আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যা

বাংলাদেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম। এ জেলা থেকে প্রথম প্রকাশিত অনলাইন পত্রিকা `কুড়িগ্রাম নিউজ'

কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সপ্তাহ ধরে পানির নিচে তলিয়ে থাকা কাচা ঘরবাড়ি ধ্বসে পড়ছে। অপরদিকে উঠতি তে নষ্ট হওয়ার আশংকায় শিউরে উঠছে বন্যা কবলিত মানুষ জন। বর্তমানে কুড়িগ্রামের ওপর দিযে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যায় পানিবন্দি প্রায় সোয়া লাখ মানুষ এক সপ্তাহ ধরে মানবেতর জীবন যাবন করছে। এসব অসহায় মানুষ পড়েছে খাদ্য, ঔষধ ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে। এখন পর্যন্ত সরকারি কিংবা বেসরকারি ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছায় দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ। সরেজমিন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর, ঘোগাদহ, উলিপুর উপজেলার হাতিয়া, বেগমগঞ্জসহ বেশকয়েকটি ইউনিয়নের চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, পানিবন্দী মানুষজন প্রচন্ড খাদ্য সংকটে পরেছে। যাত্রাপুর খেয়ার আলগা চরের আছিমন, নুর বখত, ফ্যালানি জানান, বাহে বানোতে ভাসি গেইলং।

কাইও হামার খোজে নিবার আইসে না। চাইরো পাকে পানি মাইনসে কামত যায় ক্যাদন করি! একনা উচা যায়গা দেকি গরু-ছাগল ধরি একনা উচা জাগা দেকি আশ্রয় নিচি। চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, ৬টি ইউনিয়নে চলতি বন্যা ও নদী ভাঙনে প্রায় ৮হাজার পরিবার তিগ্রস্থ হয়েছে। ফসল নষ্ট হয়েছে প্রায় ২হাজার হেক্টর। তিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে আগামী ২/১দিনের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।

রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম জানান, তার ইউনিয়নে প্রায় ৩হাজার মানুষ এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি রয়েছে। এছাড়া কেডিওয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে ২শতাধিক মানুষ। এসব মানুষ চরম খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে পড়েছে। অপরদিকে বড়ভিটার চরে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে গত ৪৮ঘন্টায় গৃহহীন হয়েছে ৬০টি পরিবার। চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বক্তজামাল জানান, ২৪ঘন্টায় কড়াইবরিশাল এলাকায় ৩০টি পরিবার গৃহহীন হয়েছ।

ঢুষমারা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কড়াইবরিশাল ও সাকাহাতি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত কয়েকশত মানুষ খাদ্য-পানি সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছে। কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় কুড়িগ্রাম জেলার জন্য ঢাকা থেকে ২শ ৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেলেও এখনো তা দুর্গতদের মাঝে পৌঁছায়নি। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল মোস্তফা আশাফুদদৌলা জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুড়িগ্রাম সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি ৩ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার এবং দুধকুমর নদীর পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.