এতদিন ভূতের ভয়ের দোহাই দিয়ে অনেকেই ভূতের ছবি দেখেননি। কিন্তু এবার বিজ্ঞানীরা জানালেন, ভূতের ছবি দেখা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য। তাই মানসিকভাবে পুরোপুরি ফিট থাকতে হলে ভূতের ছবি দেখা ভালো।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ভূতের ছবিগুলো মানব মস্তিষ্ক এবং দেহে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে এই ভূতের ছবিগুলো।
গবেষকরা জানান, ভূতের ছবি দেখার ফলে মস্তিষ্ক উত্তেজিত হয়ে যায়। এর ফলে মস্তিষ্ক থেকে নিঃসৃত হয় ডোপামিন, গ্লুটামেট এবং সেরোটোনিন। আর এগুলো নিঃসরণের পর মস্তিষ্ক কিছুটা হালকা হয়ে যায়, ফলে বেড়ে যায় আমাদের অনুভূতির ক্ষমতা এবং সংবেদনশীলতা। একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে, ভূতের ছবি দেখা শেষে অল্প একটু আওয়াজে কিংবা নিজের ছায়া দেখেই কিভাবে হঠাৎ চমকে যাই আমরা।
তখন আমরা আমাদের অনুভূতির ক্ষমতা অনেক বেশি সূক্ষ্ম এবং তীব্র হয়ে যায়। আর ঘন ঘন ভূতের ছবি দেখার ফলে এই সংবেদনশীলতার স্থায়ীত্বও বেড়ে যায়।
এছাড়াও, নিয়মিত ভুতের ছবি দেখার ফলে আমাদের মস্তিষ্কে নিজেকে প্রতিরক্ষার জন্য যেই সেলটি আছে সেটির কার্যকারিতা বাড়ে। গবেষকদের মতে, বিপদের সংকেত বোঝার জন্য আমাদের মস্তিষ্কে একটি সেল আছে, যার নাম হাইপোথ্যালামাস। কিন্তু অনেক সময় এটা অসার অবস্থায় থাকে এবং অনেক ক্ষেত্রে ঠিক সময়ে এটা কাজ করে না।
কিন্তু ভূতের ছবি দেখার ফলে এই সেলটি চাঙ্গা হয়ে ওঠে এবং যেকোনো ছোটখাটো বিপদের সংকেত পেলেই সর্তক হয়ে যায় আমাদের মস্তিষ্ক এবং আমরা। এজন্যই তো ভূতের কোনো ছবি দেখার পর বার বার মনে হয় জানালাটা খোলা নাকি? বেসিনের কলটা ছাড়া নাকি? এমন আরো অনেক কিছু।
গবেষকরা বলেছেন, একটা ভূতের ছবি দেখার পর অন্তত দেড় ঘণ্টা আমাদের মস্তিষ্ক সংবেদনশীলতার চরম মাত্রায় থাকে। আর নিয়মিত ভূতের ছবি দেখলে এই সংবেদনশীলতা স্থায়ীত্ব পাবে। এর ইতিবাচক প্রভাব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।