ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই গতরাত ছিলো ২০১৩ এর প্রথম সেহরীর রাত। ৩টার দিকে ঘড়িতে এলার্ম দেয়া ছিলো। এছাড়া মা কেও বলে রেখেছিলাম সেহরীতে কল দিতে। তিনিও সময় মতো কল করে জাগিয়ে দিয়েছেন। পাড়ার কিছু পোলাপানও দেখি হাতে কি সব নিয়ে শব্দ করে করে সমস্বরে চিৎকার করে সেহরী খাবার জন্য সবাইকে ডাকছে।
আবার বাসার কাছাকাছিই মসজিদ। সেখান থেকেও রোজাদার ভাই ও বোনদেরকে সেহরী খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি চলছে। ভেবেছি সেহরীতে উঠে সেহরী খাওয়ার পাশাপশি একটু এবাদত বন্দেগীও করব। কিন্তু সেটা আর হলো না। এবং আগমী এই ৩০টা দিন এই একই যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে বোঝা যাচ্ছে।
সেটা হলো এতো ডাকাডাকি চিৎকার সরগোলে আমার ছোট্ট মেয়েটা ভয় পেয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়ে। তাকে সামলাতেই সেহরীরর সময় পার হবার যোগাড়! কখন আমি খাবো, কখন আমার বউ খাবে কখন একটু কোরআন তেলাওয়াৎ বা নামাজে দাড়াবো?
বিশেষত পাড়ার পোলপানগুলো যখন বিল্ডিং এর সামনে বিভিন্ন থালা বাসনে বাড়ি দিয়ে কিদঘুটে চিৎকার করে, সেটা হয় চরম মেজাজ খারাপ করার মতো একটি বিষয়। ভাবি এদের কি বাবা মা নাই? মানুষ ডাকার জন্য এদেরকেই রাতে বের হতে হবে? আসল উদ্দেশ্য হলো ২৮ বা ২৯ রোজায় এসে বলবে ভাই সেহরীতে ডেকে দিছিলাম ... খুশি করেন। গত বছর দুই জন এসেছিলো ২৯ রোজায় বেলা ১২টায় খুশি হতে, তাদের একজনকে আবার দেখলাম ঐসময়ই চিপায় দাড়ায়ে ধুমপান করতে। মনে হয়েছিলো চটকানা মেরে দাঁত সবকটা ফেলে দিই, কিন্তু পারিনি, স্বাধীন দেশ, যার যা খুশি তা-ই করতে পারে।
বরং হাসি মুখে ১০০ টাকা দিয়ে বিদায় করেছি আর মুখে বলেছি ছিঃ ছিঃ ভাই! সেহরীর টাকা নিতে এসেছেন অথচ চিপায় দাড়ায়া রোজার দিনে সিগারেট টানছেন!! বেচারা একটু লজ্জা পেয়েছিলো আর কিছু নয়। বুঝলাম সেহরী ইফতার এ মানুষকে ডেকে দেয়ার উদ্দেশ্য হলো চান্দাবাজী, আর কিছু নয় ..... আগামী ২৯/২৮ টা রাত আমার পরিবারকে রাতে এই যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে ......... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।