I always tell the truth. Even whn I lie.
A Clockwork Orange !!! ধ্রুপদী সঙ্গীত,ধর্ষণ ও অতিমাত্রায় সহিংসতা এর মূল আকর্ষন।
Stanley Kubrick এর পরিচালনা, Malcolm McDowell এর অভিনয় আর টানটান কাহিনির সমন্বয়ে এটা একটা টাইমবোম্বে পরিনত হয়েছে। কিছু মুভি থাকে যার কোনো তুলনা হয় না। এটা সেরকমেরই একটা মুভি। আমার দেখা সেরা মুভিগুলোর একটি এটি।
ব্যক্তিগতভাবে একে আমি রেটিং দিব ৯.৫ ।
এটি প্রধান চারটা শাখায় অস্কার নোমিনেশন পেলেও জিওততে পারেনি। সেবার অস্কার ঘরে নিয়েছে The French Connection।
যাই হোক, কিছু মুভি আছে যা আলোচনার অন্তহিন। মানে যা নিয়ে ঘন্টারপর ঘন্টা আলোচনা করা যায়।
এটা সেরকম একটা মুভি।
A Clockwork Orange পরিচালনা করেছেন Stanley Kubrick । হলিউডের বেশ নামি দামি এবং প্রসংশনিয় পরিচালকদের মধ্যে তিনি একজন। ব্যক্তিগতভাবে আমার সেরা পরিচালক। তার পুর্বের কিছু মুভি রয়েছে , এটা সহ যা মানুষ সারা জীবন মনে রাখবে।
2001: A Space Odyssey ,The Shining ,Full Metal Jacket ইত্যাদি ফিল্মের পরিচালক তিনি।
A Clockwork Orange একই নামের Anthony Burgess এর উপন্যাস অবলম্বনে রচিত। যদিও Stanley Kubrick বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছেন। যা ভারচুয়ালে খুব স্বাভাবিক। বরং এর বেশ কিছু ইতিবাচক প্রভাবও ছিল।
A Clockwork Orange এ মুল চরিত্র হলো এলেক্স। আর সেখানে অভিনয় করেছেন Malcolm McDowell এর। এবং নিশ্চিন্তে সে প্রশংসার দাবীদার।
মুলচরিত্র আলেক্স কথনঃ
অ্যালেক্সের মূল আকর্ষণ ধ্রুপদী সঙ্গীত (বিশেষত বেটোফেন), ধর্ষণ ও অতিমাত্রায় সহিংসতা। ছবির বর্ণনাকারীও এই অ্যালেক্স।
তার বর্ণনার ভাষা ন্যাডস্যাট, এর সাথে স্লাভীয়, ইংরেজি ও ককনি ছড়ায় ব্যবহৃত অশ্লীল শব্দও ছিল। ছবিতে অতিমাত্রায় সহিংসতা ও অশ্লীলতা ব্যবহার করা হয়েছে। ভবিষ্যৎ ইংল্যান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে মনঃরোগ, কিশোর অপরাধ এবং এ ধরণের বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরার জন্যই এগুলো ব্যবহার করা হয়েছে।
ছবির সাউন্ডট্র্যাক ধ্রুপদী সঙ্গীতের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ওয়েন্ডি কার্লোস-এর মুগ সিনথেসাইজারের উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়।
ধ্রুপদী সঙ্গীত ও মুগ সিনথেসাইজারের বাইরে কেবল একটি গানই ছিল যার শিরোনাম "সিংইং ইন দ্য রেইন"। নায়ক ম্যালকম ম্যাকডাওয়েল এই গানটি পুরো মুখস্থ পারতেন। এ কারণেই কুবরিক তা সাউন্ডট্র্যাকে সংযুক্ত করেন।
কাহিনী বিন্যাসঃ
অ্যালেক্স ডিলার্জ!!!ভবিষ্যৎ ইংল্যান্ডের এক শহরে একটি ছোট কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান। গ্যাংয়ের সদস্য অ্যালেক্সসহ চার জন।
স্কুল কলেজ কিছু নাই। শুধু কাওয়া আর ঘুম। বিকেল হলেই বেরিয়ে পরে রাস্তায়। স্থানীয় করোভা মিল্ক বার-এ একত্রিত হয় তারা চার বন্ধু। সন্ধ্যা হলেই যতসব অপকর্ম শুরু করে।
রাস্তাঘাটে লোকজনকে ধরে পিটানো, নির্মমভাবে ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি কিছুই বাদ যায় না।
এক পর্যায়ে অ্যালেক্সের সাথে তার বন্ধুদের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। অ্যালেক্সের একাধিপত্যই এর কারণ। এক বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে অ্যালেক্স বাড়ির মহিলাকে খুন করে। অন্য তিনজন তাকে মেরে বাড়ির দরজার সামনে ফেলে রাখে।
সে পুলিশের হাতে ধরা খায়। তাকে রাখা হয় জেলে। আর এখানে দেখানো তার কারাজীবন। এখানে কিছুটা সংগা পাওয়া গেলেও। পর্বর্তিতে আর কিছু আসছে।
কারাগার থেকে তাকে লুডোভিকো মেডিকেল সেন্টারে পাঠানো হয়। এই হাসপাতালে আসামীদেরকে লুডোভিকো কৌশলের মাধ্যমে খারাপ থেকে ভাল মানুষে পরিণত করা হয়। এই চিকিৎসার মাধ্যমে অ্যালেক্স ভাল মানুষে পরিণত হয়। প্রকৃতঅর্থে অবশ্য ভাল নয়। এখনও তার খারাপ কাজগুলো করার ইচ্ছা থাকবে, কিন্তু সে চাইলেও সেগুলো করতে পারবে না।
জেল থেকে ছাড়া পাওয়া খুনের আসামীকে সমাজ ভালভাবে নেয় না। অচিরেই অ্যালেক্সের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠে। যেসব রাজনৈতিক ও সমাজকর্মী লুডোভিকো কৌশলের বিপক্ষে ছিল তারা এর সুযোগ নেয়। এভাবে অপরাধ ও শাস্তির চিরন্তন দ্বন্দ্ব ফুটিয়ে তোলা হয় সিনেমাটিতে।
সমালোচকরা যা বলেঃ
অধিকাংশ সমালোচকই ছবিটির প্রশংসা করেছেন।
রটেন টম্যাটোস-এ ছবিটির রেটিং ৯০%। আইএমডিবি-তে রেটিং ৮.৫। রিলভিউস-এর জেমস বেরার্ডিনেলি বলেন, "এটা মনোযোগ দাবী করে, আমাদেরকে চিন্তা করতে বাধ্য করে, কেউই একে ফেলে দিতে পারে না। এসব কারণেই "আ ক্লকওয়ার্ক অরেঞ্জ" কে আধুনিক সিনেমার একটি মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। "
নিউ ইয়র্ক টাইম্সের ভিনসেন্ট ক্যানবির মতে হররকে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপনের কারণে বিক্ষিপ্ত এই ছবিটি সফল মানবিক কমেডিতে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এটা উষ্ণ ও ভালোবাসা উদ্রেক না করলেও পৃথিবী কোথায় দাড়িয়ে আছে তা ভালভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে। তিনি একে অন্যতম সেরা অস্বাভাবিক ও সজ্জাবিহীন সিনেমাটিক অভিজ্ঞতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
অপরদিকে বেশ কয়েকজন সমালোচক ছবির বেশ নেতিবাচক সমালোচনা করেছেন। রজার ইবার্ট এদের মধ্যে অন্যতম। তার মতে, "ক্লকওয়ার্ক অরেঞ্জ একটি আদর্শগত বিশৃঙ্খলা, ভ্রমগ্রস্ত ডানপন্থী রূপকথা যা অরওয়েলীয় সতর্কবাণীর মুখোশ পরে থাকে"।
অপর সমালোচক ডেভিড কার একে খারাপ সিনেমা আখ্যা দিয়ে বলেন, আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে যে সুপ্ত ফ্রিড্রিশ নিচে বাস করে তার প্ররোচনাই এই ছবি ভাল লাগার কারণ। তার মতে, এ কারণেই ছবিটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
সেন্সর ও সমাজে এই মুভির যে প্রতিক্রিয়াঃ
১৯৭১ সালে মুক্তি পাওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রে একে "এক্স" রেটিং দেয়া হয়। এ কারণে স্ট্যানলি কুবরিক স্বেচ্ছায় ছবি থেকে ৩০ সেকেন্ড কেটে বাদ দেন। এরপর ১৯৭৩ সালে পুনর্মুক্তির সময় একে "আর" রেটিং দেয়া হয়।
United States Conference of Catholic Bishops' Office for Film and Broadcasting এই ছবিকে "সি" (নিষিদ্ধ) রেটিং দিয়েছে। তাদের এই রেটিং বলে, কোন ক্যাথলিকের এ সিনেমা দেখা উচিত হবে না। কারণ এতে উচ্চমাত্রার সহিংসতা ও অশ্লীল যৌনসংসর্গের সরাসরি দৃশ্য দেখানো হয়েছে। তবে ১৯৮২ সালে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। এর বদলে "ও" রেটিং দেয়া হয় যার অর্থ নৈতিকভাবে ক্ষতিকর।
যুক্তরাষ্ট্রে এর যৌনসংসর্গ ও ধর্ষণের দৃশ্যগুলো চুড়ান্ত নেতিবাচক বিবেচিত হয়। ১৯৭২ সালে ১৪ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্র তার বন্ধুকে হত্যার কারণে অভিযুক্ত হয়। বিচারের সময় তার এই ঘটনার সাথে আ ক্লকওয়ার্ক অরেঞ্জ এর সম্পর্ক টানা হয়। পরবর্তীতে ১৬ বছরের আরেক ছেলের ক্ষেত্রে অনেকটা একই ধরণের ঘটনা ঘটে। এছাড়া এর একটি দৃশ্যে ধর্ষণের সময় ছেলেদেরকে "সিংইং ইন দ্য রেইন" গান গাইতে দেখা যায়।
এই দৃশ্যটিও বিপুল সমালোচিত হয়। এই পরিস্থিতিতে কুবরিক নিজেই ওয়ার্নার ব্রাদার্স স্টুডিওকে যুক্তরাজ্য থেকে সিনেমার সরবরাহ উঠিয়ে নিতে অনুরোধ করেন। দীর্ঘ ২৭ বছর ব্রিটেনে এই ছবি পাওয়ার কোন উপায় ছিল না। কুবরিকের মৃত্যুর পরপর ডিভিডি প্রকাশিত হয়। সবাই ধারণা করতেন, উপর্যুক্ত কারণেই কুবরিক ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে যুক্তরাজ্য থেকে সরবরাহ উঠিয়ে নিতে অনুরোধ করেছিলেন।
কিন্তু কুবরিকের মৃত্যুর পর অনুষ্ঠিত এক প্রামাণ্য চিত্রে তার স্ত্রী বলেন, এ কারণে নয় বরং কুবরিক ও তার পরিবারের উপর হত্যার হুমকি এসেছিল বলেই তিনি এমনটি করেছিলেন।
আমার কথাঃ
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মুভিগুলোর ভিতরে এটি একটি। যারা ভাবেন যে মুভি মানেই টাইমপাস। তাদের জন্য এটা একটা দেখার মত জিনিষ। অসাধারন এই ফিল্ম সমাজে নেতিবাচক ইতিবাচক বিভিন্নরকম প্রভাব ফেলেছে।
ভালর দিকেই বেশি ছিল । এই মুভি আমি বেশি হলে ১০ বার দেখেছি। বুকে হাত রেখে বলতে চাই এই মুভি আর বেশ কয়েকবার দেখা হবে !!!
মুভিটি শুরুতেই বেশ কড়া লাল এবং নিল রঙের একটা আলাভ দেখা গেছে। এটা দিয়ে পরিচালক কিসের রুপক বোঝালেন তা আমি ধরতে পারিনি। হয়তো মনের উপর একটা চাপ দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
দর্শকদের নিয়ে খেলাটা তিনি পছন্দ করতেন।
মুভিতে প্রচুর সেক্স ভায়োলেন্স তুলে ধরা হয়েছে। পরিচালক এটার ভিতর দিয়ে ইংল্যেন্ডের পরর্বর্তি সময়ের একটা ফিউচার টেল করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত মতামত এবং আপনা ভাবনায় বিশ্বাসি ছিলেন। সক্ল কাজের মূল চাহিদা সেক্সকে একটু নাড়িয়ে চাড়িয়ে উপস্থাপন করেছেন তিনি সম্পুর্ন ভিন্নমাত্রায়।
যেহেতু এডাল্ট রেটেড মুভি সেহেতু এক দেখাই ভালো। রাতের জন্য একেবারে পারফেক্ট মুভি।
ডাউনলোড লিঙ্কঃ
Click This Link
Click This Link
আমার সকল মুভি বি্ষয়ক পোষ্ট নিয়ে ব্লগ সিনেঘর।
http://cineghor.blogspot.com
ধন্যবাদ সবাইকে। আপনার মতামত জানাতে ভুলবেননা।
ব্লগটা কেমন লাগলো তাও জানাবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।