চাচীকে পেতে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে সফিক নূর (৩০)। এ নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সফিক নূর চাচা মালেক মিয়ার ওপর হামলা চালায়। এ সময় মালেকসহ আহত হয় প্রায় ১০ জন। এ ঘটনার পর এলাকার লোকজন ওই লম্পটকে আটক করে বেঁধে সালিশি বৈঠকে নিয়ে যায়।
এরপর জুতাপেটা করে একশ’বার কান ধরে ওঠ-বস করা হয়। গত ৭ই অক্টোবর রাতে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজারে ওই সালিশি বৈঠক বসে। এলাকাবাসী জানায়, এ উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের দিঘিরপাড় গ্রামের মালেক মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী রাজিয়া খাতুনের (২৬) সঙ্গে তারই আপন বড়ভাই আবদুল মান্নানের বিবাহিত লম্পট ছেলে সফিক নূর (৩০) এর সঙ্গে প্রায় ১ বছর ধরে প্রেম চলছে। কিন্তু কেউ তাদের সম্পর্কের বিষয়টি বুঝতে পারেনি। সমপ্রতি তাদের দু’জনের চলাফেরা, আচার, আচরণ ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাড়ির অন্যান্য লোকজন তাদের দু’জনের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পেরে তাকে বাধা দেয়।
সে বাধা উপেক্ষা করে চাচীকে নিয়ে এলাকা থেকে উধাও হয়ে যায়। প্রায় ১৫ দিন পর দু’জন আবার বাড়িতে ফিরে আসে। এরপর সে তার সুন্দরী স্ত্রী এক কন্যাসন্তানের জননী রুজিনা বেগম (২৫) কে তালাক দেয়। কিন্তু রুজিনা তা মেনে না নেয়ায় তাকে মারধর করে হাতে তালাকনামা ধরিয়ে দিয়ে সন্তানসহ জোরপূর্বক বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। গত শুক্রবার চাচীকে নিয়ে ভাতিজা পালিয়ে যেতে চাইলে চাচা বাধা দেয় এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে তার প্রতিকার চেয়ে বিচার দাবি করে।
এ খবর ভাতিজা জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওইদিন বিকালে বাদাঘাট বাজারে চাচাকে একা পেয়ে তার উপর হামলা চালায়। চাচাকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হয় এক মহিলা সহ কমপক্ষে ১০ জন। পরে বাজারের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে ভাতিজাকে ঘেরাও এবং আটক করে হাত-পা বেঁধে নিয়ে যায়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।