আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাঁধ ছেঁড়া পূর্নিমা

স্বপ্নেরা রংধনু হয়ে উড়ে বেড়ায় অজানা ঠিকানায়... -এই,আজকে আমাকে কেমন লাগছে,বলত? -রোজ আমার পূর্নিমাকে যেমন লাগে,তেমনই তো! -আমি জানতাম তুমি এই কথাটাই বলবে। রোজ আর আজকের মধ্যে একটা পার্থক্য আছে;এইটা তুমি এখনও ধরতে পারলেনা! -ও!হ্যা! তাইতো!তুমি আজ শাড়ি পড়েছ?! -শাড়ি তো মাঝে মাঝেই পড়ি!তুমি এত্ত বেখেয়ালী কেন?! -তবে?কি দেখছিনা!বলত... -আমি আজ একটা রূপোলী শাড়ি পড়েছি,যেটা আগে কখনো পড়িনি। -হুম। রূপোলী কেন? আজ তোমার জন্মদিন,তাই? -পুরোপুরি তাই না। আরো কিছু আছে।

ভেবে বলত?তোমাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় দেয়া হল। তবে,উত্তরটা তুমি খুজে পাবে সন্ধ্যার পরে,যখন অন্ধকার নামবে। -আচ্ছা?অন্ধকার হতে তো এখনো ১ঘন্টা বাকি। আসো ততক্ষন হাটি। হাতটা ধর?দু হাত ধরে আজ আধার নামাই..... -এই রইলো হাত।

কিন্তু... আধার?তুমি নামাতে পারবে?....... ............................... -দেখছ,পূর্নিমা? সূর্য ডুবে অন্ধকার হওয়ার সাথে সাথে চাঁদটা কেমন নিজের আলো দিয়ে পৃথিবীটাকে আলোকিত করে দিল!হাসিয়ে দিল! -হুম,দেখলাম। আজকে চাঁদ টার অনেক আলো!দেখেছ? -আজ পূর্নিমা!! তোমাকে তো রূপোলী পরী লাগছে!রূপোর রাজ্যে বসা রূপোলী পরী!পাশে আমি নগন্য... -যাহ! বুঝেছো এখন?এমন দিনটি আর পাব কিনা জানিনা। তাই আজ সাধ মিটিয়ে জোছনা স্নান করব! -পূর্নিমা রাতে পূর্নিমার জন্মদিন!বাহ! দারুন সখ্য দেখা যাচ্ছে তোমাদের! -আমার যে রাতে জন্ম হয় সেই রাতটাতেও এমন বাধভাঙ্গা জোছনা ছিল। তাই দেখে বাবা আমার নাম রেখেছিল,পূর্নিমা। বাবা সবসময় বলত,আমার এই মেয়ে পূর্নিমার আলোর মত করে সাবার জীবন ভরিয়ে দিবে! -তাই বুঝি?তার এই মেয়েটা যে কোন একজনের জীবন কে পুরোটাই জড়িয়ে রাখবে,তা কি তিনি বলেছিলেন? -আমি তোমার জীবন জড়িয়ে রেখেছি?আমার কি মনে হয় জানো?মনে হয়,সবার মনটাকে যদি আমার আলো দিয়ে ভরিয়ে দিতে পারতাম! -পেরেছোতো!আমি যখন রাত জেগে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি,তখন চাঁদের আলোটা আমাকে এমন করে ছুঁয়ে দিয়ে যায় আমার মনে হয় তুমি আমাকে ছুঁয়ে দিচ্ছ।

-আমিতো সবসময় তাই ই করি। যখন যেখানে যতদূড়েই থাকি,ওই চাদঁটাকে পাঠিয়ে দেই তোমার কাছে,আর বলি,তোমাকে যেন তার পূর্নিমা দিয়ে ঢেকে রাখে, পৃথিবীর সমস্ত কলুষতা,সমস্ত বেদনা,সমস্ত জরা থেকে। আর,মনে করিয়ে দেয়,এইতো আমি আছি সবসময়। -আর আমি তা আলিঙ্গন করি তীব্র সুখে -আমি মরে গেলেও এভাবে করবে তো!আমি কিন্তু তখন প্রত্যেকদিন ই হানা দেব তোমার বাহুতে!হুম -এই পাগলী!এমন কথা আর কক্ষনও যেন না শুনি!কি বল আবলতাবল!আমাকে রেখে তুমি কোথায় যাবে! -যদি বিধাতা ডাক দেয়! ........................................ কি যেন আন্যায় করেছিলাম আমি। আমাকে একা করে দিয়ে স্রষ্টা ওকে তুলে নিয়ে গেল।

সামান্য একটা জ্বর এর বাহানা দিয়ে পাগলীটা আমাকে একা করে রেখে চলে গেল। ওর হাতটা ধরে রাখাতে আমার কি কোন ত্রুটি ছিল?আরো শক্ত করে কি ধরা উচিৎ ছিল? আমি এর উত্তর খুজে পাইনা। কিন্তু পাগলীটা তার কথা রেখেছে। সে আমার পিছু ছাড়েনি। অন্ধকার ঘরের একমাত্র জানালাটা দিয়ে পূর্নিমা চুইয়ে আসছে... আমার বিছানা ছুঁয়ে দিয়ে... আমার বাহুতে.... জমাট বেধে রয়েছে আমার বাহুডোরে।

 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।