আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এবিএম মূসার প্রতি শ্রদ্ধা

বেশ কয়েকবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা এবিএম মূসার মরদেহ প্রেস ক্লাব চত্বরে আনা হয় বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায়।
এখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

একুশে পদকে সম্মানিত প্রবীণ এই সাংবাদিক ৮৩ বছর বয়সে বুধবার মারা যান। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।

প্রেসক্লাবে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, “৬০ বছরের বেশি সময় ধরে তাকে চিনতাম।

সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তিনি যে উদাহরণ স্থাপন করেছেন তা অনুসরণ করলে দেশ উপকৃত হবে। ”
প্রবীণ সাংবাদিক কামাল লোহানী বলেন, “১৯৫৬ সালে যখন প্রথম সাংবাদিকতা শুরু করি তখন থেকে তাকে চিনি। তিনি অত্যন্ত দৃঢ়চেতা ছিলেন। কর্মক্ষেত্রে তিনি যেমন সফল ছিলেন তেমনি সাংবাদিকদের জন্য ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। ”
প্রেসক্লাবে এবিএম মূসার মরদেহে শ্রদ্ধা জানান দৈনিক ইত্তেফাকের উপদেষ্টা সম্পাদক হাবিবুর রহমান, প্রবীণ সাংবাদিক আবদুর রহিম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, দৈনিক অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী।


এছাড়াও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মওদুদ আহমদ, জাসদ নেতা নাজমুল হক প্রধানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও প্রেসক্লাবে উপস্থিত রয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “এবিএম মূসা নিজেই ইতিহাসের নির্মাতা, তিনি অত্যন্ত বস্তুনিষ্ঠ ও সৎ মানুষ ছিলেন। তার পরামর্শ শেখ হাসিনা সরকারকে সাহায্য করেছিল। ”
সহকর্মী আর সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জানাজা শেষে সাংবাদিক এবিএম মূসার মরদেহ ফেনীতে তার গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

১৯৩১ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারিতে ফেনীর পরশুরাম থানার ধর্মপুর গ্রামে এবিএম মূসার জন্ম।

তার সাংবাদিকতার হাতেখড়ি হয়েছিল ফেনীর ‘সাপ্তাহিক কৈফিয়ৎ’ সম্পাদনার মাধ্যমে।
পরে ঢাকায় চলে আসেন মূসা। বাসস, বিটিভিসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতীয় প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য ছিলেন তিনি।
ঢাকায় এবিএম মূসার প্রথম জানাজা হয় বুধবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের মাঠে।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে ১১ বার     বুকমার্ক হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।