বলার মত কিছুই নেই | বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের খুবই জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক। বাংলাদেশেও এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। নানা বয়সের মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করলেও মূলত তরুণ প্রজন্মই এটি বেশি ব্যবহার করে। তরুণদের কাছে ফেসবুকের আকর্ষণ অনেক বেশি। আবার অনেক সময় দেখা যায়, ফেসবুকের নীতিমালা না জানা বা নীতিমালা না পড়ার কারণে অনেক কম বয়সী ছেলেমেয়ে ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট খুলে তা ব্যবহার করে।
ফেসবুকে হাজারো সুবিধা থাকার পরও কম বয়সী ব্যবহারকারী ও মেয়েরা এখানে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকারও হয়। যেহেতু ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে শনাক্ত করা কঠিন, তাই এতে অনেক সময় অনেক সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় দেখা যায় ব্যবহারকারীর সব তথ্য (প্রোফাইল ইনফো) তাঁর বন্ধু (ফেসবুক ফ্রেন্ড) না হয়েও অনেকে দেখতে পারে বা একজনের ব্যক্তিগত ছবির অ্যালবাম অনাকাঙ্ক্ষিত কেউ দেখে ফেলে। এসব সমস্যার সমাধান করা যায় সহজেই। তবে এর জন্য ব্যবহারকারীকে ফেসবুকে তাঁর ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।
বিভিন্ন ধরনের প্রাইভেসির সুবিধা এতে রয়েছে।
ফেসবুকে ফ্রেন্ড লিস্ট আলাদা রাখা
ফেসবুকে প্রাইভেট গ্রুপিংয়ের মাধ্যমে বন্ধুদের তালিকা আলাদা করা যায়। পরিবার, স্কুল, কলেজ বা অফিসের বন্ধুদের তালিকা আলাদা রাখলে সবারই নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে। এটি সহজে করা যায় ফ্রেন্ড লিস্টে গিয়ে নতুন লিস্ট তৈরি করার মাধ্যমে।
ফেসবুক সার্চ লিস্ট বন্ধ করা
ফেসবুকের সার্চ অপশন ব্যবহার করে সহজেই মানুষকে খুঁজে পাওয়া যায়।
তবে এটি বন্ধ করা যায়, এমনকি ব্যবহারকারী যে নেটওয়ার্কের সদস্য, সেটি থেকেও তাঁর উপস্থিতি লুকানো সম্ভব। এটি করা যাবে প্রাইভেসি সেটিংস থেকে সার্চ অপশনে গিয়ে। ফেসবুক সার্চ রেজাল্টে কারা সার্চ করতে পারবেন, এটি বাছাই করা যাবে এখান থেকে।
গুগল সার্চ লিস্ট বন্ধ
অনেক সময় দেখা যায়, গুগলে কারও নাম দিয়ে সার্চ করা হলে, সেখানে সেই ব্যক্তির ফেসবুকের পেইজও চলে আসে। এভাবে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিও নির্দিষ্ট কারও সব তথ্য পেতে পারে বা তাকে খুঁজে বের করতে পারে।
এটি করার জন্য ‘সার্চ প্রাইভেসি সেটিং’ পেইজে গিয়ে ‘পাবলিক সার্চ রেজাল্ট’ থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিতে হবে।
অনাকাঙ্ক্ষিত ট্যাগ বন্ধ
যাঁরা ফেসবুক ব্যবহার করেন, তাঁদের কাছে এটি খুব পরিচিত ব্যাপার। ব্যবহারকারীর অজান্তে দেখা যায়, তাঁর কোনো ব্যক্তিগত ছবি বা অন্য কারও ছবি যোগ হয়ে যায় (ট্যাগ করা) এবং ব্যবহারকারীর বুন্ধরা সেটি দেখতে পান। প্রাইভেসি সেটিংসে গিয়ে ‘ফটোস ট্যাগড অব ইউ’-এ গিয়ে ‘ওনলি মি’ অপশন বাছাই করে দিলে কেউ আর কোনো ছবি যোগ করতে পারবে না।
ফটো অ্যালবামের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
অনেক সময় দেখা যায়, পারিবারিক ফটো অ্যালবাম, যা কিনা শুধু পরিবারের সাঙ্গে দেখা যায়, তা অসাবধানতার কারণে সবার কাছে উন্মুক্ত হয়ে যায়।
ফটো বা ফটো অ্যালবাম ফেসবুকে রাখার (আপলোড) সময় কে কে এটি দেখতে পাবে, তা ঠিক করে দেওয়া যায়।
নিউজ ফিড নিয়ন্ত্রণ করা
ব্যবহারকারী তাঁর নিউজ ফিড নিয়ন্ত্রণ না করলে তাঁর প্রোফাইলের অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সবার নজরে পড়ে যায়, যা হয়তো তিনি কাউকে দেখাতে চাননি।
অ্যাপ্লিকেশন স্টোরি নিয়ন্ত্রণ করা
ফেসবুকের অন্যতম আর্কষণ এর বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন। এসবের হালনাগাদ (আপডেট) অনেক সময় ব্যবহারকারীর অজান্তে তাঁর নিউজ হোম পেইজে প্রকাশ হয়, যা অনেক সময় বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি করে। এ থেকে মুক্তি পেতে ফেসবুকের অ্যাপ্লিকেশন সেটিংস অপশনে গিয়ে ইচ্ছেমতো পবির্তন করতে হবে।
কনটাক্ট ইনফরমেশন প্রাইভেট বানানো
ব্যবহারকারী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার তথ্য যেমন—ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। প্রাইভেসি সেটিংস থেকে কনটাক্ট ইনফরমেশন অপশনটি বাছাই করে এটি করা যাবে।
ওয়ালপোস্ট নিয়ন্ত্রণ করা
ওয়ালপোস্ট নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে প্রাইভেসি সেটিংস থেকে প্রোফাইল ইনফরমেশন অপশনটি বাছাই করতে হবে। সেখানে অ্যালাউ ফ্রেন্ডস টু পোস্ট অন মাই ওয়াল অপশনে টিক চিহ্ন দিতে হবে।
অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি ব্লক করা
ফেসবুক ব্যবহারকারী যদি নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করতে চান, তবে তাঁকে বুক লিস্টে যেতে হবে।
সেখানে নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম বা ই-মেইল ঠিকানা ব্লক করা যাবে।
আজকে প্রথম আলোতে প্রকাশিত। অনেকের নজর এড়িয়ে যেতে পারে বলে এখানে কপি করলাম। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।