চোখের দেখায় দেখছ যাকেহয়তো কোন মরীচিকা, আঁধার পথেখুঁজছ যাকে হয়তোকোন বিভীষিকা। তাই বারণ করি বারে বারে এসো না এই অন্ধকারে হৃদয় যে মোর কৃষ্ণগহ্বর হারিয়ে যাবে চিরতরে........... মানুষের আক্কেল কোথায় গিয়ে ঠেকেছে ওটা নিয়ে সন্দিহান। ফেসবুকে কিছুক্ষন আগে হরতাল পালন হচ্ছিল মানলাম এবং তার সাথে অনেকে সম্মতি জানিয়ে বিভিন্ন ওয়ালে পিকেটিং করেছে। কিন্তু কিছুক্ষন আগে ভালোবাসার ডাকপিয়ন পেজে আহনাফ সানভি নামক একজনের লেখা একটা গল্পে প্রথম দিকে কিছু বেয়াক্কেল পাবলিকের পিকেটিং কমেন্ট দেখে মর্মাহত হলাম।
একটা গল্প লিখার পেছনে একজন লেখকের সময় , প্রতিভা আর পরিশ্রম মিশে থাকে।
সাথে থাকে কিছু ছোটখাটো আকাঙ্খা যে গল্পটা হয়তো সবার ভালো লাগবে এবং একটা ভালো কমেন্ট অন্তত করবে সবাই, লেখককে সবাই উৎসাহ দেবে। একটা পেজে গল্প সাবমিট করার পর কতদিন অপেক্ষায় থাকতে হয় এবং অপেক্ষার কষ্টটা কেমন সেটা একজন লেখকই ভালো জানবেন, হোক সে পেশাদার লেখক,শখের লেখক অথবা অখাদ্য লেখক। আর গল্প পাবলিশ হবার পর তাদের অনুভূতিটাও অন্যরকম থাকে কারন অনেকদিন পর তাদের অপেক্ষার পালা শেষ হয়। তাদের লেখা সার্থক হয় আর লেখক আরও অনুপ্রাণিত হয় যখন আপনারা তাদের লেখায় ভালো ভালো কমেন্ট দেন আর ভুল থাকলে ওটাও দেখিয়ে দেন।
কিন্তু যখন তাদের লেখা পুরোপুরি পড়া শেষে অথবা না পড়েই কেউ উল্টাপাল্টা কমেন্ট করে বসে তখন সত্যিই ঐ লেখকের মনের কষ্ট আর অনুভূতিটা খুব খারাপ হয়।
তাই সবাইকে একটা অনুরোধ করবো কিছু করেন আর না করেন অন্তত কোথাও কিছু লিখার আগে অন্তত চিন্তা ভাবনা করেন লিখুন, কারন সৃষ্টিকর্তা আপনাকে বিবেক দিয়েছেন। আপনি বিবেককে যদি সঠিক সময়ে কাজে লাগাতে না পারেন আর আজাইরা ইস্যুতে বানরের মত লাফালাফি করতে থাকেন তাহলে আপনাকে আর কিছু বলার থাকে না।
সবশেষে, ধিক্কার জানাই ঐ সব কমেন্ট বাজকে যারা একজন লেখকের লেখাকে মূল্যায়ন করতে জানে না। ধিক্কার তোমাদের ধিক্কার!!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।