সারা বিশ্ব উন্নয়নের জোয়ারে ভাসুক
আজিকা সে দেশে ফিরে প্রকাশ্যে সরকার বিরোধী আন্দোলন শরু কইরা দিল। প্রেস কনফারেন্স কইরা তার বক্তব্য জানান দিল
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি আব্দুর রাজ্জাকের বক্তব্য
. আমি বিগত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ব্যক্তিগত কাজে বিদেশে অবস্থান করছিলাম, আজ সকালে দেশে ফিরেছি। বিদেশে অবস্থান কালে যুক্তরাজের লীডস ইউনিভাসিটিতে অধ্যয়নরত আমার মেয়েকেও দেখতে গিয়েছি। কিন্তু গত ১৯ সেপ্টেম্বরব ঢাকার পল্টনে সংগঠিত ঘটনার পর দায়ের করা একটি মামলার এজাহারে আমাকেও সম্পৃক্ত করা হয়েছে। পল্টন থানায় দায়ের করা ২টি মামলার একটিতে চাজর্শীট থেকে আমার নাম বাদ দেয়া হলেও অন্যটির এজাহারে নাম থাকায় আমি বিমান বন্দরে অবতরনের পরই উচ্চ আদালতের শরনাপ্ন্ন হয়েছি।
আইন ও আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমি আগাম জামিনের জন্য হাজির হয়েছি। মাননীয় বিচারপতি সালমা!চৗধুরী ও বিচারপতি হাবিবুল গনি সমন্বয়ে গঠিত হাইকোটে'র ডিভিশন বেন্চ আমাকে ৪ মাসের আগাম জামিন ম"জুর করেছেন।
২. জামায়াত একটি গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, এদেশের সকল গনতান্ত্রিকক আন্দোলনে জামায়াতের উল্লেখ যোগ্য অবদান রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দলটার উপর দমন-পীড়ন সীমা ছাড়িয়ে গেছে। স্বাভাবিক রাজনৈতিক কমর্কান্ড পরিচালনার অধিকার একটি সাংবিধানিক ও আইনী অধিকার।
এটি মোলিক অধিকারও বটে। কিন্তু জামায়াতের উপর যে অযৌক্তিক, বেআইনী ও অমানবিক নির্যাতন আরোপ করা হয়েছে তা গনতান্ত্রিক সভ্য সমাজে অবান্চনীয়। রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের পুরো শরীরে ডান্ডাবেরী পরিয়ে আদালতে হাজির করা নিছক হয়রানি ও অপমান ছাড়া কিছুই নয়। এটি বেআইনী, অসাংবিধানিক ও অমানবিক।
৩. একটি মামলায় তড়িঘড়ি চাজশীট দিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দেরর বাড়ীতে হানা দিয়েপুলিশ।
মালামাল ক্রোক করে নেয়া হচ্ছে। এটি নজীর বিহীন। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলছি জামায়াত আইনের প্রতি শ্রব্দাশীল একটি গনতান্ত্রিক দল। আমরা সন্ত্রাস ও বেআইনী কমর্কান্ডে বিশ্বাস করিনা।
১৯ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় কারা জড়িত ছিল তা পুলিশ ভিডিও ফুটেজ !দখে তদন্ত করুক।
।
৪. কিন্তু অতি দুখের বিষয়- মামলায় শুধু নিরপরাধ মানুষই নয়, ৭৬ বছর বয়ষ্ক ভারপ্রাপ্ত আমীর জনাব মকবুল আহমেদ, ৮৪ বছরের অশীতিপর বৃদ্ধ জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা এ, কে,
এম, ইউসূফ, ৮২ বছর বয়স্ক নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুস সুবহান, ৭২ বছর বয়স্ক !নেতা জামায়াতের নায়েবে আমীর এ,!ক,এম, নাজির আহমেদ ও সাংবাদিক আবুল আসাদ সহ অনেক বয়োজ্যষ্ঠে নেতৃবৃন্দকে ও মামলায় জড়ানো হয়েছে, যাদের কেউই ঘটনা স্থলে উপাস্থিত ছিলেন না। শুধু হয়রানির জন্যই এটি করা হয়েছে। উপরন্তু জামায়াতের বতর্মান ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা: শফিক আহমেদের বাসার মালামাল ক্রোক করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নজীরবিহীন ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
৫. ঘটনার পর পরই পুলিশ কাকরাইলে একটি বেসরকারী হাসপাতালে ঢুকে রোগী, ডাক্তার, দর্শনাথী সহ অনেককেই গ্রেপতার করে।
কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপর বেধড়ক লাঠিচাজ' করেছে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ ব্যাপক ভাংচুর করেছে, কম্পিউটার ভেঙ্গেছে,
সিসিটিভি নষ্ট করেছে। জামায়াতের কেন্দ্রীয়, মহানগর অফিস ও ছাত্রশিবিরের অফিস পুলিশ জোর করে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সেখানে কাওকে যেতে দেয়া হচ্ছেনা। অফিসের অনেক কমর্চারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
এটা মানবাধিকারের চরম লংঘন। গনতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও আইনের শাসনের পরিপন্থী এধরনের কান্ডহীন পদক্ষেপ দেশ ও জাতির জ্ন্য কোন কল্যাান বয়ে আনবেনা। এসবের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।