বাংলার জনগন বরগুনার বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের বেতমোড় গ্রামে চান্দু মিয়ার বাড়ি। তার বয়স ৬২ বছর। দুটি বিয়ে করেছিলেন। ১৩ সন্তানসহ তার নাতি-নাতনি রয়েছে। অন্যদিকে হামিদা বেগমের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার পশ্চিম গৌরীচন্না গ্রামে।
তার বয়স ৫৫ বছর। হামিদার স্বামী সোনা চৌকিদার ৫ সন্তান রেখে ৫ বছর আগে মারা যান। দু'জনের বাড়ি দুই উপজেলায় হলেও মাঝখানে রয়েছে একটি খাল। খালের দুই পাড়ে দাঁড়িয়ে প্রথম তাদের চোখাচোখি, ভালো লাগা, ভালোবাসা। সবশেষে প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া।
ভালোবাসার টানে রোববার রাতে চান্দু মিয়া চলে আসে হামিদার বাড়ি। গভীর রাতে এলাকাবাসী তাদের ধরে নিয়ে যায় ফুলঝুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন তপনের বাড়ি। রাতেই মহা ধুমধামের সঙ্গে তাদের বিয়ে পড়ানো হয়। দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ টাকা। বনজঙ্গল থেকে ফুল সংগ্রহ করে বানানো হয় ফুলের মালা।
সেই মালা দিয়ে নাতি-নাতনিরা বৃদ্ধ বর কনেকে বরণ করে নেয়। সারারাত চলে হয়লা (বিয়ের গান)। তাদের বিয়ে নিয়ে এলাকায় চলছে মুখরোচক আলোচনা। বেরসিক এলাকাবাসী বায়না ধরেছে, যেভাবেই হোক বউ ভাত করতে হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।