কিছুই বলার নেই........ হ্যা ঠিকই বলছি! নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারবে নির্বাচন কমিশন! কেন পারবে না এর প্রতি আওয়ামীলীগের আশীর্বাদ আছে না? যারা নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে তারা রাজাকার-স্বাধীনতাবিরোধী-স্বৈরাচার-দুর্নীতিবাজ! এদের রুখতে হবে। পুলিশ বাহিনী ব্যর্থ হলে রাব বাহিনী, তারাও ব্যর্থ হলে প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন করা হবে এদের দমিয়ে রাখতে! হ্যা বিরোধীদলকে দমিয়ে রাখতেই যদি এত চিন্তা এত শক্তির দরকার হয় তবে তবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করার মত পর্যাপ্ত সেনা অবশিষ্ট থাকবে কেন? তাছাড়া সেনা মোতায়েন করে কি ই বা লাভ? নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সহিংসতায় শেখ হাসিনার প্রাণহানি হবে না, খালেদা জিয়ারও কোন সমস্যা হবে না আর এরশাদের কথা নাই বললাম! আর নিজামী-মুজাহিদ-সাকার কথা ভাবছেন এরাতো সরকারী হেফাজতে আল্লাহর করুনায় নিরাপদেই আছেন! যত সমস্যা আমাদের মত আম জনতার। মরলে আমরা মরবো, ওদের কি? আমাদের মত অপ্রয়জনীয় প্রাণী হাজার হাজার মরে গেলে ওদের মণ্ডা-মিঠাই, ভূরিভোজের পরিমান কমে যাবে না নিশ্চয়ই। সেনা মোতায়েনের দরকার মনে করছেন প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশনেরও ইচ্ছা সেনা মোতায়েনের শুধু ইচ্ছা নাই সরকারের! সরকারের ইচ্ছায় যদি নির্বাচন কমিশনকে চলতে হয় তবে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন কিভাবে? না'কি হাত-পা বেঁধে সাতার কাটার স্বাধীনতা উপভোগ করছে নির্বাচন কমিশন! দলীয় সরকারের অধীনে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আর তার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন। এটা কি পরাধীন থাকার স্বাধীনতা? সরকারের এহেন আচরন স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের কার্যকারিতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তার সাথে দলীয় সরকারের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় তাও চোখে আঙ্গুল দিয়ে সুস্পষ্ট করে দেয়। সুষ্ঠু নির্বাচন হোক নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আর শান্তিতে থাকুক নারায়নগঞ্জবাসী আর স্বার্থ উদ্ধার করুক স্বার্থান্বেসী মহল! জয় হোক মানবতার, জয় হোক শান্তির -সাম্যের-ঐক্যের।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।