আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানুষের মাংস!!!!

অভ্র, যুগান্তকারী বাংলা লেখার সফটওয়ার। জটিল কিবোর্ড লেআউট মুখস্থ করতে না পেরে যারা বাংলা লেখাকে ভুলতে বসেছিলেন, বিদেশী ভাষায় চালিয়ে যাচ্ছিলেন বাংলা লেখা, তাদের জন্য, আমাদের সবার জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে ফ্রি সফটওয়ার অভ্র। অভ্রর সহজবোধ্য লেখার উপায় ও ইউনিকোড ভিত্তিক ফন্টের কারণেই আজকের ব্লগিং জগতে বাংলার এই সদর্প পদচারণা। এই গ্রুপটিতে আমরা অভ্র নিয়ে কথা বলবো, অভ্রর এই সঙ্কট মুহূর্তে প্রিয় সামহয়ারইন ব্লগের ব্লগারদের কণ্ঠে ধ্বনিত হবে - "ভাষা হোক উন্মুক্ত"।   ঘটনা ১ ছোট বেলায় নানি একটা গল্প বলছিলেন।

এক পাগলী তার তিন মাসের বাচ্চাকে নিয়ে পুকুর ঘাটের দিকে যাচ্ছে। সাথে একটা গামলা। গামলাতে আলু, পেঁয়াজ। চাচা (আমার নানীর) নাকি দেখে হাক পারলেন। “ কিরে বুড়ি? কই যাস?” পাগলী মুচকি হেসে বলল, আলু কচু দিয়ে মাংস রান্না করব।

চাচার কেমন যেন সন্দেহ হল। উনি জিজ্ঞেস করলেন, কিসের মাংস? পাগলী খুব অবাক হয়ে তার কাঁধে রাখা বাচ্চার দিকে ইঙ্গিত করলো। আমি এতটুকু শুনে আর শুনতে পারিনি। ভয়ে কান্না করে দিয়েছিলাম। পড়ে আমাকে অন্য রুমে ঘুমাতে পাঠানো হয়।

সেই মহিলাটাটির কথা আমি কখনো ভুলতে পারিনি। পারবনা। ঘটনা ২ সকালে ভার্সিটি যাবার জন্য তাড়াহুড়া করে বের হচ্ছি। এমন সময় আমার রুমের এক ভাইয়া জোরে জোরে পড়ছে। “মানুষ হয়ে মানুষের মাংস ভক্ষণ” আমি বের হয়ে আসার পর সারাটা দিন আমার মাথায় ব্যাপারটা ঘুরতে থাকল।

আমি রাতের বেলায় পুরো খবর খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়লাম। আমার ঘেন্নায় বার বার বমি করে দিতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু দাতে দাত চেপে পড়ে গেছি। সন্তানকে, নাতিকে কেটে কুটে, সিদ্ধ করে খেয়েছে। সেই সব অপরাধীকে ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে গুলি করে দেয়া হয়েছে।

গুলি করার ব্যাপারটা আমার কাছে ভাল লেগেছে। আগেপড়ে তো মরতেই হবে। পরিশিষ্ট ঘটনা ১ এর শেষটা বলি আমার নানী পরে আমাকে বলেছিলেন ঐ বাচ্চাটাকে নাকি এতিমখানায় পাঠানো হয়েছিল। পাগলী মাকে চিকিৎসা করা হয়েছিল। একসময় সুস্থ হবার পর তাঁকে যখন ঘটনাটা বলা হয়।

তিনি খুব অবাক হন। ঘটনা ২ এর কোন শেষ নাই। পৃথিবীতে এখন সংবাদমাধ্যম খুবই শক্তিশালী, জনপ্রিয়। কে মরেছে, কে ধর্ষণ হয়েছে এটা ব্যাপার না। কে নিউজটা কাভার করতে পেরেছে? এটাই মুখ্য।

ক্ষুধার জ্বালায় মানুষ মরছে এটা খুব হাইলাইট করা নিউজ। মানুষ মানুষের জন্য হাতে ফুল, অস্ত্র, কলম নিতে পারলে সেই হাতে ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে খাবারও তুলে দিতে পারবে। এই নিউজটার অপেক্ষায় রইলাম। আমি পত্রিকা হাতে নিয়ে জোরে জোরে পড়বো। আমরা মানুষ।

আমরা ক্ষুধায় মারা যাওয়া নিউজ পড়ি না। আমরা বেঁচে থাকার নিউজ পড়ি। উৎসর্গঃ উত্তর কোরিয়ায় নীরব দুর্ভিক্ষে মারা যাওয়া ১০ হাজারের বেশি মানুষ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.