আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"টিপাই মুখ বাঁধ" মানে সিলেট রক্ষা বাঁধ!

বাংলাদেশ আমার দেশ

১৯৮৮ সালে বাংলাদেশই টিপাইমুখ বাঁধের প্রস্তাব দেয় বলে জানিয়েছেন সেসময়কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর বিষয়ে ইংরেজি দৈনিক দি ইনডিপেডেন্ট ও সেন্টার ফর ফরেন অ্যাফেয়ার স্টাডিজ'র যৌথ আয়োজনে রাজধানীর বেল টাওয়ারে এক আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন। জাতীয় পার্টির এই সাংসদ বলেন, "আমি এই বক্তব্যের পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে বলছি ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশই এই বাঁধের দাবি জানায়। " গত বছরের সেপ্টেম্বরে তখনকার ভারতীয় হাই কমিশনার পিনাক রঞ্জন রায়ও বলেছিলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের বরাক নদীর উপরে এই বাঁধের দাবি ছিল বাংলাদেশের। একই কথার পুনরাবৃত্তি করে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, "বাংলাদেশের নিুাঞ্চলে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য এই বাঁধের দাবি করা হয়।

তবে অবশ্যই আমরা টিপাইমুখের ভাটিতে ফুলেরতলা ব্যারেজের বিরোধিতা করেছিলাম। " সভার প্রধান অতিথি পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপু মনি আনিসুল ইসলাম মাহমুদের বক্তব্যের সমর্থন করে বলেন, ১৯৭৮ সালে ভারতের সঙ্গে যৌথ নদী কমিশনের ১৪তম সভায় বাংলাদেশের উজান অঞ্চলে একটি জলাধার নির্মাণের জন্য ভারতের সঙ্গে যৌথ জরিপের ব্যাপারে একমত হয়েছিল। এই বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল সিলেট অঞ্চলে বন্যা নিয়ন্ত্রণে আনা। গত বছরের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিএনপি এই বাঁধের বিরোধিতা করে আসছে। বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের পরিবেশবিদরাই প্রবলভাবে বরাক নদীর উপর টিপাইমুখ এলাকায় এই বাধের বিরোধিতা করছেন।

বরাক নদীটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে সুরমা ও কুশিয়ারা নামে। সিলেট অঞ্চলের শত শত খাল ও কয়েকটি প্রধান নদীর জীবন সুরমা নদীর পানি প্রবাহের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করে। আর এইসব নদীকে ঘিরে এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের জীবন ও জীবিকার সংস্থান হয়েছে। গত বছরের ২৯ জুলাই ভারতীয় সরকারের উদ্যোগে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের একটি প্রতিনিধি দল টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ এলাকা পরিদর্শন করে এসে সাংবাদিকদের জানান, ভারতীয় সরকার তাদের আশ্বস্ত করেছে যে বাংলাদেশের ক্ষতি করে কোনো কিছুই করা হবে না। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময়ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রীকে আবারো আশ্বস্ত করেন যে ভারত বাংলাদেশের ক্ষতি করে কোনোকিছুই করবে না।

Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।