সাপের মাংস বা সাপের জুস খাবার কথা শুনলে অনেকের গা ঘিন ঘিন করে উঠবে। ভাববেন এটা একেবারে অবিশ্বাস্য ব্যাপার। অবিশ্বাস্য হলেও এটা কিন্তু একেবারে সত্যি। দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রীড়াবিদরা প্রতিদিন হাজার হাজার সাপের মাংস আর সাপের জুস খেয়ে শিউল অলিম্পিকে পদকের জন্য লড়ে গেছেন। তাদের ধারণা এটা নাকি বলবর্ধক টনিকের মতো কাজ করে, এর চেয়ে ভালো শক্তিবর্ধক টনিক নাকি আর নেই।
দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রীড়াবিদদের দেখাদেখি অন্য কয়েকটি দেশের ক্রীড়াবিদরাও শিউল অলিম্পিকে গিয়ে এই উপাদেয় খাবার খেয়ে রসনা করেছেন আর শরীরে নাকি অসাধারণ বল ফিরে পেয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার কুস্তিগীর হ্যান মিয়াং একাই প্রতিদিন ২০০টি সাপ খেয়েছেন। এর মধ্যে কিছু সাপ কেটে মাংস রান্না করে খাওয়ানো হয়েছে, আর কিছু সাপের জুস করা হয়েছে। মেয়ে হকি খেলোয়াড় কিয়েং শুকের বক্তব্য, সাপের মাংস আর সাপের জুস সবচেয়ে বেশি শক্তি জোগাতে পারে। তিনি প্রতিদিন এই খাবার খেয়ে গেছেন অন্যান্য খাবারের সঙ্গে।
এটা নাকি একটা তোফা খাবার। আগে তার এই সাপের মাংস বা জুস খাওয়ার অভ্যাস ছিল না। এবারই তিনি প্রথম খেলেন। খেয়ে অবশ্য তিনি বমি করেননি বা তার গা-ও গুলিয়ে উঠেনি।
বেশ মজা করে খেয়েছেন, রসনাতৃপ্ত করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবল খেলোয়াড়দের জন্য প্রতিদিন ৫০০ করে সাপ লেগেছে গত অলিম্পিকের সময়। এবারই প্রথম নয়, আসলে শিউলে কয়েক বছর আগে এই তথাকথিত উপাদেয় খাদ্যটি চালু হয়েছিল। সাপের মাংস আর জুস সে দেশের হোটেলগুলোতে দৈনিক খাদ্য তালিকায় রাখা হয়েছে। হোটেলগুলোর এতে রমরমা ব্যবসাও চলছে। অনেকে হয়তো জানতে চেয়েছেন, এই সাপের জুস কিভাবে তৈরি করতে হবে? পদ্ধতিটা বাতলে দিচ্ছি।
তবে ব্যাপারটা গোপন রাখবেন কিন্তু। হ্যাঁ, সাপের পেটটা চিড়ে নাড়িভুঁড়ি বের করে ফেলুন। মুণ্ডুটাকেও কেটে বাদ দিন। এরপর সস প্যানে পানি দিয়ে উনুনে চাপিয়ে দিন। তাতে সাপগুলো ছেড়ে দিন।
ভালোমতো সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়ে একটা লম্বা কাপড়ের মধ্যে জড়িয়ে এক জায়গায় করে চাপ দিন। তা থেকে টপ টপ করে গড়িয়ে পড়বে জুস।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।