কবে যাবো পাহাড়ে... কবে শাল মহুয়া কণকচাঁপার মালা দেব তাহারে.... বাতাস তখন মৃদুমন্দ, সূর্য ঢলেছে দিগন্তে,
লজ্জারঙের আকাশটাকে বুকে নিয়ে
কচি ঘাসের বুক চিরে নিরন্তর ছুটে চলা
নাম-না-জানা এক নদী।
হঠাৎ সূর্যের মুমূর্ষু কিরণগুলো আটকে দিলে
চোখ তুলে চাইলাম। মনে হলো-
সূর্যদেবী সাক্ষাত এসেছেন আমার ধ্যান ভাঙাতে!
বোবা হয়ে গিয়েছিলাম কিছুক্ষণ।
‘লাল গাই? না তো... দেখিনি...’
‘আমি? কবি। কবিতা লিখি।
কবিতা বোঝো?’
‘ছবি? না তো... আমি ছবি আঁকতে পারিনা।
তোমার নাম কি? আমার কবিতা শুনবে?’
নাহ! আজকের এই কবিতার সাথে তোমার নামটা বড় বেমানান।
তাতে কি? তোমাকে আমি ডাকতেই পারি আমার পছন্দের নামে!
নাম দিই কেয়া। কেমন? পছন্দ হয়েছে তো?
চঞ্চল হরিণীর একজোড়া চোখ আমাকে গেঁথে এঁটে দিলো
ওই ঢলে পড়া সূর্য, কচি ঘাস আর ছোট নদীর ক্যানভাসে।
মনে হলো, অনন্তকাল তোমায় কবিতা শুনিয়ে যেতে চাই
কখনো যেন ওই গোধুলি ফুরিয়ে যাবার নয়।
আজো আমি গেঁথে আছি ওই ক্যানভাসে।
লজ্জারাঙা আকাশ আর বয়ে চলা নদী-পাড়ে
তন্ময় কবিতা পড়া অবুঝ অর্বাচীন আমি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।