আর কিছু বলে না । কিছুদিন পর হুজুর মারা গেলেন । এদিকে মাতালের প্রায় যায় যায় অবস্থা । ডাক্তার ওয়ানিং দিল বাচবেন আর এক সপ্তাহ । মাতাল তাড়াতাড়ি করে তার ছেলেকে বললো যা আমার জন্য কাফনের কাপর কিনে নিয়ে আয়।
আতর মাখিয়ে রেডি করে রাখ আমি মরলে ও দিয়ে কবর দিবি।
যেই বলা সেই কাজ মাতাল মারা গেল । ওই কাপর দিয়ে তাকে কবর দেওয়া হল । তো সবাই চলে যাওয়ার পরই ফেরেস্তারা এল কবর ভিজিটে । মাতাল তো ফেরেস্তাদের দেখেই উল্ঠা জাড়ি কামে ফাকি দেও।
আই তোয়াগো নামে আল্লার তন কমপ্লিন কইরুম। আরে আল্লার কাছে লইয়া চল।
ফেরেস্তারা বলল কেন আমরা কি করছি ।
মাতাল বলে ব্যাটা আই মরছি আইজ সাতদিন হই গেল তোয়াগো কোন খোজ খবর নাই । শরাবন তহুরা খাইয়া ফির্ডিং মারা ছুডামু এনে ।
ফেরেস্তারা একটু ভড়কে গিয়ে বলল কি প্রমান আছে তোমার কাছে । মাতাল কয় দেক আর কাপর শুকি দেখ।
ফেরেস্তোরা কাপড় দেখে ঠিকইতো সাত দিন আগের । যাই হোক ফেরেস্তারা ভয়ে ভয়ে মাতলকে আল্লাহর কাছে নিয়ে আসলো ।
ইশ্বর মাতালকে দেখেই হুঙ্কার দিয়ে উঠলেন ব্যাটা মশ্করা কর তুমি ।
এই কে আছিস ব্যাটাকে নিয়ে নরকে ফেল। আম্নি মাতাল লাফিয়ে উঠে বলল ইশ্বর আপনে না কমিটমেন্ট করছিলেণ কেউ যদি আপনেরে দেখে তয়লে সে আর নরকে যাবেনা।
ইশ্বর পরলেণ মহা ফাপরে । তিনি ফেরেস্তাদের বললেণ যা উরে বেহেস্তে পাঠা।
ফেরেস্তারা ওকে বেহেস্তে দিয়ে এসে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে ।
ইশ্বর তা দেখে যা আর মাথা নিচূ করে দাড়িয়ে থেকে কি হবে । আর শোন এর পর তে কোন নোয়াখাইল্লারে আমার সামনে আনবি না।
(সরি নোয়াখালি লোকদের কাছ থেকে আগেই মাফ চেয়ে নিচ্চি) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।