আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যালাডস অপ মায় মেন সিং- মহুয়া পালা

এইসব ভালো লাগে... পাড়ার লাইব্রেরি থেকে ময়মনসিং- গীতিকা নিয়ে আসছি। দুটো পালা পড়ার সময় আমার অনুভূত হচ্ছিলো আমাদের বাংলা সিনেমার চিত্রনাট্য পড়ছিনাতো! যাই হোক মহুয়া পালার কাহিনী ইন এ নাটশেল এ কইতেছি। মহুয়া পালা রচেছেনঃ দ্বিজ কানাই নায়কঃ নদের চাঁন নায়িকাঃ মহুয়া মহুয়ারে ছোট্টবেলায় চুরি করে হুমরা বাইদা। মহুয়া ব্রাহ্মণ ঘরের ই মাইয়া। খেলা দেখাতি যেইয়ে মহুয়ার সাথে নদের চাঁন বাজির ভাব ভালোবাসা হইয়া গেলো।

তারপর যা হয় আর কি নদীর ঘাটে, পুষ্করিণীর পাড়ে দুজনার লুকোছাপা। মহুয়ার আবার বডিগার্ডের কারিনার মতো সই ও আছে একখান। হুমরা বাইদা আবার নদের চাঁনের দেশে হেব্বি নামডাক কইল্লাইছে। তাই ছাইড়া যাইতে পারতাছেনা। ওদিকে মাইয়ার পেম ও মেনি নিতি পাত্তেসেনা।

ভাবভালোবাইস্যা একদিন নিজের চোখেই দেইকলো হুমড়াচুমড়া হুমরা। এর মদ্যি আবার চাঁনরে মারার জন্যি ছুরিও দেদিলো হুমরা মহুয়ার হাতে! এইডা কিছু হইলো! কাহিনী কি আর এমনে শেষ হয়! শেষমেশ বেদের দলই পলান্টিস খেইলো। নদের চাঁন সরেস মাল। সে আবার হেরোইনের খুঁজে আকাশ পাতাল কুপাই ফালালো। একদিন পেয়েও গেলো।

দুজন তো বাগবাগুম! কেয়ামত ছে কেয়ামত ইস্টাইলে ভাগ ডিকে বোস ভাগ! এক সদাগররে পাইয়ে তার লৌকোতে চইড়া বসলো। সদাগর হালায় লুল! নদের চাঁন রে নদের মইদ্দে ফালাইয়া দিলো। কইন্যারে পাইতে কত কি যে অফার দিলো। আজকাল্কার মুবাইল কুম্পানি ভি শরম পাইবো! কইন্যা বিষ খাওয়াইয়া নৌকোই ডুবাই দেলে। এক পাড়ে এসে কন্যা ভেউ ভেউ করে আর নাগরের নাম ধইরা ডাকে।

জঙ্গলের ভিত্রে হাড্ডিসার চাঁনমিয়ারে খুঁইজাও পায় (পুরাই বাংলা সিনামা) কিন্তুক সাধুবাবার মলম পট্টি ছাড়া লায়ক লায়েক হবেনা আর। এম্মারেমা! সাধু হালায় ভি দেখি লুল! সে মহুয়া ফুলের ঘ্রাণ নিতে চায়! উপায় না দেখে মহুয়া “মেরি ব্রাদার কি দুলহান” স্টাইলে প্যাকাটি চাঁনরে কাঁধে লইয়া পলান্টিস দিলো। চাঁন ভালা হইলো কালেকালে। অতঃপর- “এখন তো সময় ভালুবাসার! ও প্রিয়!” এদিকে কুত্তা লাগাইয়া খুঁজ দ্যা সার্চ কইরা হুমরা বাইদা হেগোর সন্ধান পাইলো। মাইয়া উপায় না দেইখা নিজের বুকে ড্যাগার বিঁধাইলো আর নদের চাঁনরে মারলো হুমরার লোকজন।

মারার পরে হুমরার আবার আফসুস ও হইলো! কবর দিইয়া উনারা ফিরেও গেলেন। খালি থাইকা গেল সই। কাইন্দা তামা তামা কইরা দিলো দুগগার কবরই। ব্যাস গপ্প শেষ! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।