ছন্নছাড়া বাঁধনহারা দস্যি একটা ছেলে ,, দিবানিশি ক্যামেরা চালায় আহার নিদ্রা ফেলে :) :) লালণ শাহ জন্ম : বাংলা ১লা কার্তিক ১১৭৯ । মৃত্যু : বাংলা ১লা কার্তিক ১২৯৭ । তিঁনি একজন সংস্বারবিবাগী স্বাধীনচেতা মানুষ ছিলেন । কেউ বলেন উনি ছিলেন মরমী কবি , কেউবা আবার উল্লেখ ফকির বা স্বাধু বা শাহী বাবা হিসেবে ! ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু থানার হরিশপুর গ্রামে লালণ শাহ এর জন্ম একটি নিম্নবিত্ত মুসলীম পরিবারে । ছোট বেলা থেকেই লালণ শাহ ছিলেন একটু অন্যরকম স্বভাবের অধিকারী । গৃহে তাঁর মন টিকতো না ! মাঝে মাঝেই একা একা কোথায় যেন চলে যেতেন ! এই হরিশপুর গ্রামেরই আর এক বাউল বা মরমী কবি দরবেশ সিরাজ সাইজীর কাছে তিঁনি ইশ্বরের মানব প্রেম বা জীব প্রেমের আদর্শের তালিম গ্রহন করেন ! এই দরবেশ সিরাজ সাইজীই ছিলেন লালণ শাহের গুরু । আসুন কিছু ছবি দেখি তার পরে আরও কিছু বিষয়ে কথা হবে ..... লালণ শাহের পৈতৃক নিবাশের সামনে এই সাইনবোর্ডটি লাগানো হয় প্রশাষনের নির্দেশে ! ঐ বাড়িতে থাকা একটি জির্ন বই এর পাতা থেকে তোলা এই অংশটুকুর ছবি ! এই স্থানেই শায়িত আছেন লালণ শাহের বাবা মা ! এই ছবিটিতে যারা আছেন তারা সবাই লালণ শাহের বংশধরদের একটি ছোট্ট অংশ ! এটি দরবেশ সিরাজ শাহীর মাজারে খোদায় করা কষ্টিপাথরের ফলক ! যেখানে উনার জন্ম মৃত্যুর দিন উল্লেখ করা হয়েছে ! Click This Link আর এই সেই দরবেশ সিরাজ শাহীর রউজা মোবারাক ! এই মাজারটি রয়েছে হরিশপুরের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক কোনায় ! যেটি লালণ একাডেমী নামে বহুল পরিচিত ! এই বিষয় গুলো লালণ শাহ কে নিয়ে যারা গবেষনা বা পড়াশোনা করছেন তারা সবাই জানেন ! প্রতিবছরই দেশ বিদেশের নানা ধরনের নানা পেশার মানুষ এই হরিশপুর গ্রামের ঐ বাড়িতে গবেষনা কাজের তথ্য সংগ্র করতে বা দেখতে যান । অথচ এই এলাকার রাস্তাঘাট এখনও খুব একটা উন্নত হয়নি বললেও ভুল হবে না ! বিদেশ থেকেও নানা ধরণের আর্থিক সাহায্যও আশে লালণ শাহের এই সব বিষয় এর উপর । এমনকি তার পরিবারের এই সব জীবিত সদস্যদের জন্যেও আশে ! কিন্তু তার ছিটেফোটাও ঐ পরিবার কিংবা এলাকার উন্নয়নের জন্য পায় না তারা ! যেখানে শক্তিশালী প্রশাষনিক অবস্থার কারণে সব সুযোগ সুবিধায় ভোগ করে কুষ্টিয়ায় অবস্থীত লালণ শাহ এর মাজারে সাথে সংশ্লীষ্ট স্বার্থান্নেশী মানুষ গুলো ! সরকারী বে সরকারী কিংবা বিদেশী অনুদানের সবটাই দখল করে কুষ্টিয়ার প্রতিনীধিরা ! অথচ এখনও দারীদ্রতায় জর্জরিত হয়ে কষ্টে দিন কাটায় লালণ শাহ এর পরিবার ও তার গুরুর পরিবারের সদস্যারা !! এই অবস্থার জন্যে দায়ী উক্ত এলাকার সরকার প্রতিনীধি ও প্রশানষন ! কারণ এখানে তাদের অবহেলার কারণেই আজও তেমন কোন উন্নতির ছোয়া লাগে নি ! আর এভাবে চলতে থাকলে আর দু-দশ বছর পরে কেউ আর লালণ শাহ এর জন্মস্থান এর কথা মনে রাখতে পারবে কিনা সন্দেহ ! তাই যারা লালণ শা কে নিয়ে কাজ করেন বা করতে ইচ্ছুক তাদের উদ্দেশ্যে বলছি ... আপনারা এই বিষয়গুলোর উপরেও দৃষ্টিপাত করবেন বলে আশা রাখি !!! ধন্যবাদ সবাইকে !!!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।