কবঠ শুরু হলো পবিত্র মাহে রামাজান। রমজান মাস জুড়েই পৃখিবীর তাবত ধর্মপ্রান মুসলমান শিয়াম সাধনায় নিজেদের উৎসর্গ করেন। কিন্তু বাংলাদেশ এমন একটি দেশ সেখানে রমজান আশা মানেই ভীতিকর ও একটি অনিশ্চয়তা মানুষকে ঘিরে ধরে। পৃথিবীর যাবতীয় আকাম কুকাম এই মাসের মধ্যেই বাঙ্গালীরা করতে যেন অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। ঘুষ, চুরি, বাটপারি, প্রতারনা থেকে লোক ঠকানোর মত সমস্ত কাজ যেন এই মাসেই বাঙ্গালীর করতেই হবে।
সমাজের কোন স্তরেই শিয়ামের মুল চিন্তা বা চেতনার স্ফুরন ঘটে না। আল্লাই যেন ব্যাবসায়ীদের বলে দিয়েছেন, এমাসে যা পার কামিয়ে নাও। দ্রব্যে ভেজাল মেশাও। মুনাফা দ্বীগুন কর, কোন দোষ নেই। কিন্ত রোজা ও নামাজের বর্তায় যেন না ঘটে।
তারাবিতে যাও সমস্ত সুবচন তাড়িয়ে দানব হয়ে ঘড়ে ফিরে এসে হাত পায়ের জ্বালা মেটাতে বউ এর উপর উপগত হয়ে নির্বিচারে র্নিজাতন কর বউ তো তোমার শষ্যক্ষেত্র এর চাইতে বেশী আর কিছুই নয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মসজিদের আঙ্গিনা পর্যস্ত এই সব টাউট বাটপারের দল, দলবেধে নেমে পড়েছে বলে। মিটার রিডার দাপরে বেড়াবে তার এলাকায়। ক্লায়েন্টকে বিপদে ফেলার যতগুলি কৌশল সে এই পর্যন্ত রপ্ত করেছে তার সবটাই সে উজার করে দেবে। ক্লায়েন্ট কাচুমাচু মুখে বলবে স্যার আমাকে বাচান।
এতটাকা আমি কোথা থেকে দেব। তিনি যোগ, বিয়োগ, পুরন, ভাগ শিখিয়ে ক্লাযেন্টকে শান্ত করে পকেটটা একটু ভারি করেই বাসয় ফিরে এফতারের যোগার যন্ত্রে লেগে পরবেন। রুহআফজার শরবত। কত নাম না জানা রকমারী আইটেম সামনে নিয়ে বসে থাকবেন, খাবেন না চেয়ে চেয়ে দেখবেন। মুয়াজ্জিনের আজান না হওয়া পর্যন্ত, এটাও নাকি একটি এবাদত আল্লাহ নাকি এতে বেশ খুশি হন।
আল্লাহ কিসে খুশি হন আর কিসে খুশি হন না তার জন্য এত আয়োজনের দরকার আসলেই হয় কি? মানুষের কষ্টে মানুষের পাশে দাড়ালেই আল্লাহ প্রচন্ড খুশি হন যা বোঝার জন্য ধর্মগ্রন্থ বা ওলামা একরামদের মশলা শোনার দরকার পরে না। দরকার হয় ঐ কষ্ট ও ক্লান্ত মানুষটির মুখের অকৃত্তিম হাসিটি দেখতে চাওয়ার ঐকান্তিক ইচ্ছা। যা কষ্ট লাঘবের পর আপনা আপনি তার মুখ জুড়ে ফুটে উঠে।
আমরা কি এই মাসের সহি মুল্যায়ন কোন কালেই করতে পারবো না? আমরা কি শুধুমাত্র কট্টর মুসলমানই থেকে যাব। ? আমরা কি কখনো প্রকৃত অর্থে মানুষ হয়ে বেড়ে উঠতে পারবো না? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।