যুক্তরাষ্ট্রের হাতে গুয়ানতানামোয় আটক বন্দীরা অনশন শুরু করেছেন। অনশনের কারণে মৃত্যু ঠেকাতে ওই বন্দীদের জোর করে খাবার খাওয়ানো হচ্ছে।
পেন্টাগন সূত্রে জানা গেছে, ১৬৬ জন বন্দীর মধ্যে ১০৬ জন এখন টানা অনশনে আছেন। এর মধ্যে ৪৫ জনকে জোর করে খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। প্রভাবশালী দুজন মার্কিন আইনপ্রণেতা ডায়ান ফেইনস্টোন ও ডিক ডুরবিন বন্দীদের প্রতি অমানবিক আচরণ বন্ধের জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তাঁরা প্রেসিডেন্টকে তাঁর নিজস্ব ক্ষমতা প্রয়োগ করে গুয়ানতানামোয় আটক বন্দীদের জোর করে খাবার খাওয়ানো বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল বুধবার প্রেসিডেন্ট ওবামার কাছে দেওয়া এক চিঠিতে তাঁরা এ আহ্বান জানান। ডায়ান ফেইনস্টোন ও ডিক ডুরবিন তাঁদের চিঠিতে অমানবিক আচরণ বন্ধের জন্য মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের পর গুয়ানতানামো বন্দিশিবির কুখ্যাত হয়ে ওঠে। জঙ্গি সন্দেহে মার্কিন বাহিনীর হাতে আটক লোকজনের ঠিকানা হয়ে ওঠে এই বন্দিশিবির।
নির্জন দ্বীপে বিনা বিচারে লোকজনকে আটক রাখা হয়েছে বছরের পর বছর ধরে। প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট ওবামা এখনো বন্ধ করতে পারেননি এই বন্দিশিবির। এখনো আটক বন্দিদের মধ্যে ৮৬ জনের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণই পাওয়া যায়নি। বিচারপ্রক্রিয়ার বাইরে বছরের পর বছর আটকে থাকা এসব লোকজন এখন টানা অনশনের পথ বেছে নিয়েছেন।
মার্কিন কারানীতি অনুযায়ী, অনশনের কারণে বন্দীর মৃত্যু ঠেকাতে বন্দীদের এখন জোর করে খাবার খাওয়ানো হচ্ছে।
এর প্রতিবাদ করছেন খোদ মার্কিন আইনপ্রণেতারা। এর মধ্যে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে বন্দীদের খাবার গ্রহণে বাধ্য না করার একটি আবেদন বাতিল করে নির্দেশ জারি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালত। সিনেটর ডায়ান ফেইনস্টোন বলেছেন, বন্দীদের প্রতি এমন আচরণ সম্পূর্ণভাবে অমানবিক। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জে কারনেই বলেছেন, বন্দীদের অনশনে মৃত্যু ঠেকাতেই জোর করে খাবার খাওয়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।