বৃহস্পতিবার সকালে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, বন্যায় জেলার ৩৬টি ইউনিয়নের ৭৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের মানুষ। পাশাপাশি দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙ্গন।
এছাড়া নদী ভাঙ্গনে গৃহহীন হয়েছে এক হাজার ৪৭ পরিবার।
গত ৬ দিন ধরে এসব এলাকার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। দেখা দিয়েছে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্য সংকট।
এছাড়া প্রায় দু’শতাধিক হেক্টর জমির আমন বীজতলা ও উঠতি শাক-সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা সেতু পয়েন্টে ৩৯ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
“এছাড়া তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার সামান্য নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
”
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রতীপ কুমার মণ্ডল জানান, বন্যায় কুড়িগ্রামে ২’শ হেক্টর জমির আমন বীজতলা, শাক-সবজ্বি কাউন, বাদাম ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় আমন বীজ তলার ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।