শেষ বারের মতো সতর্ক করছি... গতকাল দিনটা অন্য দিনের তুলানায় ভাল কেটেছে। খুব ছোট ছোট ঘটনা আমাদের অনন্দ দিতে পারে ব্যপারটা বিশ্বয়কর। আমি একবার ভেবেছিলাম ছোট বাবুটিকে আজ আবার ফোন করি।
সকালে ঘুম থেকে উঠে এপাশ ওপাশ করতে করতেই সকাল পার হয়। তার ওপর যদি সেদিন থাকে সপ্তাহিক ছুটির দিন তাইলে তো কথাই নেই।
ছুটির আগের দিন নেটে বসে থাকতে থাকতেই চারটা বাজে। তার পর এক খানা বই নিয়ে পড়া শুরো করতেই ঘুম। প্রচুর কাজের চাপ না থাকলে ঘুমটাও খুব সুবিধার হয়না। সাকলেই উঠে রাতের দেয়া স্টেটাসটা চেক করতে বসে যাই। এবারও নিশ্চয় মনে করছেন আমি খুব ফেসবুক ভক্ত? তা কিছুটা বলা যায় অনেক সময়ই ফেসবুক ওপেন করেই থাকি।
কিন্তু আমার বন্ধুর সংখ্যা আহামরি কিছু নয়। আর বন্ধুদের তালিকায় যারা আছেন তারা খুবই ব্যস্ত মানুষ। এবার নিশ্চয় বুঝতে পারছেন। আমার স্টেটাসে কমেন্ট করার কারো সময় হয়না। তবু সকাল হতেই মনে হয়।
রাতের বেলায় যদি কারো কাজ না থাকে, দেখার মতো কোন ব্লগ পোষ্ট না থাকে তবে তো আমার স্টেটাসে একটা লাইক দিতেও পারে। সেই আশাতেই সাকলে ওঠা। কিন্তু বেশির ভাগই আমার আশার গুড়ে বালি হয়। অবশ্য গুড়ে সব সময়ই বালি থাকে। এটা দুষের কিছু না।
যারা গুড় তৈরির প্রক্রিয়াটা দেখেছেন তারা আমার সাথে একমত হবেন। তবু কেন লোকে গুড়ে বালি অপবাদ হিসেবে ব্যবহার করে ?
এবার হোটেলে নাস্তা পার্ব। (ওহ বলে নেই। আমার রান্নার কোন ব্যবস্থা নেই, হোটেলেই তিন বেলা খেতে হয়। ) এভাবেই একবছর ধরে আছি।
যেহেতু ব্লগিং করছি ,কমেন্ট করছি বুঝতেই পারছেন ভালই আছি। বহাল তবিয়তে সবারে খুঁচিয়ে চলেছি।
তো নাস্তা খেতে খেতে একটা ফোন আসল। কয়েক বার হ্যালো হ্যালো করার পর। একটা ছোট বাচ্চা জিজ্ঞেস করছে।
কে? কে?
আমি বললাম : তুমি কাকে ফোন করেছ?
সে আবার বলে : কে তুমি কে?
আমি : আঙ্কেল তুমি কাকে চাও?
বাচ্চা: কাউকেই না। এমনিতেই ফোন করেছি। এটা কি রং নাম্বার?
আমি: তুমি যদি আমার সাথে কথা বলতেই করে থাক তবে রং নাম্বার না।
বাচ্চা: এটা কি তবে রং নাম্বার?
আমি: না এটা ঠিক নাম্বার বল।
বাচ্চা: তুমি কে?
আমি: তুমি আমাকে চিনবেনা।
বাচ্চা: তাহলে তুমি কে?
আমি: তুমি কে?
বাচ্চা: আমি উৎস।
আমি: আঙ্কেল তুমি কাকে চাও?
বাচ্চা:মোহাম্মদ....।
এমন একটা নাম বলেছে। মনে রাখতে পারিনাই। আমি বললাম।
না আঙ্কেল আমি সে না। তাহলে তুমি রং নাম্বারেই ফোন করেছ।
বাচ্চা: তুমি কি তাকে চেন?
আমি: না আঙ্কেল। আমি চিনিনা।
বাচ্চা: তুমি কি কর?
আমি: আমি নাস্তা খাচ্ছি।
তুমি কি নাস্তা খেয়েছ?
উৎস: তুমি নাস্তা খাচ্ছ কেন? ইত্যাদি ইত্যাদি
আরো বেশি কিছু প্রশ্ন করেছে। আমি সবগুলো মনে রাখতে পারি নাই।
তার পর একবার বরে আচ্ছা আঙ্কেল রাখি।
ঠিক আছে রাখ।
সে রেখে দেয়।
ছোট বাচ্চা হয়তো কিছুক্ষন পরেই সব ভুলে গেছে। কিন্তু আমার মনে তার কথাগুলো বার বার দোল খেয়েছে। হয়তো আমার শিশুবেলাও তাড়া করেছে আমাকে। আমি নিজেকে সুখি বলি। আমার ধারনা মানুষ মাঝে মাঝে খুব অল্পতেই সুখি হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।