আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হ্যালোউইন এর রাতে/দিনে গল্প! ''আমি জীবনের প্রথমবারের মত মনে হতে লাগল আমার একটা প্রেমিক দরকার, কেনোনা............''

I like to hear complain from my readers about my lacks.............................................আমি এক পরী যার ডানাও নেই, আকর্ষনও নেই ছোট বাচ্চারা আব্বু আম্মুর সাথে আসো, আর বড়রা, তোমরা একাই একশ! দিয়ানা বলল,'' খুজে পেয়েছি। '' ''কি?'' প্রশ্ন করল লিয়ানা। ''লাভ পোশন'', এছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই,'' বলল দিয়ানা। ''কিন্তু লাভ পোশন তৈরী করবে কে? অন্য কিছু বের কর, তাছাড়া লাভ পোশন তৈরী করাক মত কোন জাদু আমাদের নেই,''লিয়ানার বলল। ''তাহলে কোনোদিনই রিয়ানা ফিরে পাবেনা তার নিজের রুপ?'' পিয়ানার গলায় স্পষ্ট আকুতি।

|দিয়ানা, লিয়ানা,রিয়ানা আর পিয়ানা চার সৎ বোন। দিয়ানা বড়, লিয়ানা দ্বিতীয়, রিয়ানা তৃতীয় আর পিয়ানা ছোট। দিয়ানা আর পিয়ানা হল ট্রিক্সদের মহারানী আলিসিয়ারমেয়ে, আর রিয়ানা এবং পিয়ানা হল উংক্সদের রানী এরিনার মেয়ে। আলিসিয়া ছিল ট্রিক্সদের রাজকন্যা যখন সে তার প্রথম বিয়ে করে। সে বিয়ে করেছিল ট্রিক্সদের রাজা সালনডরকে।

ট্রিক্সরা হল পৃথিবীর সব খারাপ ও অশুভ শক্তির অধিকারী। কিন্তু ওদের মধ্যে ছেলেদের জাদু ছিল বেশি কার্যকরী আর মেয়েরা বাচত বেশ। কিন্তু ওদের একটা প্রাচীন সত্য ছিল। প্র‌তি এক হাজার বছর পর ওদের মধ্যে একটি শক্তিশালী মেয়ে ট্রিক্স জন্মাবে, যে হবে অন্য সব ট্রিক্সদের চেয়েও বেশি শক্তিশালী। আর সেই ট্রিক্সরা তৈরী করত নতুন জাদু, যা অন্যদের জন্য ভীতিকর এবং শক্তিশালী হত।

আলিসিয়া ছিল সেই রকম ট্রিক্স, যাদের আবির্ভাব প্রতি এক হাজার বছর পর হয়। আলিসিয়া লাভ পোশন তৈরী করেছিল। আর সেই পোশন খাইয়ে সে তার প্রাক্তন স্বামী সালনডরের রাজ্য ও জাদু আত্মসাত করে। শুধু তাই নয়, সে উংক্সদের রাজা ট্রয়কেও বিয়ে করে। কিন্তু ট্রয় সব বুঝতে পেরে আলিসিয়াকে বিতাড়িত করল উংক্স রাজ্য থেকে।

কিন্তু ট্রয় অস্বীকার করল তার সন্তানদেরকে আলিসিয়ার সাথে যেতে দিতে, কেনোনা ট্রয় ভাবছিলো আলিসিয়া যদি ওর মেয়েদেরকে সঙ্গে নিয়া যায় তবে ওরাও ট্রিক্সএ পরিনত হবে। প্রথমে আলিসিয়া বাধা দিতে চাইল, কিন্তু পরে ট্রয় আর এরিনার বিয়ের সংবাদে সে ভাবতে লাগল, যদি এরিনা আর ট্রয়ের কোনো সন্তান হয়, তবে তার মেয়েদের কি হবে? আর তাই সে তার মেয়েদেরকে রেখে চলে আসল ট্রিক্স রাজ্যে। উংক্সরা হল ভালো আর শুভ শক্তির অধিকারী। তাই আলিসিয়া এরিনার প্রথম সন্তানের জন্মের পুর্বে, একটা পোশন খাওয়ালো সে এরিনাকে। এর ফলে রিয়ানা ড্রাকুলা হয়ে গেল।

তারপর উংক্সরা মিলে আলিসিয়াকে মেরে ফেলে। কিন্তু রাজকন্যা রক্তখেকো ড্রাকুলা বলে সবাই ভয় পেতে লাগল। সব জাদুর শেষ আছে। আর রিয়ানার জাদুর শেষ হবে যদি কোনো উংক্স হলোউইনের রাতে রিয়ানার প্রেমে পরে। কিন্তু রিয়ানা ড্রাকুলা হওয়া স্বত্তে কেউ তার পাশে কোনো উংক্স বেশিক্ষন বসতে চাইতো না।

আর ড্রাকুলারা বাচতে পারেনা যদি রক্ত না খেতে পারে। তাই রিয়ানার জন্য আলাদা প্রাসাদ ছিল। আলিসিয়া খুব বুদ্ধিমতী ছিল, আর তার নিজের অর্জিত লাভ পোশন, যা কিনা রাজকুমারীর রিয়ানা জন্য আশির্বাদ হতে পারত, তা সে রেখে গেলো অজ্ঞাত ভাবে। রেখে গেলো সবার নাগালের বাহিরে, যাতে কেউ না পারে তা নিজে রপ্ত করতে। ....................................................................................................... আজ হ্যালোউইনের রাত, বের হল রিয়ানা।

নিজেকে বড় অসহায় মনে হচ্ছে, সে চায় না উইংক্স রাজকন্যা হতে, সে ড্রাকুলা হয়েই থাকতে চায়, কিন্তু তার জন্মের সময় বাবার অনেক জাদু তাকে উপহার দেয়া হয়, কিন্তু সে জাদু সে কাজে লাগাতে পারেনি, কেনোনা সে এক ড্রাকুলা। কিন্তু সবাই তাকেই জোর করছে, তাই কিছুটা নিরুপায় হয়েই বের হল আজ রাতে। হ্যালোউইনের রাত, সবাই বন্ধুদের সাথে বের হয়, সেখানে উংক্সদের চেনা মুশকিল। চাইলেই অন্যদের সাথে বের হতে পারত, কিন্তু তার খারাপ লাগছিলো, কখনো ভাবেনি তাকে প্রেমিক খুজতে বের হতে হবে! হটাৎ মনে হতে লাগল কে যেনো পিছু পিছু হাটছে, ফিরে তাকাতে অবাক হয়ে গেলো রিয়ানা। একে সে কখনো দেখেনি, কিন্তু পিছু কেনো নিয়েছে তার? প্রিন্স ফিরাতে পারছিল না চোখ, এ যেনো ক্লিওপেট্রাকেও হারিয়েছে, এতো নীল চোখ অবশ করে দিলো তার স্পন্দন।

''দেহে সাড়া জাগাতে হলে কেউ চিৎকার করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তাকে'' ভাবল ট্রয়। রীন পাশে এসে দাড়িয়েছে বুঝতে পেরে চমকে উঠল প্রিন্স। একে আর কখনও দেখেনি সে, মেয়েটা কে? রীন হেসে কেমন আছে জানতে চাইল মেয়েটার কাছে, দেখে বুঝতে পারল নিশ্চই রীন চেনে ওকে! রিয়ানার কেমন লাগল, ছেলেটা কিভাবে তাকিয়েছিল, ভয় হচ্ছে। ওকি বুঝতে পেরেছে সে ড্রাকুলা? >>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>> বসে আছে প্রিন্সের হাত ধরে, মনটা কাপছে রিয়ানার। কেউ ভালোবাসলে কি এমন লাগে?কে বলেছে সে ড্রাকুলা, তারও তো আর সবার মত প্রেমের, ভালোবাসার অনুভুতি হচ্ছে! ''প্রিন্স, আমি একটা কথা বলব, আমাকে ক্ষমা করে দাও!আমি ড্রাকুলা, যদিও আমি উংক্সএর সন্তান।

আমার সৎমা আমার মাকে আমার জন্মের আগে একটা পোশন খাইয়ে দেয়। তারপর যাকে তুমি দেখছ সে এই পৃথিবীতে আসে। '' রিয়ানা বলল সংকীর্ন স্বরে। ''আমি বুঝেছি অনেক আগেই তা, কিন্তু তুমি তো ড্রাকুলা নও। ড্রাকুলারা কখন উংক্সদের প্রেমে পরে না!'' সুন্দর হাসিতে শেষ করল বাক্যটি প্রিন্স।

অভিভুত হয়ে গেলো রিয়ানা প্রিন্সের হাসিতে, কাটতে লাগল সময়। ''তুমি কি আমার রাজ্যের রানী হবে রিয়ানা?'' প্রিন্সেরে আবেদন। অনেক অনেক কষ্ট যেনো দুর হয়ে গেলো রিয়ানার এক মুহুর্তে, হ্যা বলতে দ্বিধা করল না। পশ্চিম আকাশে চাঁদ দেখা যায়, হটাৎ করে রিয়ানার অসস্তি লাগতে শুরু করল। হটাৎ অবাক হয়ে গেলো প্রিন্স, রিয়ানাকে যেনো অন্যরকম লাগছে চাঁদের আলোয়, বদলে গেছে রিয়ানা।

নিজের পরিবর্তন দেখে দুরে সরে গেলো রিয়ানা, হটাৎ করে অচানা লাগল নিজের অবয়ব নদীতে। হটাৎ করে আকাশের সব তারা দেখা গেলো, রিয়ানা আর ড্রাকুলা নয়, সে এখন উংক্সদের একজন! আকাশের তারাগুলোও একা নয়, যেমনটি রিয়ানা। (সমাপ্ত) হ্যালোউইন (Halloween) একটি ছুটির দিন যা প্রতি বছর ৩১শে অক্টোবরে পালিত হয়। হ্যালোউইন উৎসবে পালিত কর্মকাণ্ডের মধ্যে আছে ট্রিক-অর-ট্রিট, ভূতের টুর, বনফায়ার, আজব পোষাকের পার্টি, আধিভৌতিক স্থান ভ্রমণ, ভয়ের চলচ্চিত্র দেখা, ইত্যাদি। আইরিশ ও স্কটিশ অভিবাসীরা ১৯শ শতকে এই ঐতিহ্য উত্তর আমেরিকাতে নিয়ে আসে।

পরবর্তীতে বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলিও হ্যালোউইন উদযাপন করা শুরু করে। বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বের অনেকগুলি দেশে হ্যালোউইন পালিত হয়, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, পুয়ের্তো রিকো, এবং যুক্তরাজ্য। এছাড়া এশিয়ার জাপানে এবং অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডেও কখনো কখনো হ্যালোউইন পালিত হয়। হ্যালোউইনের পালনের কারন বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম, কেউ কেউ ভাবে এটা ধর্মীয় উৎসব, কেননা এটা ধর্মীয় উৎসব হিবিই পালিত হত। কারো কারো মতে এই উৎসব পালন করা ঠিক নয়, কেনোনা এই উৎসবের কারন ছিল খারাপ সব আত্মা আর মৃত অগ্রজদের স্মরন করা।

তবে আজকের সময়ে এই উৎসব শুধু ঐতিহ্য হিসেবে পালন করা হয় অনেক স্থানে। হ্যালোউইনের সময় ছোটরা(এক থেকে আঠারো বছর) সবার বাসায়ে গিয়ে ''ট্রিক অর ট্রিট'' বলে, তারপর ট্রিক দেখানো হয় ও ট্রিট হিসেবে চকলেট দেয়া হয়। তবে হ্যালোউইনে বড়রাও অংশগ্রহন করতে পারে, তবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ট্রিট নিতে পারেনা। তবে বড়রা দেয় ট্রিট, কখনো ছোট বাচ্চাদের সাথে যায় বড়রা, সেটা গ্রহনযোগ্য। আরো জানতে- Click This Link হলোউইন চকলেট নঅ সবাই এখান থেকে Click This Link শেরক আর সিনডারেলা এর সাথে মিল থাকলে আমার দোষ নেই!কেউ চাইলে আমাকে চকলেট দিতে পারে।

''ভালো থাকুন!'' ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।