আমরা বাংগালী/বাংলাদেশিরা এমন একটা জাতি যারা হাজার বছর ধরে শাসিত ক্ষুধা,দারিদ্র্য,অশিক্ষা,স্বদেশী দূর্নীতিবাজ ও অত্যাচারী ধনিক শ্রেনী এবং বিদেশি প্রভাবকামী শাসক দ্বারা। এর বহু কুফল আছে। যেমন,দারিদ্র্য আর অশিক্ষার কুফল হল যতরাজ্যের হিন্দু ও মুসলীম ধর্মীয়,ও দৈনন্দিন কুসংস্কার। তবে ক্ষুধার কুফল সবচেয়ে বেশি। তাহল,আমরা এখনো ক্ষুধার্ত।
আমাদের মাঝে যাদের টাকা আছে,তাদের এত খেয়েও স্বাদ মেটে না। মাংসের স্বাদ মেটানোর জন্য তাদের একটা বড় উতসব দরকার। এই উতসবের উপর তারা চড়িয়েছে ধর্মীয় লেবাস,আর যায় কোথায়!গতবছর,নেপালে ২০০০০ মহিষ বলি হয়েছিল ধর্মীয় কারনে। তখন পরিবেশবাদীদের প্রতিবাদ দেখে ভাল লেগেছিল। কিন্তু প্রতিবছর যে মুসলীমরা সারা বিশ্বে ১ দিনেই বিলিয়ন বিলিয়ন পশু নিধন করছে সে ব্যাপারে পরিবেশবাদীরা এত নিরব কেন???বলি,মুসলীমরা তো সারা বছর গরু খাসি না খেয়ে থাকে না।
মাংসের চাহিদা মেটানোর জন্য একদিনে এত গরু-খাসি-দুম্বা-উট হ্ত্যা করার আদৌ কী কোন দরকার আছে?মনে হয় না।
আর যদি সত্যিই কেউ আল্লাহ'র অনুগত হয়ে শ্রদ্ধা থেকে কিছু করতে চায়,সেজন্য খুনাখুনি রক্তারক্তির কী কোন প্রয়োজন আছে?যে টাকা দিয়ে পশু কেনা হবে,সেই টাকাটা গরীবদের মাঝে বিলিয়ে বা শুধু তাদের জন্যই উতপাদনশীল(প্রোডাক্টিভ) কিছু করলেইতো হয়।
অতএব কোরবানী বা বলি যাইহোক,কোরবানীকে "না" বলুন।
আমার কথা পছন্দ না হলে ফালতু বা অকথ্য কোন ভাষা এখানে বলবেন না। আপনার কথা বা ভাষা ই আপনি কে,কী,কোন শ্রেনীর মানুষ না কোন শ্রেনীর পশু তা প্রমাণ করবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।